Bartaman Patrika
 

বাংলা ও বাঙালির সঙ্কট
গর্গ চট্টোপাধ্যায়

 

নববর্ষের পুণ্যলগ্নে হিন্দি-উর্দুর সাঁড়াশি চাপে এই পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতে নিজভূমে পরবাসী হওয়া বাঙালিকে তার জাতি পরিচয়ের ভিত্তি, তার বিপদ, বিপদের কারণ এবং বিপদ থেকে মুক্তির কথা বলার সময় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলার জোর কমছে কেন? শহর, শিল্পাঞ্চলগুলিতে কাজের ক্ষেত্রে বাংলা নেই কেন? এইসব এলাকায় বাঙালির শতাংশ কমছে কেন? পশ্চিমবঙ্গে পুঁজির মালিকানা তথা বড় শহরে ঠিকাদারি ও কাজের সুযোগ থাকলেও বাঙালির নেই কেন? কেন কলকাতা, আসানসোল, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, খড়্গপুরে দু’জন অচেনা বাঙালি হিন্দি বলে কথা শুরু করছে? কেন শহুরে বাঙালি যুবসমাজ হিন্দিতে ডুবে? কেন হিন্দ বলয় জুড়ে বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা ও বাঙালি নারীর প্রতি চরম বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে? সাইনবোর্ডে কেন বাংলা নেই, এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই সাইনবোর্ডে বাংলা প্রলেপ দিয়ে আসল সঙ্কটের সমাধান হবে না। লিভার খারাপ হয়ে চুল পাকলে কলপ করে আসল সমস্যার সমাধান হয় না। সঙ্কট বাঙালি জাতির। বহিরাগতদের অর্থ-ক্ষমতা-সংখ্যাবলে পশ্চিমবঙ্গের মূল অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলি থেকে, পুঁজি-বাজার-চাকরি-জমি-ব্যবসা থেকে বাঙালি বেদখল। বাংলা ভাষার সঙ্কট, বাঙালি জাতির সঙ্কটের ফলাফল।
জাতির ভিত্তি ভাষা। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। তাই আমরা বাঙালি। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের একাধিক পরিচয় আছে— জাতি, নাগরিকত্ব, ধর্ম, দলীয় পরিচয়, পেশা ইত্যাদি। জীবনকালে যা বদলায় না, সেটাই আসল পরিচয়। কেউ আজ ভারতীয়, কালকে নাগরিকত্ব বদলে কানাডিয়ান হয়ে যেতে পারেন। যেমন হয়েছেন হিন্দি সিনেমার অভিনেতা অক্ষয়কুমার। কেউ ধর্ম বদলে মুসলিম থেকে খ্রিস্টান, হিন্দু থেকে বৌদ্ধ, বৌদ্ধ থেকে মুসলিম হয়ে যেতে পারেন— ভারত তথা বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইনে এই অধিকার স্বীকৃত। কেউ দল বদলে আজ বিজেপি, কাল তৃণমূল, পরশু কংগ্রেস, তরশু সিপিএম করতেই পারেন এবং করেনও। যা বদল করা যায়, তা জামা। কিন্তু মাতৃভাষার ভিত্তিতে যে আত্মপরিচয় অর্থাৎ জাতিগত সত্তা, সেটা গায়ের চামড়া। বদলানো যায় না। বাঙালি থেকে মাড়োয়াড়ি বা চীনা বা পাঞ্জাবি বা হিন্দুস্তানি বা তামিল হওয়ার কোনও উপায় নেই, আইনও নেই। বাবা-মায়ের দেওয়া এই ভাষা এই পৃথিবীতে ভয় না পেয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার, অধিকার বুঝে নেওয়ার, বাংলা নিজেদের কর্তৃত্বে রাখার, পূর্বপুরুষের সঙ্গে আগামী প্রজন্মের সম্পর্ক রক্ষার চাবিকাঠি। যে মুহূর্তে আমাদের বাঙালি-মা জন্মের পরপরই আমাদের দিকে তাকিয়েছিলেন, সেই মুহূর্ত থেকে চিতা বা কবরে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছে— আমাদের ভাষা, জাতি, জাতীয়তা, জাতিসত্তা। আমরা বাঙালি।
গত সাত দশক ধরে এবং বিশেষ করে গত ২০ বছরে  হিন্দি-উর্দু চাপিয়ে দেওয়া, উত্তর প্রদেশ-বিহার থেকে লাগামহীন জনস্রোতের ফলে বাংলার জনবিন্যাসে বাঙালির তলিয়ে যাওয়া এবং পুঁজি-বাজার-চাকরি-জমি-ব্যবসা বহিরাগতদের দখলে চলে যাওয়ার ফলে এই পশ্চিমবঙ্গে শুধু বাংলা ভাষা না, বাঙালি জাতি একটি ঐতিহাসিক সঙ্কটের মুখোমুখি। অথচ এই পশ্চিমবঙ্গই এ দেশের নিপীড়িত বাঙালির শেষ ঠিকানা। এটা হারালে বাঙালি সব হারাবে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ও তার মিডিয়ার কারসাজিতে জাতি ও নাগরিকত্ব গুলিয়ে ফেলা, দেশ ও রাষ্ট্র গুলিয়ে ফেলা বাঙালিদের জন্য স্বনামধন্য ভাষাবিদ সুকুমার সেনের  ‘বঙ্গভূমিকা’র প্রথম লাইন— ‘ভাষা নিয়ে জাতি, জাতি নিয়ে দেশ।’ যে বাঙালির জন্ম কৃষ্ণনগরে, তিনি যদি গান, ‘আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি’, তিনি দেশ বলতে এই বাংলাকেই বোঝাচ্ছেন, নিশ্চয়ই বিহারের ছাপড়া বা রাজস্থানের জয়পুরকে নয়।
