Bartaman Patrika
 

বাঙালির ফেসবুক লেখালিখি
সুমন সরকার

সিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কী! বেশ ধুপের ধোঁয়া , পেছনে পুউউউ করে শঙ্খ বাজছে। আবির্ভাব হচ্ছে এক ন্যাড়া প্রভুর। সেইরকম এক ন্যাড়াপ্রভুর মতন ফেসবুক বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ওঠো, জাগো, পোস্ট করো। নিজে পোস্ট করে আর অন্যকে ট্যাগ করো।’ বাবাজিদের ব্যাপারে বাঙালিরা চিরকালই একটু বেশী চাপ নেয় । তাই বাঙালি জেগে উঠল। এমনিতেই বাঙালি আলুভাতের সঙ্গে লঙ্কা, আমতেল আর কালচার মেখে খায়। ঢেঁকুর তুললে ইমনের কোমল নিষাদ ছুঁয়ে যায় । কে যেন একবার বলেছিল, বাঙালির ব্লাডে ব্লাড নেই , সুলেখা ব্লু আছে! বাঙালি প্রচুর লিখতে পারে। বাঙালির মনে অনেক অনেক কথা । কিন্তু, জায়গা কই অতো লেখার! তাছাড়া লেখালিখি তো সাহিত্যিকরা করে । কিন্তু, ফেসবুক এসে বলল – ‘তুমিও পার।’ ব্যাস ! সকলে স্মার্ট ফোনে বা কম্পিউটারে বসে গেল। শুধু কি লেখা,পড়ার লোকেরও অভাব নেই। যারা জীবনে কখনও গল্প কবিতা পড়েনি তাঁরাও পাঠক হলেন । এতো ভালো জিনিস মানব সভ্যতায় অকল্পনীয় । মানুষ পড়ছে , লিখছে । কিছু লোক লিখে একটু নাম করল। কিন্তু, নাম করার ইচ্ছে সকলেরই । তাই অন্যকে নাম করতে দেখে বাকিরাও ভাবল, আরে ও পারলে আমিও কি কম যাই নাকি! এই যে নাম হচ্ছে, এটা বুঝবেন কীভাবে? বোঝার উপায় হল লাইক এবং শেয়ার । এই লাইক , শেয়ারকে ফেসবুকের কারেন্সি বলতে পারেন । যেমন জাল নোট হয়, তেমনই এই লাইক শেয়ারও জাল হয় । কারণ , প্রচুর লোকে লিখছে । এবার পাঠকও দিশেহারা , এতো লেখা পড়ার টাইমও নেই । কিন্তু , লোককে দেখাতে হবে যে , সে পড়ছে । তাই না পড়েই দেদার লাইক ! কিছু কিছু লেখক আবার বাবাজি টাইপের বাণী দিয়ে থাকেন –‘রণে , বনে , জলে যেখানেই আমার লেখা দেখিবে , লাইক করিবে।’ আগেই বলেছি , বাঙালিরা বাবাজিদের নিয়ে একটু বেশীই চাপ নেয় । ফেসবুকে কেউ কিছু লিখে পোস্ট করতেই পারেন এবং সেই পোস্টে কেউ লাইক , কমেন্ট করতেই পারেন । এটা নিতান্তই সরলরৈখিক বিষয় । কিন্তু, ফেসবুকে এইসব সস্তার সরলরেখা ছাড়াও অজস্র বক্ররেখা কলকাতার বিপদজনক বাড়ির ইলেকট্রিক তারের মতন জট পাকিয়ে আছে । কিছু লোক মনে করেন তাঁরা ফেসবুকে লিখে মানবসভ্যতায় বিরাট একটা অবদান রাখছেন। বইমেলায় এরা যখন হেঁটে যান, চারপাশে হুকমারা জ্যোতি দেখা যায় ! এদের লেখা যে অতি খাজা তাতে সন্দেহ নেই । কিন্তু, খারাপ জিনিস মাঝে মাঝে এতো খারাপ হয় যে তার এই তীব্র খারাপ হওয়ার মধ্যে বিস্ময় খুঁজে পান পাঠকের দল । এদের দেখে কিছু লোক