বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বলা হয় সুন্দরী গাছের আধিক্য থেকেই অরণ্যের নাম হয়েছে সুন্দরবন। তবে সুন্দরী ছাড়াও এই বাদাবনে রয়েছে কেওড়া, গরান, ধুঁধুল, গেঁওয়া, গোলপাতা আর বাঘেদের গা ঢাকা দেওয়ার জন্য আদর্শ হেতাল গাছ।
১০২টি ছোট বড় দ্বীপের মধ্যে ৫৪টি দ্বীপে রয়েছে জনবসতি। বাকিগুলি সবই ম্যানগ্রোভ অরণ্যয় ঘেরা। ঠেসমূল আর শ্বাসমূলের এই অরণ্যের বুক চিরে বয়ে গেছে মাতলা, বিদ্যাধরী, হোগলা, রায়মঙ্গল প্রভৃতি নদী। অরণ্যের অভ্যন্তরে বাস বুনো শুয়োর, বাঁদর, হরিণ, বনবিড়াল, আর হ্যাঁ আছেন জঙ্গলের মহারাজা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে দেখা হয়ে যেতে পারে সেই শার্দুল মহারাজের সঙ্গে।
নদীর তীরে মাঝে মাঝে রোদ পোহাতে দেখা যায় অতিকায় সব কুমিরদের। আর দেখা মেলে হরেক রঙের হরেক কিসিমের পাখির। সেগুলির মধ্যে রয়েছে— মাছরাঙা, বক, শামুকখোল, সিগাল, মাছ ধরা ঈগল, পানকৌড়ি প্রভৃতি।
প্রায় ৪ হাজার ২১০ বর্গ কিমি অঞ্চল বেষ্টিত এই অরণ্যের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশে। কিছুটা অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা জেলায়। ১৯৮৪ তে সুন্দরবনকে জাতীয় উদ্যানের শিরোপা দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে মেলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি। ইউনেস্কো সুন্দরবনকে গ্লোবাল বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ফরেস্ট বলে ঘোষণা করেছে। ১৯৮৭ সালের ১২ ডিসেম্বর এই অরণ্যকে ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই অরণ্যের মধ্যে সুধন্যখালি, নেতি ধোপানি, বনবিবি ভারানি, দোবাঁকি, পঞ্চমুখানি, পাখিরালয় প্রভৃতি স্থানগুলি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও পরিচিত। এর মধ্যে সজনেখালিসহ বেশ কয়েক জায়গায় আছে ওয়াচ টাওয়ার।
সুন্দরবনের প্রাণকেন্দ্র হল সজনেখালি। এখানে বনদপ্তর থেকে মেলে প্রবেশের অনুমতিপত্র ও গাইড।
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ট্যুরিস্ট লজও আছে এই সজনেখালিতে। এই লজ, লঞ্চ বা প্যাকেজ বুকিং করা যায় ডব্লিউবিটিডিসি’র কলকাতা কার্যালয় ৩/২ বিবাদী বাগ (পূর্ব) কলকাতা- ৭০০০০১ (ফোন- ০৩৩-২২৪৩৬৪৪০, ২২৪৮৮২৭১) ঠিকানা থেকে। এরা ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার ট্যুরিস্ট লজ আছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে। এরাও প্যাকেজ ট্যুর করায়।