Bartaman Patrika
 

বাঙালির উৎসব মানেই স্বর্ণালঙ্কার
শ্যামলী বসু

সেকালে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলতে বোঝাত পরিবারের গিন্নি, মেয়ে, বউদের গয়নাপত্র। তাই সচ্ছল সম্পন্ন পরিবার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেও বিয়ের সময় বউ-মেয়েদের সাধ্যমতো গয়না দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েদের। গা ভরা সোনা-জড়োয়ার গয়নায় মেয়ে-বউদের রূপের জৌলুস বাড়বে। আবার ভবিষ্যতে নিতান্ত প্রয়োজন হলে ওই গয়নাই কত কাজে আসবে। তাই সোনার গয়নাই দেওয়া হত বেশি, তার সঙ্গে দেওয়া হত জড়োয়ার গয়নাও। কতরকমের গয়না—মুকুট, সিঁথি, ঝাপটা, চিক, নেকলেস, সীতাহার, বীরবৌলি, কানপাশা, ঝুমকো, চুড়ি, চূড়, বালা, ব্রেসলেট কত বলা যায়? এছাড়াও ছিল দুটি সুন্দর গয়না— নথ আর ব্রোচ।
নববর্ষের উৎসবে বা বিয়ে, বউভাত, পুজোয় , নিজের বাড়ি বা কুটুম্ব-আত্মীয়বাড়িতে গা ভরা গয়নায় সেজে মেয়ে-বউরা পালকি বা জুড়িগাড়ি থেকে নামত আশপাশের সকলের চোখ ঝলসে দিয়ে। আর এই গয়না পরা নিয়ে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে চলত একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা বা রেষারেষি। যাকে বলা হত বড়মানুষির জাঁক দেখানো। তেমনই একটি স্মৃতির ছবি দেখতে পাই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক পুত্রবধূ, প্রফুল্লময়ীর আত্মকথায়। ‘উৎসবের সময় আমাদিগকে নানারকম গহনা পরিয়া সাজিতে হইত। এখনকার মত তখনকার দিনের গহনা অত হালকা ছিল না। বাড়ির যে নতুন বউ... তাহাকে আরও বেশি গহনার উৎপাত সহ্য করিতে হইত। ...গলায় চিক, ঝিলদানা, হাতে চুড়ি। বালা, বাজুবন্ধ, বীরবৌলি, কানবালা, মাথায় জড়োয়া সিঁথি। পায়ে গোড়ে, পায়জোর, মল, ছানলা চুটকি। এই ছয়-সাত সের ওজনের গহনা, .... গহনার ভারে কোনওরকমে বাঁকিয়া চুরিয়া চলিতাম, তাহাতে বাহিরের লোকেরা মনে করিত যে আমি গহনার জাঁকে ও গুমরে ঐরূপভাবে চলিতেছি। ....ইহা ছাড়াও দশভরির গোট কোমরে পরিবার নিয়ম ছিল।’ গয়নার ভারে তন্বী ত্রয়োদশী বধূটির অবস্থা ও ছয়-সাত সেরের গয়না আজকের যুগে মনে হবে গল্পকথা!
তবে গল্পকথা নয়, এমন গয়নাই সেকালের সচ্ছল পরিবারের রীতি ছিল সেকথা জানা যায় সেকালের আর এক গরবিনী সীমন্তিনী-কৈলাসবাসিনীর নিজের কথায়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোরীচাঁদ মিত্রের স্ত্রী কৈলাসবাসিনী লিখে গিয়েছেন তাঁর অলংকার ঐশ্বর্যের কথা আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে। ‘কোমরে দুই ছড়া চন্দ্রহার আর গোট চাবিশিকলি। হাতে দমদম মিচরি তিনজোড়া। পিনখাড়ু তিনজোড়া। ঘোড়োয়া পঁইছা। হাতাহার জাল ও হাতের মুকুতা। হাতে চালদানা, সরদানা। নঙ্গ (লবঙ্গ) কলি, নঙ্গফুল নারিকেল ফুল, মাদুলি, সোনার পঁইছা, বাউটি ও হাতমাদুলি। ওপর হাতে তাবিজ ও বাজু। তাগা, জমন (জসম) ঝাঁপা ও নবরত্ন। গলায় ডামন (ডায়মন্ড) কাটা চিক ও গোপহার ও ছড়িহার ও হেঁসো (হাঁসুয়া) হার। ন-নর গোলমালা। সাত নরদানা। পাচনর পানহার, ন-নর মুকুতা। দো-নর মুকুতা। মুকুতার কন্টি ও আরেক ছড়া কন্টি (কণ্ঠি)। কানে তিনজোড়া চউদানি, দু’জোড়া কানবালা, মুকুতার গোচা ও কান ঝোমকা (ঝুমকা)। মাতায় সিঁতি ও ফুলকাঁটা ও গোট। গলায় চাপকলি ও ধুকধুক। এছাড়া পায়ে ছ’গাছা মল ছিল আশি ভরির। জড়োয়া নথও ছিল কয়েকটি। আরও গয়না নানা উপলক্ষে পেয়েছিলেন বাবা, স্বামী ও শাশুড়ির কাছ থেকে’।