আমরা যেন দেশ ও রাষ্ট্রের তফাত গুলিয়ে না ফেলি। কারণ অন্য কোনও জাতি এটা গুলোয় না। ভারত ভাষার ভিত্তিতে গঠিত নয়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বাংলা ভাষার ভিত্তিতেই গঠিত। আর এই ভারত আমাদের রাষ্ট্র। বাংলা ও বাঙালির রক্তে স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত। এই তফাত বোঝা জরুরি। কারণ ভারত মানে হিন্দি, হিন্দি মানে ভারত, বাকিরা দ্বিতীয় শ্রেণির, ভারতপ্রেমী মানে হিন্দিপ্রেমী, হিন্দুকে ধর্ম না বলে জাতি বলা, হিন্দুর ভাষা হিন্দি, রাষ্ট্রবাদী মানে হিন্দির পক্ষে, বাংলা মানে বিচ্ছিন্নতাবাদ— হিন্দি মানে রাষ্ট্রবাদ, সেনা মানে হিন্দি, কেন্দ্র মানে হিন্দি, হিন্দি না জানলে ভারতীয় না— এই সকল ভয়ঙ্কর ধারণা গত কয়েক বছরে সুপরিকল্পিতভাবে অনেক বাঙালির মাঝে, বিশেষ করে বাঙালি যুবসমাজের মধ্যে ঢোকানো হচ্ছে। এই মগজ-ধোলাই প্রকল্পের পিছনে ভিন রাজ্যের পুঁজিপতি, বিনোদন জগৎ ও সামাজিক মাধ্যমের ঐক্য রয়েছে। ফলে বাঙালি যুবসমাজকে হীন্মমন্যতায় ভরিয়ে দিয়ে তার মধ্যে বাংলা নিয়ে লজ্জা এবং নিজের মাটিতে নিজের আশ্রিত হিসেবে থাকার বিষয়টা স্বাভাবিক করে দেওয়া হচ্ছে। যে কোনও সাম্রাজ্যবাদ কোনও জাতির আবাদভূমি দখল করতে চাইলে প্রথম সেই জাতির যুবসমাজকে আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ফেলতে চায়, যাতে দখলের সময়ে প্রতিরোধ না আসে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদও ঠিক সেই পথেই এগিয়েছে বাংলায়। সেই সঙ্গে এক শ্রেণির অশুভশক্তি চায় বাঙালি আসল শত্রুর প্রতিরোধ না করে ঘটি-বাঙাল, হিন্দু-মুসলমান করে নিজের ছায়ার সঙ্গে নিষ্ফলা যুদ্ধে ব্যস্ত থাকুক।  
এবার আসি সমাধানের কথায়। জিডিপি হোক, জিএসটি ও ইনকাম ট্যাক্স কালেকশন হোক— সব অর্থনৈতিক সূচকই দেখাচ্ছে যে, বাংলায় অর্থনীতি সচল, কাজ আছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ বাঙালি ছেলেমেয়ে বেকার। অথচ আশপাশের রাজ্য থেকে প্রতি বছর যে সমস্ত বহিরাগতরা আসছেন, তাঁরা তো হাওড়া ব্রিজ আর জাদুঘর দেখতে আসছেন না! এসে প্রোমোটারি থেকে ঠিকাদারি, মুটেগিরি থেকে দোকানদারি সব করছেন এবং জনবিন্যাসও পাল্টে দিচ্ছেন। বাংলার শহরাঞ্চলে বসতি স্থাপন করে তাঁরা ক্রমে কাউন্সিলার-এমএলএ-এমপি হয়ে যাচ্ছেন। সত্যটা হল বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। বহিরাগত পুঁজি আনছে বহিরাগত ঠিকাদার, আবার বহিরাগত ঠিকাদার আনছে বহিরাগত কর্মী— এসব পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে। বাংলা ও বাঙালি তাদের কাছে বিস্তীর্ণ বাজার। কিন্তু বাঙালি তো বসে বসে দেখবে না। ঠিকা-কাজ থেকে স্থায়ী চাকরি, পশ্চিমবঙ্গে সব বেসরকারি কাজে চাই ৯০ শতাংশ ভূমিপুত্র সংরক্ষণ। যা ইতিমধ্যেই হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, গোয়া, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ইত্যাদি রাজ্যে হয়েছে। এর ফলে বাংলার কাজ বাঙালি পাবে। হাতে টাকা আসবে। বাঙালির পুঁজি বাড়বে। কেন্দ্রীয় সরকারি সব পরীক্ষা ইংরেজি ছাড়াও হিন্দিতে হয়, অথচ বাংলায় হয় না। সুভাষচন্দ্র, বাঘাযতীনের মাতৃভাষায় ভারতীয় সেনা ও আধাসেনার ভর্তি হয় না। এর পরিবর্তনের দাবি জানাতে হবে। বাঙালি বাংলামুখী হলেই বাঁচবে আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা।

