উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
সোমবার, ২১ অক্টোবর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চালু করেছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ষষ্ঠ পর্যায়ের গোল্ড বন্ড কেনার অফার। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এখন ক্রেতারা এই বন্ড কিনতে পারবেন। এই অফার চালু থাকছে আজ শুক্রবার ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই অর্থবর্ষে দশবার এমন অফার দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে। সপ্তমবারের অফার চলবে ২রা থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই গোল্ড বন্ডের দাম ধরা হয় সোনার চলতি বাজার মূল্য অনুসারে। এইবার, অর্থাৎ ষষ্ঠবারে ভারত সরকারের ‘সভারেন গোল্ড বন্ড’-এর অফার প্রাইস রাখা হয়েছে ৩৮৩৫ টাকা প্রতি গ্রাম। যাঁরা অনলাইনে এই বন্ড কিনবেন তাঁরা প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ডিসকাউন্ট পাবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য এবারের অফার প্রাইস হবে ৩৭৮৫ টাকা প্রতি গ্রাম। যে কোনও রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান, অর্থাৎ এইদেশে বসবাসকারী ভারতীয় এই বন্ড কিনতে পারেন। প্রতি অর্থবর্ষে একজন ব্যক্তি ন্যূনতম ১ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৪ কেজি পর্যন্ত মূল্যের বন্ড কিনতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান অথবা ট্রাস্টের ক্ষেত্রে কেনার সর্বোচ্চ সীমা হল ২০ কেজি প্রতি বছর। কোনও ব্যক্তি এককভাবে, অথবা অন্য কারও সঙ্গে যৌথভাবে বন্ডটি কিনতে পারেন। তবে ‘জয়েন্টলি’ বা যৌথভাবে কিনলেও প্রথম ক্রেতার নামেই সর্বোচ্চ ৪ কেজি সোনার মূলের বন্ড ইস্যু হবে। যদিও পরিবারের সব প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের নামেই এভাবে ৪ কেজি মূল্যের বন্ড কেনা যেতে পারে। অর্থাৎ কোনও পরিবারে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য থাকলে, প্রত্যেকের নামে চার কেজি করে, এক বছরে মোট ১৬ কেজি সোনার মূল্যের বন্ড কেনা যায়। গোল্ড বন্ডের মেয়াদ হল আট বছর। তবে কেনার পর পঞ্চম, ষষ্ঠ অথবা সপ্তম বছরে এই বন্ড ভাঙিয়ে নেওয়া যায়। এই বন্ড যে কোনও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘কোল্যাটারাল’ বা বন্ধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গোল্ড বন্ড কিনলে ক্রয়মূল্যের উপর সরকার প্রতি বছর ২.৫০ শতাংশ নির্দিষ্ট হারে (ফিক্সড রেট) সুদ দেয়। এই সুদ প্রতি ছয়মাস অন্তর ক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তবে এই সুদ করযোগ্য। এছাড়া ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই বন্ড কিনলে তা এক্সচেঞ্জে ‘ট্রেড’ করা যায়। সেক্ষেত্রে পাঁচ থেকে আট বছর নয়, নির্দিষ্ট কিছু সময় পরেই, বন্ডের দাম বাড়লে, তা শেয়ার বাজারে বিক্রি করে ক্রেতা ঘরের টাকা ঘরে তুলে নিতে পারেন।
তবে এই সুবিধা শুধু ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কেনা বন্ডের ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। তাছাড়া আগে যে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সে ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, এই বন্ড শেয়ার বাজারে বিক্রি করে দিলে কিন্তু তা পাওয়া যাবে না। তবে তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে বিক্রি করে দিলে তাকে ‘শর্ট টার্ম’ বলা হয়। তাই সেক্ষেত্রে ‘লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স’ প্রযুক্ত হয় না।
গোল্ড বন্ড কেনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি একটাই। সেটা হল, বাজারে যদি ধাতব সোনার দাম পড়ে যায়। তাহলে পড়তি সোনার দামের সঙ্গে তাল রেখে বন্ডের দামও কমে যাবে। তখন ক্রেতা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। যদিও এই সোনা-পাগল দেশে দীর্ঘমেয়াদে সোনার দাম পড়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা আছে কি?