সেকালে গয়নাগাটি মেয়েদের এমনই ছিল। ভারী গয়না। অবনীন্দ্রনাথ দেখেছেন তাঁর সুন্দরী পিতামহীর কিছু গয়না ছিল মায়ের কাছে। ‘হীরে মুক্তো দেওয়া কান, ঝাপটা। ....একটি সাতনরীহার ছিল কী সুন্দর। দুগগো প্রতিমার গলায় যেমন থাকে। সেই ধরনের।’ সেকালেও পুরনো দিনের ভারী জমকালো গয়নার কদর ছিল বেশি। গগনেন্দ্রনাথের মেজ মেয়ে পূর্ণিমা লিখেছেন সেকথা। তাঁর দাদার বিয়েতে বউ আনতে যাওয়ার সময় পিতামহী সৌদামিনী তাঁর নিজের সেকেলে সব গয়না বের করে দিলেন। বললেন, ‘তোমাদের নতুন গয়না যৌতুক কর। ভারী গয়না না হলে কি বউ মানায়।’ সেইসব ভারী সেকেলে গয়নার কথাও বলেছেন পূর্ণিমা। ‘হীরের কণ্ঠা, কঙ্কন, বাউটি, কানবালা, হীরের কান।’
লেখিকা জ্যোতির্ময়ীদেবী লিখেছেন তাঁর গয়নার কথা। জয়পুর রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সংসারচন্দ্র সেনের পৌত্রী ছিলেন তিনি। তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে দেওয়া হয়েছিল ‘মুকুট নয় ভরি, কান ছয় ভরি। সাতলহরী চোদ্দো ভরি চূড় চোদ্দো ভরি। বালা পাঁচ ভরি, তাবিজ সাত ভরি বাঁক পাঁচ ভরি, গোট দশ ভরি।’ আর ছিল হাতভরা চুড়ি, খোঁপার ফুল চিরুনি চার ভরি, জড়োয়া মুক্তো মিনার সরস্বতীহার, নেকলেস, রুপোর মল ছিল ত্রিশ ভরি, পাঁয়জোর কুড়ি/পঁচিশ ভরি।’
উত্তরবাংলার হরিপুরের জমিদারবাড়ির মেয়ে কবি প্রসন্নময়ী লিখেছেন—বাড়ির মেয়ে-বউদের বারোমাসের আটপৌরে গয়না ছিল ‘হাতে বেঁকি চুড়ি, নারকেল ফুল, পৈঁচে, গলায় চাঁপকলি, তুলসীদানা, কানে কদমফুল, পিপুলপাতা, নাকে বেশর, কোমরে গোট।’— এই সামান্য বারোমেসে গয়না হলে জমিদারবাড়ির আভিজাত্যের ঠাঁট বজায় রাখা যেত না। আর নববর্ষের সময় বাড়ির গিন্নি মেয়ে বউ সকলেই ঠাকুর দালানে আসতেন— ‘হাতে বাউটি। পাঁচদানা, কণ্ঠে কামরাঙা হার, নাকে নথ, কানে কড়ি রিং, ঢেঁড়ি ঝুমকা, কোমরে চন্দ্রহার, পায়ে বাঁকমল পরে।
সেকালিনীর গয়নাগাটির কথা বলে শেষ করা যায় না। বিয়ে ছাড়াও অভিভাবক, স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িদের কাছ থেকে পেতেন নানা গয়না উপহার বিভিন্ন উপলক্ষে। সেকালেও প্রগতিশীল পরিবারের তরুণী মেয়েরা ভাবী স্বামীর কাছ থেকেও পেয়েছেন উপহার। পরে বলছি সেকথা। দ্বারকানাথ ঠাকুরের পরিবারের ছ’বছর বয়সের গৌরাঙ্গী সারদা পুত্রবধূ হয়ে আসার পর সংসারে নানা শ্রীবৃদ্ধি ঘটল। তাতে পরম সন্তুষ্ট দ্বারকানাথ পুত্রবধূকে কিনে দিয়েছিলেন— লক্ষ টাকা দামের জড়োয়া খেলনা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে খুব খুশি করেছিলেন বিদুষী দৌহিত্রী সরলা, মাতামহের প্রিয় কবি হাফেজের কবিতায় সুর বসিয়ে, গান গেয়ে শুনিয়ে। দেবেন্দ্রনাথ দৌহিত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন চুনি ও হীরে বসানো নেকলেস আর ব্রেসলেট। মামাবাবু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে গান শুনিয়ে সন্তুষ্ট করে সুগায়িকা ভাগ্নি সাহানা উপহার পেয়েছিলেন— হীরের আংটি আর বড় বড় মুক্তো বসানো নেকলেস। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে ছিল একটি দুর্লভ মোহর। যার একপিঠে জাহাঙ্গির অন্য দিকে ছিল নূরজাহানের ছবি। আর ছিল একটি বড় পান্না। নিজের জহুরিকে ডেকে সেই মোহর ও পান্না দিয়ে অবনীন্দ্রনাথ স্ত্রী সুহাসিনীকে একটি সুন্দর ব্রোচ তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন। ইন্দিরা দেবীচৌধুরানির বিয়ের সময় বাবা মা তাঁকে দিয়েছিলেন একটি ‘প্ল্যাটিনামের উপর হীরে বসানো বেশ বড় একটি ফুলপাতা নকশার ব্রোচ। তার বড় ফুলটা কাঁপত।’ লীলা মজুমদার লিখেছেন তাঁর ছোট পিসিমার মেয়ে মালতীর একটি আশ্চর্য সুন্দর ব্রোচের কথা। সেই ব্রোচের ‘মস্ত মুক্তোর ভিতরে আলো জ্বলত।’