15th  April, 2021
করোনার চোখরাঙানি, আজ মুখে মাস্ক পরেই মন্দিরগুলিতে পুজো দেবেন ভক্তরা

বছরের প্রথমদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে। এমনটা হয়তো বাঙালি কোনওদিন কল্পনাতেও ভাবেনি। কিন্তু গতবছর সেটাই হয়েছিল। জাগ্রত মন্দিরগুলিতে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন ছিল না। বিশদ

15th  April, 2021
আজ করোনাবিধি মেনেই বর্গভীমা
সহ বিভিন্ন মন্দিরে পুজো

ব্যবসা থেকে কর্মক্ষেত্র, পরিবার পরিজন থেকে সার্বিক মঙ্গল কামনায় সারা রাত জেগে পয়লা বৈশাখে তমলুকে শক্তিপীঠ মা বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেওয়ার ভিড় ফি-বছরের পরিচিত দৃশ্য। গতবছর মহামারীর জেরে মন্দির বন্ধ থাকায় ভক্তরা পুজো দেওয়ার সুযোগ পাননি। বিশদ

15th  April, 2021
কোভিড বিধি মেনেই দুই বর্ধমানে 
পয়লা বৈশাখের পুজো

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। বাংলা নববর্ষে কবিগুরুর এই গান আজও বাঙালির হৃদয়ে বাজে। বাংলা নববর্ষ মানেই হতাশা আর আশঙ্কার কালো মেঘ সরিয়ে নতুন আশার আলো দেখা। প্রতি বছর ঘটা করে মন্দিরে পুজো দিয়েই নতুন বছর শুরু করে বাঙালি। বিশদ

15th  April, 2021
করোনা-পরিস্থিতির মধ্যেও আজ
ভিড় হবে দীঘায়, আশায় ব্যবসায়ীরা

করোনাকে সঙ্গী করেই বছর ঘুরে আবারও একটা বাংলা নববর্ষ চলে এল। গত বছর করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের কারণে সৈকত শহর দীঘা পর্যটকশূন্য ছিল। এর ফলে দীঘার পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে মার খায়। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে। বিশদ

15th  April, 2021
মুর্শিদাবাদ জুড়ে জমে
উঠেছে চৈত্র সেলের বাজার

মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে জমে উঠেছে চৈত্র সেলের বাজার। বাংলা বছরের শেষ লগ্নে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেলের বাজারগুলি ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট। করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় গত বছর লকডাউন থাকায় সেলের বাজার বসেনি। এমনকী জমেনি পুজোর বাজারও। বিশদ

15th  April, 2021
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তবুও চৈত্র
সেলে ভিড় উপচে পড়ছে সিউড়িতে

