কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
কোলসড়ার ঘোষাল পরিবারের সদস্য তথা শিক্ষক সমীরকুমার ঘোষাল বলেন, ১৫৪০ সাল থেকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত এই কালীপুজো ঘোষাল পরিবারের দ্বারা পরিচালিত হতো। ১৮৩০ সাল থেকে গ্রামের সর্বজনীন পুজোয় পরিণত হয়েছে। এবার ৪৮০ বছরে পা দিল। তিনি বলেন, সিদ্ধেশ্বরী ছাড়া গ্রামের কোনও বাড়িতে মা কালীর পুজো হয় না। এমনকী, সিদ্ধেশ্বরী কালী ছাড়া অন্য কোনও কালীর ক্যালেন্ডারও টাঙানো হয় না। প্রতিবছর দেবীর বিসর্জনও হয় না। প্রতিমার কোনও অঙ্গ নষ্ট হলে ১৫-২০ বছর অন্তর বিসর্জন করা হয়। তার অভিনব রীতি রয়েছে। মাকে অক্ষত অবস্থায় মন্দিরের বাইরে বের করা হয় না। পাঁচজন পুরোহিত মিলে দেবীকে খণ্ড খণ্ড করে কেটে পুকুরে বিসর্জন দেন। সেই দৃশ্য কারও দেখা চলে না। আমাদের মা সিদ্ধেশ্বরী খুবই জাগ্রত। তাই প্রাচীন রীতি মেনেই পুজো হয়।
কেতুগ্রামের সামন্তবাড়ির পুজোতেও রয়েছে মায়ের স্বপ্নাদেশের কাহিনী। এই পুজো এবার ১৭৩ বছরে পড়ল। সামন্ত পরিবারের বর্তমান অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ সামন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদে কর্মরত। কথিত আছে, কেতুগ্রামের ঝামটপুর গ্রামের আন্নাকালীদেবী স্বপ্নাদেশ পান, তাঁদের বাড়ির কাছে জয়ধারা নামে দিঘির অগ্নিকোণে একটি ছোট পাথরের কালীমূর্তি রয়েছে। ঢাক, কাঁসর বাজিয়ে তিনি ওই দিঘিতে ডুব দিলে সেই কালীমূর্তি পাবেন। এরপর তিনি স্বামীকে ঢাক, কাঁসরের আয়োজন করার কথা বলেন। ডুব দিয়ে ওই মূর্তি এবং শিসযুক্ত একটি ডাব পান। তারপর ওই মায়ের মূর্তি নিয়ে পুজো শুরু হয়। পরিবারের সদস্যদের কথায়, প্রথম বছর পুজো করার পর মূর্তিটি ভাগীরথী নদীতে বিসর্জনের স্বপ্নাদেশ পান। সেই মতো পাথরের মূর্তিটি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু, এখনও সেই শুকনো ডাব মন্দিরে আছে।