প্রাক বিবাহ পর্বে ইন্দিরা ভাবী স্বামী প্রমথনাথের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন এক চেন ব্রেসলেট— যা সেকালে বিদেশিনী মেমদের হাতে দেখা যেত। ইন্দিরা জানিয়েছেন স্মিত মন্তব্য সহ ‘সোনার ঢিলে শিকল হাতে পরিয়েছিলেন।’ আর ‘সোনার হলেও শিকল তো বটে!’ প্রমথনাথ আরও দিয়েছিলেন— ‘নীলাতে মুক্তোতে গাঁথা চিক।’ রমেশচন্দ্র দত্তের বড় মেয়ে কমলার আঙুলে ভাবী স্বামী প্রমথনাথ বসু পরিয়ে দিয়েছিলেন হীরের আংটি।
গয়না নিয়ে চিরদিনই সংসারে, পরিবারে অনেক কথা! অনেক বিবাদ। ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা। অনেক দম্ভ, লোভ, মান অভিমান, এমনকী মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে। গয়নার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কত রোমান্স, রোমাঞ্চ আর ভালোবাসা, আবার দুঃখ ও চোখের জলও। তবুও সংসারে মেয়েদের গয়নার প্রতি দুর্বলতা থাকবেই।
একালেও মেয়েরা গয়না পরে সাজতে ভালোবাসে। তবে সেকালের মতো একশো-দেড়শো ভরির সোনার গয়না এখন গল্পকথা। মেয়েকে পনেরো-বিশ ভরির গয়না দিতেই গৃহস্থের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। একশো বছর আগেও সোনার ভরি ছিল— কুড়ি-বাইশ টাকা। এখন দুর্মূল্যের দিনে অকৃপণ হাতে আর সোনার গয়না মেয়ে-বউকে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবু নববর্ষে পুণ্যলগ্নে প্রিয়জনকে স্বর্ণালঙ্কার উপহার দেওয়ার সাধ তো থাকেই।
যুগের প্রয়োজনে স্বর্ণব্যবসায়ী, স্বর্ণকাররাও নতুন ধরনের গয়না করার চেষ্টা করছেন। সেকালের ভারী ভারী গয়নার বদলে নান্দনিক নকশার হালকা গয়না তৈরি করছেন। মধ্যবিত্ত মানুষের কেনার ক্ষমতার দিকে নজর রেখেই। এক নামী স্বর্ণকার বলেছিলেন, ‘সেকালের অনেক গয়না এখন ফিরে আসছে, যেমন রতনচূড়, আর্মলেট ইত্যাদি। আমরা সেইসব গয়না কম সোনায় হালকাভাবে সুন্দর নকশায় তৈরি করছি। এখনকার ক্রেতাদের কেনবার ক্ষমতার দিকে লক্ষ রেখে।’ বর্তমান সময়ে এটা খুবই আশা ও আশ্বাসের কথা তা বলাই বাহুল্য, বিশেষ করে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে।
এখন মেয়েরা পরছেন রংবেরঙের পুঁতির মালায় গাঁথা সোনার লকেট, সঙ্গে মানানসই কানের ছোট গয়না। কখনও বা ট্যাসেলের ফাঁসে (নানারঙের) ঝোলে সোনার লকেট, সঙ্গে মানানসই কানের গয়না। আধুনিক কালের মেয়ে-বউদের তাতে আপত্তি নেই, বরং নানা রঙের শাড়ি ও পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় সেই আনন্দটাই বড় কথা। যুগের প্রয়োজন বুঝে মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিকতাও বদলে গিয়েছে। কিন্তু বদল ঘটেনি গয়না প্রীতির। গয়না তারা ভালোবাসে, পরতেও চায় নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। মেয়েরা এখন অনেক ফ্যাশন সচেতন। কিন্তু নববর্ষ বা পুজোর মতো বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব অনুষ্ঠান যেন সোনা-জড়োয়ার গয়না ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। আর এইসব উৎসব উপলক্ষে উপহার হিসাবে সোনার গয়নার এখনও তুলনা নেই।
15th  April, 2019
 হাওড়া-হুগলির মন্দিরে আজ লম্বা লাইন

  একটা সময় ছিল নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে হালখাতা। সারা বছরের ক্রেতাদের ওইদিন দোকানে আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রীতি ছিল। সেই রীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, নববর্ষের সকালে লাল শালুতে মোড়া খাতা নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার চল এখনও আছে।
বিশদ

15th  April, 2019
দক্ষিণেশ্বর থেকে আমডাঙা ঢল নামবে ভক্তদের

  ‘এসো হে বৈশাখ এসো’। চৈত্রের পাতাঝরা দিন পেরিয়ে পয়লা বৈশাখের শুভ আগমন। বাঙালির নববর্ষ। আর পয়লা বৈশাখ মানেই মায়ের পায়ের সিঁদুর ছোয়ানো স্বস্তিক আঁকা চিহ্নের লাল মলাটের খাতা। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথমদিনে যে খাতার সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। আপামোর বাঙালির কাছে যা ‘হালখাতা’ নামেই পরিচিত।
বিশদ

15th  April, 2019
হাতিবাগান জমজমাট!
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 হাতিবাগান আজ জমজমাট। আজ পয়লা বৈশাখ। স্টার থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে নতুন নাটক ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পদ্ম ঝি করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালনায় বিভাস চক্রবর্তী। প্রথম শো উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে স্টার থিয়েটার। হু হু করে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিশদ

15th  April, 2019
নববর্ষে ময়দানে বারপুজোর অতীত গরিমা প্রায় বিলীন
রাতুল ঘোষ

পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোয় স্রেফ মজিদ বাসকারকে দেখার জন্য ইস্ট বেঙ্গল মাঠ সদস্য সমর্থকে ভরে গিয়েছিল।
বিশদ

15th  April, 2019
এক নববর্ষের দিনে
অহনা বিশ্বাস

 ঘণ্টা বাজছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কলকে গাছের ছায়ায় মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লাম। পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু তড়বড় করে ছেলেমেয়ের হাত ধরে এসে এখানে-ওখানে চটের ওপর বসে পড়ল। পৃথা তো তার গায়ক ছেলেকে একেবারে মন্দিরের দরজার পাশে বসিয়ে দিয়ে এল। ভেতরে সাদা পোশাকের পাঠভবনের বাচ্চারা। এস্রাজ বাজছে।
বিশদ

15th  April, 2019
পয়লা বৈশাখ মানেই আড্ডার ছবি
রূপা মজুমদার

 দেব সাহিত্য কটীর-এ পয়লা বৈশাখ পালন বলতে প্রথমেই ভেসে ওঠে ‘আড্ডার’ ছবি। আপাতদৃষ্টিতে ‘আড্ডা’কে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখেন না, নিন্দুকেরা তো আড্ডাবাজ বলে বাঙালি জাতটাকেই কুখ্যাত করেছে। প্রকৃতপক্ষে ‘আড্ডা’ দেওয়া একটা আদিম ও অনাদি জীবধর্ম, বাঙালির মতো এ সত্যকে কেউ আর জীবনে এত বেশি স্বীকার করতে পারেনি।
বিশদ