ফেসবুকে লেখা শুরু করে । তাঁদের দেখে আবার কিছু লোক লেখা শুরু করে । এভাবে তীব্র থেকে তীব্রতর খারাপ লেখা ফেসবুকে পোস্ট হতে থাকে । লেখককুল ছেড়ে একটু পাঠকদের দিকে চোখ রাখা যাক । সৈয়দ মুজতবা আলির একটি লেখায় সেই পঁয়তাল্লিশ নম্বরের ভানুমতীতে আক্রান্ত দুর্ভাগা কয়েদীর কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে । ‘মা খু চিহল পঞ্জম হস্তম।’ বা ‘ডলি কি ডোলি’ নামক হিন্দি ছবির ঠগটিমের সেই বুড়ি যে শুধু একটা লাইন গোটা ছবিতে বলে গেল –‘বেটি দেদি , সব কুছ দে দিয়া।’ ফেসবুক পাঠকদের একটা বড় অংশ এইরকম । কেউ বলে – ‘মন ছুঁয়ে গেল’ , কেউ বলে ‘আপনি কেন এত কাঁদান’, কেউ বলে ‘আপনার লেখা পড়ে তিনরাত ঘুম হয়নি’ , কেউ বলে – ‘কান্না থামছেই না।’ বিভিন্ন পাঠক থুড়ি বিভিন্ন রোগীর বিভিন্ন সিনড্রোম! লেখক পোস্ট করলেন, ‘আমি বেদুইন , আমি চেঙ্গিস , আমি নিজের বউকে ছাড়া কাউকে করিনা কুর্ণিশ।’ এবার নীচে একের পর এক – ‘মন ছুঁয়ে গেল’, ‘আপনি সেরা’ চলতেই থাকে । এবার অন্য কেউ পোস্ট করলেন, ‘আমার দাদুর পাইলস অপারেশন আজ । আপনারা আমার পাশে থাকুন । আমার আজ নেপোলিয়নের কথা খুব মনে পড়ছে । ওঁ যখন পাইলসের প্রবলেম নিয়েও ব্যাটেল অফ ওয়াটারলু লড়েছিল ...... ।’ এবার সেই রোগী মানে পাঠকেরা লিখতে শুরু করলেন,‘মন ছুঁয়ে গেলো’ , ‘আপনার দাদুর পাইলসের খবর শুনে আমার তিনরাত ঘুম হয়নি।’ আসুন এবার একটু অঙ্ক করা যাক । কোনও ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা ‘আমার তিনরাত ঘুম হয়নি’ কমেন্ট একমাসে পনেরোজন ফেবু লেখকের (ফেসবুক লেখকদের ডাকনাম) পোস্টে করে এসেছেন । পনেরো গুনিত তিন , মানে পঁয়তাল্লিশ রাত ওঁর ঘুম হয়নি একমাসে । এঁরা তো নাইটগার্ড দিতে পারেন! একই হিসেবে কারও মন পঞ্চান্ন বার ছুঁয়ে গিয়েছে, কাউকে তিপ্পান্ন বার কাঁদতে হয়েছে । খুবই চাপের ব্যাপার!
ফেসবুক আসলে জলের মতন। যে পাত্রে ঢালা হয় তার আকার নেয় । মানে ফেসবুক বাঙালির কি কাজে লাগে, এর একটা উত্তর হয় না। যার যেমন দরকার ফেসবুক সেভাবে তার কাছে মেলে ধরে। যাদের জীবনে খেয়েদেয়ে কোনও কাজ নেই তাঁদের কর্মসংস্থানের সেরা ঠিকানা ফেসবুক। সারাদিন লাইক, শেয়ার করতে থাকুন। অবান্তর ছবি, ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট করতে থাকুন। আর যদি পেটে কবিতা থাকে তাহলে তো কেল্লা ফতে! যত কঠিন কবিতা, যত বেশী অর্থহীন তত বেশী ‘মন ছুঁয়ে গেল’ পাবলিকের ভিড়। যিনি পোস্ট করছেন তিনি যদি লেখিকা হন তাহলে কিছু পুরুষ পাঠক একটু বেশীই প্রশংসা করেন। সেক্ষেত্রে বিড়াল নিয়ে পচা আদিখ্যেতাও কবিতা হয়ে যায় ! কিছুদিন এসব করার পর মেসেঞ্জারে –‘আপনি কি বেহিসেবি হতে চান’, ‘তোমার আঁচল পেতে দাও , আমি নাক মুছব’! ছোটগল্প হয়তো শেষ হয়েও হইল না শেষ। কারণ, সেখানে কুপ্রস্তাব থাকে না । কিন্তু, ফেসবুকের অনেক ছোট গল্প কুপ্রস্তাবে শেষ হয় । তারপর স্ক্রিনশটের তাস পড়তে থাকে । লেখকদের মহা জ্বালা । কারণ , বহু লোক কিছু লিখে তাঁদের পড়তে দেন। লেখকের দোষ তিনি কিছু মানুষের মনের কথা বলে ফেলেছেন! এর থেকে তিনি খাল কেটে কুমির আনলে বেঁচে যেতেন। কারণ , কুমীর ফেসবুক করে না , সে লেখাপড়া জানে না । কিন্তু, লেখক খাল কেটে পাঠক এনেছেন! এমন পাঠক যে লেখক হতে চায় । কারও স্বামী বাইরে থাকে বলে সময় কাটে না , কারও পায়ে হাজা , কারও পেটে গুড় গুড় , কারও শ্যালিকার বিয়ে হচ্ছে না , এসব কথা লেখককে জানাতে থাকেন কবিতা বা গদ্যের মাধ্যমে ।
আরও একটা মজা আছে ফেসবুকে। এখানে সবাইকেই সুখী মনে হয় । কেউ বিদেশে বউয়ের সঙ্গে সেকেন্ড হনিমুন করছেন, কেউ আমেরিকায় ফুলবাগানে মৌমাছির সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ ছেলে পুলে নিয়ে মায়ার সংসার করছেন । কারও জীবনে একটুও দুঃখ নেই । সেই দেখে বাকিরা ভাবে, ওরা কেন এতো সুখী! আর আছে খাবারের ছবি। আজ অবধি কখনও কোনও খাবারের ছবি খারাপ উঠেছে বলে অভিযোগ ওঠেনি । গোবরে পটাসিয়াম সায়ানাইড মিশিয়ে উপরে চেরি আর সাদা ক্রিম ছড়িয়ে দিয়ে সেটার ছবি পোস্ট করলে , কত লোক বলবে –‘আহা , জিভে জল এসে গেল । খুব লোভ দিলাম।’
তবে ফেসবুকে সবচেয়ে সাঙ্ঘাতিক হল বিপিও কর্মীরা । মানে বিশ্ব পাকা অরগ্যানাইজেশনের কর্মীরা । এরা জীবনে ঠিক কী চায়, বোঝা যায় না । তবে কঠিন কঠিন সব ব্যাপার পোস্ট করে । এরা একটা গোষ্ঠীতে থাকে । যে গোষ্ঠীর সকলেই পাকা এবং সব জানে ও বোঝে । এরা নিজেদের গোষ্ঠী বাদে বাকিদের খুব একটা পাত্তা দেয়না ।
যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, ফেসবুক বাঙালির জীবনে কি করেছে, তাহলে তার উত্তরে বলতে হয় যে ফেসবুক বাঙালির জীবনের দাম খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে । সংসারে অশান্তি , গার্লফ্রেন্ড ভাট বকে আর সারাক্ষণ ব্রেকআপ করে মাথার ঘিলুর চচ্চড়ি বানিয়ে দেয়, বস সারাক্ষণ অপমান করে, পটলের পেট টিপে কেনার সময় সব্জিওয়ালা গাল দেয় কিন্তু ফেসবুকে আপনি কবিতা পোস্ট করলে প্রজ্ঞাপারমিতার মন ছুঁয়ে যায়, ইপ্সিতা আঁতেলের চোখে জল আসে। জীবন আপনাকে যতই নিমেরপাঁচন গেলাক, আপনার ফেসবুক পোস্টে কয়েকশো লাইক আর ফেক অ্যাকাউন্ট নিঃসঙ্গ মানুষের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আলাপচারিতা আপনার জীবনের ভ্যালু আপনার কাছেই বাড়িয়ে দেয়। কেমন একটা লেখক লেখক ভাব, আপনার মধ্যে একটা কেউকেটা সত্ত্বার জন্ম দেয় । এটা আপনাকে খানিকটা সুখ দেয়। তীব্র গরমে বিকেল আর সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণে অজানা উৎস থেকে ভেসে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের মতন । তবে লাইক পাবার লোভে অনেকেই ছুটছে । এখানেও এক ইঁদুর দৌড় ! যারা লাইকে ভিজেছিল তাঁরা বেঁচে গিয়েছে । যারা লাইক পায়নি, তাঁরা লড়ছে । নিজের পোস্টের সঙ্গে কয়েকজনকে ট্যাগ করছে , যাতে তাঁদের ভাগের লাইকগুলি ওঁর নিজের কপালে জোটে । তবে বাঙালির জীবনে ফেসবুক না থাকলে কয়েক হাজার যমের অরুচি কবিতা কম লেখা হতো ।
লেখার শেষে ফেসবুকে লেখা চুরি নিয়ে দু’চার কথা বলতে ইচ্ছে করছে । একটু আগে বলছিলাম,ফেসবুক আপনার মূল্য খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। আপনার মূল্য বেড়ে যেতে দেখে অন্য কারও ইচ্ছে হতেই পারে যে তাঁরও মূল্য এবার খানিকটা বাড়ুক। এই ইচ্ছের বশবর্তী হয়ে সবাই যে কবিতা, গদ্য, ছবি (সবই খারাপ) পোস্ট করতে শুরু করেন তা কিন্তু নয় । একটা সহজ রাস্তা আছে । ‘চুপচাপ , লেখা ঝাঁপ’। চুরি করে নাও । ধরুন আপনি যাদবপুরে বসে ‘যদু’ নামে একটা লেখা পোস্ট করলেন । সেই লেখা দিব্যি ঝেড়ে ‘টুম্পা’ নাম দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে দিলেন মেদিনীপুরের কেউ। আপনি জানতেই পারলেন না। অনেক সময় আপনার কোন ফেসবুকবন্ধু দেখে ফেলেন যে আপনার লেখা ঝেড়ে কেউ নাম কিনছে। লেখাচোরকে চেপে ধরলে তিনি পৃথিবীর সব চোরের মতন উত্তর দেন – ‘আমি চুরি করিনি।’ কেউ কেউ দাবি করেন যে একই লেখার আইডিয়া তাঁর মাথাতেও এসেছে । শুধু আইডিয়া এসেছে তা নয় , আইডিয়ার সঙ্গে একই রকম বাক্য, একই জায়গায় জায়গায় দাড়ি ,কমা,ড্যাশ, সেমিকোলন ফুল ফ্যামিলি এসেছে । এই তো সেদিন এক লেখাচোরকে চেপে ধরতে তিনি আবার দাবি করলেন, ‘ওই লেখা তারই । যাকে আসল লেখক বলে ভাবা হচ্ছে তিনিই আসলে চোর।’ আসল লেখা পোস্ট হয়েছিল ১৮ ই মার্চ , আর চোর সেই লেখা ঝেড়ে পোস্ট করেছে ২৩ শে মার্চ । তবু চোরের দাবি তারই লেখা চুরি হয়েছে । হয়তো আসল লেখক টাইম মেশিনে চড়ে প্রথমে ফিউচারে গিয়ে ২৩ তারিখ চোরের লেখা ঝাড়ে, তারপর আবার অতীতে ফিরে ১৮ তারিখ ফেসবুকে নিজের ওয়ালে সেই ঝাড়া লেখা পোস্ট করে । লেখাচোর বোধহয় এরকম কিছু একটা বলতে চাইছিলেন !
15th  April, 2019
বাঙালির উৎসব মানেই স্বর্ণালঙ্কার
শ্যামলী বসু

