নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
বর্তমানে জমিদারিপ্রথা লুপ্ত হলেও প্রাচীন রীতি নীতি মেনেই পুজো হয়। জানা গিয়েছে, পুজোর রাতে জমিদার বাড়িতে ডাকাতি করবে বলে একটি বাগানে ডাকাতরা জমায়েত হয়েছিল। পুজোয় জমিদার বাড়ির মহিলারা প্রচুর সোনার গয়না পরতেন। প্রতিমার গায়েও প্রচুর সোনার গয়না পরানো হয়। সেই সোনার গয়না ডাকাতি করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। রাতে জমিদার কালীপ্রসন্ন সিংহরায় ঘুরে ঘুরে পুজোর তদারকি করছিলেন। পুজো দেখতে আসা সকল প্রজাদের খাওয়া হয়েছে কি না দেখার জন্য ঘুরতে ঘুরতে কালীপ্রসান্নবাবু বাড়ির পাশের বাগানে চলে আসেন। ডাকাতদের প্রজা ভেবে, তাদের হাত ধরে খেতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। জমিদারবাবুর এই আন্তরিকতায় ডাকাতরা অভিভূত হয়ে যায়। তারা মাথা নিচু করে জমিদার বাড়ির পুজো মণ্ডপে আসে। সেখানে হঠাৎ ডাকাতরা জোড় হাত করে বলেন, আমরা আর কোনওদিন ডাকাতি করব না।
সিংহরায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৫০ জন। তাঁদের অনেকে বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। তবে, পুজোর তিনদিন আগে সব সদস্যরা চলে আসেন নাদনঘাটের পূর্ব পুরুষের ভিটেয়। সুদীপ সিংহরায় নামে এক সদস্য বলেন, পুজোর আগের দিন আমাদের নিরামিষ খেতে হয়। পুজোর দিন অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যরা উপবাস থাকেন। আজও প্রাচীন রীতি নীতি পুজো চলছে।