15th  April, 2019
এল দিন নবীন বরণের
তরুণ চক্রবর্তী

 আজ ভোরের সূর্য ডেকে তুলেছে আমাদের নতুন দিনের জন্মতিথি এল বলে। বর্ষশেষে আমরা পেলাম আজ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ দিনটি। আর এই দিনটিকে নতুন করে পাব বলেই তো আমাদের ব্যস্ততা গত কয়েকদিন থেকে। পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রিশেষে আমরা নববর্ষের এই প্রথম দিনটিতে জেগে উঠতে চাই নতুন অনুভবে।
বিশদ

15th  April, 2019
পুরনো কলকাতার পঞ্চব্যঞ্জন
সাধনা মুখোপাধ্যায়

নববর্ষ মানে হারানো বাঙালিয়ানা ফিরে পাওয়া। পয়লা বৈশাখ মানে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহন। আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম আমরা। নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সকলের জীবন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে দূরীভূত হোক সকল গ্লানি, আনন্দে মুখরিত হোক আকাশ-বাতাস। স্বাগত ১৪২৬।
বিশদ

15th  April, 2019
বাঙালির ফেসবুক লেখালিখি
সুমন সরকার

সিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কী! বেশ ধুপের ধোঁয়া , পেছনে পুউউউ করে শঙ্খ বাজছে। আবির্ভাব হচ্ছে এক ন্যাড়া প্রভুর। সেইরকম এক ন্যাড়াপ্রভুর মতন ফেসবুক বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ওঠো, জাগো, পোস্ট করো। নিজে পোস্ট করে আর অন্যকে ট্যাগ করো।’ বাবাজিদের ব্যাপারে বাঙালিরা চিরকালই একটু বেশী চাপ নেয় ।
বিশদ

15th  April, 2019
সেকালের বইপাড়ায় নববর্ষের আড্ডা
সবিতেন্দ্রনাথ রায়

বইপাড়ায় আমি আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে কাজে ঢুকেছিলাম। তখন নামী বইয়ের দোকান বেশিরভাগ ছিল কলেজ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের রাস্তায়— দাশগুপ্ত, এস. কে. লাহিড়ী, সেন ব্রাদার্স, সেন রায়, ইউ. এন. ধর প্রভৃতি।
বিশদ

15th  April, 2019
আমার জন্যে এক মিনিট
জয়ন্ত দে

আসুন, আমার জন্য এক মিনিট শোক পালন করুন। মাত্র এক মিনিট!
কিছুদিন ধরে এই কথাটা আমি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বলেছি।
বিশদ

15th  April, 2019
স্টুডিওপাড়ার মহরত এখন শুধু স্মৃতি
গুঞ্জন ঘোষ

 বাংলা ছায়াছবির জগতে পয়লা বৈশাখের মহরৎ কবে থেকে চালু হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। শুভ মুহূর্তে শুভ উদ্যোগের সাফল্য কামনায়এই মাঙ্গলিক উপাচার। সঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। সিনেমা যে বানিজ্যেরই অংশ।
বিশদ

15th  April, 2019
নতুন বছরে বাঙালির বিত্তচিন্তা
শংকর

 জয় হোক বিশ্বসংসারের মানুষের, সেই সঙ্গে সুখে থাকুক আসমুদ্রহিমাচলে বহুযুগ ধরে জর্জরিত ভারতীয়রা এবং একই সঙ্গে সুখে থাকুক পৃথিবীর সেইসব পুরুষ ও নারী, যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে ভাবতে আজও ভালোবাসেন। পয়লা বৈশাখ, নববর্ষের শুভারম্ভে মানুষ হিসেবে যা প্রাপ্য তার থেকে তাঁরা যেন কোনও অজুহাতেই বঞ্চিত না হন।
বিশদ

15th  April, 2019
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি গিয়ে আপনমনে গান গাইতেন বাবা
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সকালে চা দিয়ে শুরু। একটু বেলা গড়ালে শরবৎ, তারপর দুপুরলো বিশাল খাওয়া দাওয়া— শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছভাজা, মাছের ঝোল, টক সব মা রান্না করতেন। বিশদ

15th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউ
প্রয়াত চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক ও চন্দননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ...বিশদ

12:16:23 PM

ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, ভোট আবহে অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের
তাঁকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ভোটের ...বিশদ

11:49:57 AM

প্রয়াত সাংসদ অজিত পাঁজার বাড়িতে ভোট চাইতে উপস্থিত কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়

11:43:00 AM

উদয়নকে কেএলও-র চিঠি, ৫ কোটির দাবি
জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র নামে চিঠি পেলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ...বিশদ

11:25:09 AM

ভিভিপ্যাট-ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় আজ নির্দেশিকা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট

11:15:17 AM

২৮৮ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

10:39:10 AM