 সেকালে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলতে বোঝাত পরিবারের গিন্নি, মেয়ে, বউদের গয়নাপত্র। তাই সচ্ছল সম্পন্ন পরিবার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেও বিয়ের সময় বউ-মেয়েদের সাধ্যমতো গয়না দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েদের। গা ভরা সোনা-জড়োয়ার গয়নায় মেয়ে-বউদের রূপের জৌলুস বাড়বে।
বিশদ

15th  April, 2019
 হাওড়া-হুগলির মন্দিরে আজ লম্বা লাইন

  একটা সময় ছিল নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে হালখাতা। সারা বছরের ক্রেতাদের ওইদিন দোকানে আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রীতি ছিল। সেই রীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, নববর্ষের সকালে লাল শালুতে মোড়া খাতা নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার চল এখনও আছে।
বিশদ

15th  April, 2019
দক্ষিণেশ্বর থেকে আমডাঙা ঢল নামবে ভক্তদের

  ‘এসো হে বৈশাখ এসো’। চৈত্রের পাতাঝরা দিন পেরিয়ে পয়লা বৈশাখের শুভ আগমন। বাঙালির নববর্ষ। আর পয়লা বৈশাখ মানেই মায়ের পায়ের সিঁদুর ছোয়ানো স্বস্তিক আঁকা চিহ্নের লাল মলাটের খাতা। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথমদিনে যে খাতার সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। আপামোর বাঙালির কাছে যা ‘হালখাতা’ নামেই পরিচিত।
বিশদ

15th  April, 2019
হাতিবাগান জমজমাট!
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 হাতিবাগান আজ জমজমাট। আজ পয়লা বৈশাখ। স্টার থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে নতুন নাটক ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পদ্ম ঝি করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালনায় বিভাস চক্রবর্তী। প্রথম শো উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে স্টার থিয়েটার। হু হু করে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিশদ

15th  April, 2019
নববর্ষে ময়দানে বারপুজোর অতীত গরিমা প্রায় বিলীন
রাতুল ঘোষ

পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোয় স্রেফ মজিদ বাসকারকে দেখার জন্য ইস্ট বেঙ্গল মাঠ সদস্য সমর্থকে ভরে গিয়েছিল।
বিশদ

15th  April, 2019
এক নববর্ষের দিনে
অহনা বিশ্বাস

 ঘণ্টা বাজছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কলকে গাছের ছায়ায় মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লাম। পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু তড়বড় করে ছেলেমেয়ের হাত ধরে এসে এখানে-ওখানে চটের ওপর বসে পড়ল। পৃথা তো তার গায়ক ছেলেকে একেবারে মন্দিরের দরজার পাশে বসিয়ে দিয়ে এল। ভেতরে সাদা পোশাকের পাঠভবনের বাচ্চারা। এস্রাজ বাজছে।
বিশদ