সংবাদদাতা, সিউড়ি: করোনার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে চৈত্র সেলে উপচে পড়ছে ভিড়। নববর্ষের আগে কম দামে সংসারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ফুটপাত থেকে ছোট-বড় শপিং মল, সর্বত্রই সেলের বাজারে ব্যাপক ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিশদ

15th  April, 2021
যুগান্তের গর্ভে নতুন
যুগের জন্ম যন্ত্রণা
মৃণালকান্তি দাস

 

সেই কবে এই বাংলায় কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বারমাস্যার ছবি এঁকেছিলেন। সেই বারমাস্যার যন্ত্রণা আজ অতীত। ভাতের অভাব কমেছে বাংলার মাটিতে। কৃষিতে সোনার বাংলা আজ গোটা দেশে ঈর্ষার। এখন ফসল, আবহাওয়ার উপর পরীক্ষা চলে গাছ-গাছালির কত গবেষণা। বিশদ

15th  April, 2021
বৈশাখী মহরত যেন
ধুলো মাখা স্মৃতিকথা 
অভিনন্দন দত্ত

চৈত্র শেষে বৈশাখ নিয়ে আসে নতুনের হাতছানি। নতুন বছর মানেই নতুন আশায় বুক বাঁধা, নতুন লক্ষ্যর উদ্দেশে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া। একটা সময় বাংলা সিনেমার জগতে ‘মহরত অনুষ্ঠান’ ছিল অনেকটা সেই লক্ষ্যমাত্রাকে স্থির করার সমান। বিশদ

15th  April, 2021
ময়দানের ঐতিহ্য বারপুজো
জয় চৌধুরী 

 

প্রতি বছর চৈত্র মাসে একাধিক সংস্থা নতুন পঞ্জিকা প্রকাশ করে। কিন্তু সেই বইতে বারপুজোর তিথি-নক্ষত্রের উল্লেখ থাকে না। অথচ এই পুজো বঙ্গজীবনের অঙ্গ। প্রায় ৫০ বছর ধরে নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ বারপুজো হয়ে আসছে দেশের দুই বড় ক্লাব মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গলে।  বিশদ

15th  April, 2021
পোড়ামার মন্দিরে হালখাতা
করান নবদ্বীপের ব্যবসায়ীরা

পয়লা বৈশাখ মানেই ব্যবসায়ীদের হালখাতা করার দিন। এই দিনটিতে নবদ্বীপের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা পুজো দিতে ভিড় করেন স্থানীয় গ্রাম্যদেবী তথা বিদগ্ধ জননী পোড়ামার মন্দিরে। ভোর থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। বিশদ

15th  April, 2021
বঙ্গব্যঞ্জনে রসনাতৃপ্তি
কমলিনী চক্রবর্তী

বাঙালি রান্না মানেই বিভিন্ন বৈচিত্র্য। বাঙালি রান্না মানেই সাধারণের পাশে অসাধারণের বাস। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বাঙালি রান্নার নানা দিক উঠে এল এই প্রতিবেদনে। বিশদ

15th  April, 2021
মিষ্টিমুখে, বছর সুখে
সোহম কর

উত্সব হোক, উপহার হোক বা কোনও বিশেষ দিন অথবা নিত্য প্রয়োজন—বাঙালির কাছে মিষ্টি একেবারে অত্যাবশকীয়। দেখতে দেখতে আরও একটা পয়লা বৈশাখ। এমন বিশেষ দিনে বাঙালির দিনটাই শুরু হয় মিষ্টি দিয়ে। দিনের শেষে হয়তো সারাদিন প্রচুর মিষ্টি খাওয়ার ফলে ডিনারই করা হয় না। বিশদ

15th  April, 2021
এবছরও এপার বাংলা মিলিত
হতে পারবে না ওপারের সঙ্গে

‘পাবনা থেকে আগের দিন ঢাকার কমলাপুর গিয়েছিলাম। সারারাত হইহুল্লোড় করে রেল স্টেশনে কাটিয়েছি। তারপর ভোরের আলো ফুটতেই রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিই। সে অনেক বছর আগেকার কথা। তোর মনে আছে? এখনও কি আগের মতো সেই অনুষ্ঠান হয়? বিশদ

15th  April, 2021

Pages: 12345

একনজরে
দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তিনি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে সেভাবে প্রচারে নামেননি বলে দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। সেজন্য তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল দল। ...

বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...

শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM