কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
প্রথমেই বলে রাখি, বিজ্ঞান শাখার ছাত্রছাত্রীদের সামনে কেরিয়ার পছন্দের বিস্তৃতি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ইচ্ছে করলে এমন কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নিতে পারে, যেগুলি কলা ও বাণিজ্য শাখার সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে বিজ্ঞান শাখার ছেলেমেয়েদের এটাও মনে রাখা উচিত ‘বিষয় চয়ন’ জিনিসটি এমনই— ধনুক থেকে তির বেরিয়ে যাওয়ার মতো। মেধাবী হয়ে ডাক্তারিতে সুযোগ পেলেও রক্ত দেখলে শিউরে ওঠে এমন পড়ুয়া কিন্তু প্রথম শ্রেণীর চিকিৎসক হতে পারবে না। তাই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী যে কোনও ধরনের প্রবেশিকা পরীক্ষার বাধা টপকাতেই পারে। কিন্তু, যে পেশার জন্য সে প্রবেশিকা পরীক্ষা উতরাল সেটি আদপেও তার জন্য উপযুক্ত কি না সেটাই বিচার্য বিষয়। যাইহোক এবার সংক্ষিপ্তভাবে দেখে নেওয়া যাক দ্বাদশের পর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা কোন কোন পেশাতে যেতে পারে এবং তার জন্য কী কী প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়।
(১) রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা— রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একাধিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ। আবেদনপত্র জমা নেওয়ার দিন শেষ। তবু জেনে রাখো উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল বোর্ডে নির্দিষ্ট নম্বর পেলে এই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে বসলেই বেসরকারি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সুযোগ মেলে। কারণ, রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার পর বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অসংখ্য আসন ফাঁকা থাকে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে বসাটা কিন্তু, এই ফাঁকা আসনগুলি ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয়। তাই অবশ্যই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে বসো।
(২) জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস— এই বিষয়টি বা পরীক্ষা নিয়ে এখন ব্যাপক সরগরম। মে মাসের ১০ তারিখ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আর, যে সমস্ত কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলবে সেগুলি হল বিএসসি নার্সিং, ব্যাচেলার অফ ফিজিওথেরাপি, ব্যাচেলার অফ অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ। ব্যাচেলার অফ মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজি, বিএসসি ইন ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি, বিএসসি ইন অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি, বিএসসি ইন পারফিউশন টেকনোলজি, বিএসসি ইন ফিজিসিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট, বিএসসি ইন ইলেকট্রো ফিজিওলজি, বিএসসি ইন রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং সায়েন্সেস, বিএসসি ইন ডায়ালিসিস। মনে রাখতে হবে চাহিদা রয়েছে অথচ জোগান কম উপরোক্ত সমস্ত বিষয়ের পেশাদারদের।
(৩) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে সমস্ত প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হল আইআইটি-জেইই, বিটস্যাট, আইস্যাট। এছাড়াও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি-র মতো পরীক্ষাতে বসতে পারে বিজ্ঞানের পড়ুয়ারা।
(৪) নিট বা ডাক্তারি পড়ার জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা— দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। এর বাইরেও অন্যান্য মেডিক্যাল এন্ট্রান্স অনুষ্ঠিত হয়।
(৫) গতের বাইরে বেরিয়ে যারা একটু রোমাঞ্চকর ও চ্যালেঞ্জিং কেরিয়ারের খোঁজ করে, তাদের জন্য রয়েছে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি-র প্রবেশিকা পরীক্ষা। আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্সের জন্য নেওয়া হয় এই পরীক্ষা।