15th  April, 2019
পয়লা বৈশাখ মানেই আড্ডার ছবি
রূপা মজুমদার

 দেব সাহিত্য কটীর-এ পয়লা বৈশাখ পালন বলতে প্রথমেই ভেসে ওঠে ‘আড্ডার’ ছবি। আপাতদৃষ্টিতে ‘আড্ডা’কে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখেন না, নিন্দুকেরা তো আড্ডাবাজ বলে বাঙালি জাতটাকেই কুখ্যাত করেছে। প্রকৃতপক্ষে ‘আড্ডা’ দেওয়া একটা আদিম ও অনাদি জীবধর্ম, বাঙালির মতো এ সত্যকে কেউ আর জীবনে এত বেশি স্বীকার করতে পারেনি।
বিশদ

15th  April, 2019
এল দিন নবীন বরণের
তরুণ চক্রবর্তী

 আজ ভোরের সূর্য ডেকে তুলেছে আমাদের নতুন দিনের জন্মতিথি এল বলে। বর্ষশেষে আমরা পেলাম আজ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ দিনটি। আর এই দিনটিকে নতুন করে পাব বলেই তো আমাদের ব্যস্ততা গত কয়েকদিন থেকে। পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রিশেষে আমরা নববর্ষের এই প্রথম দিনটিতে জেগে উঠতে চাই নতুন অনুভবে।
বিশদ

15th  April, 2019
পুরনো কলকাতার পঞ্চব্যঞ্জন
সাধনা মুখোপাধ্যায়

নববর্ষ মানে হারানো বাঙালিয়ানা ফিরে পাওয়া। পয়লা বৈশাখ মানে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহন। আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম আমরা। নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সকলের জীবন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে দূরীভূত হোক সকল গ্লানি, আনন্দে মুখরিত হোক আকাশ-বাতাস। স্বাগত ১৪২৬।
বিশদ

15th  April, 2019
সেকালের বইপাড়ায় নববর্ষের আড্ডা
সবিতেন্দ্রনাথ রায়

বইপাড়ায় আমি আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে কাজে ঢুকেছিলাম। তখন নামী বইয়ের দোকান বেশিরভাগ ছিল কলেজ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের রাস্তায়— দাশগুপ্ত, এস. কে. লাহিড়ী, সেন ব্রাদার্স, সেন রায়, ইউ. এন. ধর প্রভৃতি।
বিশদ

15th  April, 2019
আমার জন্যে এক মিনিট
জয়ন্ত দে

আসুন, আমার জন্য এক মিনিট শোক পালন করুন। মাত্র এক মিনিট!
কিছুদিন ধরে এই কথাটা আমি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বলেছি।
বিশদ

15th  April, 2019
স্টুডিওপাড়ার মহরত এখন শুধু স্মৃতি
গুঞ্জন ঘোষ

 বাংলা ছায়াছবির জগতে পয়লা বৈশাখের মহরৎ কবে থেকে চালু হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। শুভ মুহূর্তে শুভ উদ্যোগের সাফল্য কামনায়এই মাঙ্গলিক উপাচার। সঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। সিনেমা যে বানিজ্যেরই অংশ।
বিশদ

15th  April, 2019
নতুন বছরে বাঙালির বিত্তচিন্তা
শংকর

 জয় হোক বিশ্বসংসারের মানুষের, সেই সঙ্গে সুখে থাকুক আসমুদ্রহিমাচলে বহুযুগ ধরে জর্জরিত ভারতীয়রা এবং একই সঙ্গে সুখে থাকুক পৃথিবীর সেইসব পুরুষ ও নারী, যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে ভাবতে আজও ভালোবাসেন। পয়লা বৈশাখ, নববর্ষের শুভারম্ভে মানুষ হিসেবে যা প্রাপ্য তার থেকে তাঁরা যেন কোনও অজুহাতেই বঞ্চিত না হন।
বিশদ

15th  April, 2019
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি গিয়ে আপনমনে গান গাইতেন বাবা
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সকালে চা দিয়ে শুরু। একটু বেলা গড়ালে শরবৎ, তারপর দুপুরলো বিশাল খাওয়া দাওয়া— শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছভাজা, মাছের ঝোল, টক সব মা রান্না করতেন। বিশদ

15th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM