বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
টিকিট কেটে শিল্পগ্রামে প্রবেশ করে মেঠো পথে হেঁটে বা উটের পিঠে চড়ে ঘুরে দেখবেন গ্রামজীবনের চলচ্ছবি। এখানের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। গ্রামগুলির মধ্যে রাজস্থানের মরু অঞ্চলের রাম ও সাম গ্রামের বাড়ি, ঢোল-ভিল-সেহরিয়াদের বৈচিত্র্যময় কুঁড়ে ঘরগুলি চোখ টানে। ঘরের অন্দরসজ্জাও চাক্ষুষ করার সুযোগ মিলবে। গুজরাতের কচ্ছের রণ অঞ্চলের গ্রামের ঘরগুলিও সযত্নে তৈরি। সেখানে বান্নি, রেওয়ারি, মেঘাওয়াল সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরগুলিও বেশ আকর্ষক। এছাড়াও দেখবেন গোয়া ও মহারাষ্ট্রের নানা ধরনের গ্রামের বাড়ির মডেল। যার মধ্যে এই দুই রাজ্যের সাগরতীরের জেলেগ্রামও রয়েছে।
শিল্পগ্রামের চৌপল, অঙ্গনে গ্রামের লোকশিল্পীরা নিয়মিত নানা ধরনের নৃত্য-গীত পরিবেশন করেন। এখানে কয়েকটি সংগ্রহশালা রয়েছে। আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট মিউজিয়াম, টেরাকোটা-মাস্ক-মিউজিয়াম, ট্রাইবাল মিউজিয়াম, কোঠি মিউজিয়ামে সাজানো আছে গ্রামীণ বৈচিত্র্যময় সম্পদ। গ্রামীণ খাবারের স্বাদ নিতে ঢুঁ মারুন শিল্পগ্রাম ধাবায়। এখানে খাবারের গুণমান বেশ ভালো। শিল্পগ্রামের থাডা হাটে গ্রামের মানুষরা হস্তশিল্পের সম্ভার সাজিয়ে রেখেছে কেনাকাটার জন্য। শিল্পগ্রামের শিখর স্থাপত্য উদ্যান থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনোরম দেখায়। রঙ্গমঞ্চেও মাঝে মধ্যে নানা অনুষ্ঠান হয়। প্রতি বছর শেষ দশদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পগ্রাম উৎসব ও হস্তশিল্প মেলা। সেই সময়ে শিল্পগ্রাম আরও বর্ণময় হয়ে ওঠে।