Bartaman Patrika
শিক্ষা-কেরিয়ার
 

সেট মানে শুধু কেরিয়ার তৈরি নয়, উচ্চশিক্ষার সোপান
বাসবী চক্রবর্তী, অধ্যাপক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

 সেট পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা দেখি পরীক্ষার্থী অনেক বেশি কিন্তু পরীক্ষাটি হয় বছরে এক বার। যেমন এবার সেট জানুয়ারিতে আর নেট ডিসেম্বরে। আপনার কী মনে হয় এটা সেট-প্রার্থীদের পিছিয়ে পরা বা অসফল হওয়ার পিছনে কারণ হিসাবে কাজ করে?
 হ্যাঁ ঠিকই। পরীক্ষাটি এত দিন বাদে বাদে হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। মূলত অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপ এবং রিসার্চের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাই অনেকেই আছেন, যাঁরা এই পরীক্ষাটি দিয়ে আরও উচ্চশিক্ষা কিংবা উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন চাকরি বেছে নিতে চান। তাই পরীক্ষাটি যদি অন্তত বছরে দু’বার হয় তাহলে ভালো। ঠিক যেভাবে আমরা দেখেছি নেট পরীক্ষা হয় বছরে দু’বার তেমন সেটও হতে পারে। আসলে যারা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে তাদের জন্য সেট খুব জরুরি। কারণ সেট-এর প্রশ্ন বাংলায় হয়, যেখানে নেট হয় ইংরেজিতে। তাই রাজ্যের অনেক পরীক্ষার্থী সেট দিতে চায়।
 আচ্ছা নেট আর সেট-এর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতা কী প্রায় একই মাপের হয়?
 না, রাজ্যস্তরের পরীক্ষা সেট-এর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সফল হওয়ার সংখ্যা কম থাকে। আসলে নেট-সেট বারবার পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। আমরা যখন গবেষণাপত্র জমা করি সেই ’৯২ সালে, তখন কিন্তু নেট-এর পরীক্ষা পদ্ধতি ছিল অন্যরকম। তখন ছোট এবং বড় উভয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। কিন্তু এখন সেটা পুরোটাই ‘এমসিকিউ’ (মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন) আকার নিয়েছে। যদিও এই নতুন পদ্ধতির ক্ষেত্রে ‘সাকসেস রেট’ বেশি বলেই অনেকের অভিমত। পাস মার্ক পাওয়া সহজ হচ্ছে। আবার অনেকেই এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর নির্ভর করে উত্তর দিয়েও সফল হয়ে যায়। যেটা আগেকার দিনের বড় প্রশ্ন-উত্তর পদ্ধতিতে সম্ভব ছিল না।
 এখন তো আগের মতো আর লম্বা সময় ধরে পরীক্ষা দিতে হয় না। পরীক্ষাও হয় কম্পিউটারে। কিন্তু এই নতুন প্যাটার্ন নিয়ে অনেকেই অন্ধকারে। নতুন আসা পরীক্ষা পদ্ধতি সম্বন্ধে যদি কিছু বলেন?
 এখন হল ডিজিটালাইজেশনের যুগ। সেন্ট্রালের নানা পরীক্ষার মতো এগুলিকেও কম্পিউটারে করার কথা ভাবা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের মতো সব জায়গায় সিট পড়বে না। কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেছে নেওয়া হয়েছে সেখানেই এই পরীক্ষাগুলি হবে। সময়ও কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ছাত্রদের আরও স্পেসিফিক এবং ফাস্ট হতে হবে। তাদের সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। কেন্দ্রীয়স্তরের যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে তাই হয়। এখনও পর্যন্ত দু’বার এরকম পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। এখন নেট পরীক্ষাটি নিচ্ছে এনটিএ মানে ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি। এরাই এই পরিবর্তন করেছে। তবে এক্ষেত্রে যেটা বলব, পড়তে হবে অনেক বেশি। খুঁটিয়ে না পড়লে উত্তর করা মুশকিল।
 নেট/সেট এর প্রথম পত্রটি অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট থাকে। প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া যায়?
 প্রথম পত্রটি সবার জন্যই সমান থাকে। এখানে একাধারে যেমন থাকে অঙ্ক, তেমনই আবার সাধারণ জ্ঞানের ওপর কিছু প্রশ্ন থাকে। এই অংশটি অনেক পরীক্ষার্থীর কাছেই বেশ কঠিন, কারণ সাবজেক্ট-এর চর্চার মাঝে এই বিষয় সেভাবে চর্চা করা আর হয়ে ওঠে না। এই পেপারের জন্য কেউ অসফল হতে পারে। তাই সাবজেক্ট পেপারের মতো এই পেপারটিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আর তাছাড়া আমার মনে হয় গ্রুপ স্টাডি এসব ক্ষেত্রে বেশ কাজে দেয়। প্রতিদিন নিয়ম করে খবরের কাগজ দেখা চাই এবং নিজেকে আপডেটেড রাখা চাই। তাছাড়া একান্তই কারও সাহায্য লাগলে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে গিয়ে এই বিষয় তৈরি হওয়া সম্ভব।
 যারা সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়, আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করছে তাদের মধ্যে অনেকের অঙ্কভীতি রয়েছে। তাদের জন্য এই ফার্স্ট পেপার কতটা কঠিন? বাধা পেরনো সম্ভব কীভাবে?
 হ্যাঁ, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। যখন ছাত্রটি জানেই তাকে প্রথম পত্রে পাশ করতে হবে, তখন সেটা মেনে নিয়েই তার উচিত অঙ্ক কিংবা ওই ধরনের বিষয় আরও বেশি করে প্র্যাকটিস করা। বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করা। সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ক্ষেত্রে তাদের অসুবিধার দিক ইংরেজি এবং শিক্ষাবিজ্ঞান। তাদেরও সেটি ভালোভাবে পড়তে হবে এবং তা মনে রাখতে হবে। পারলে প্রতি মাসে মক টেস্ট দিতে হবে। একবারে না পারলেও দু’বার বা তিনবারে নিশ্চয় সাফল্য আসবে। হার মানলে চলবে না।
 ধরুন কেউ পাশ করল, কিন্তু সেট পাশ করাটাই তো সব নয়। পাশ করে বসে থাকতে হয় চাকরির জন্য, সেখানেও আবার ভাগ্য কাজ করে। তাহলে যেসব ছাত্ররা সেটকে সাফল্যের দরজা ভাবছে তা কি সত্যি তাদের সামনে সেই সাফল্য এনে দিতে পারছে?
 দেখুন, এক্ষেত্রে দুটো জিনিস হতে পারে একটা এলএস যেটা পেলে লেকচারারশিপ পাওয়া যায়। আর যদি জেআরএফ পাওয়া যায় তাহলে তাতে স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব। যেটা বেশ ভালো অঙ্কের। সেট দিলে শুধু রাজ্যের মধ্যে এই বিষয় পড়ানোর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে আবারও বলব, সেট দেওয়া মানেই কেরিয়ার তৈরি, এমনটা নয় কখনই। এটা একটা ভুল ধারণা। সেট দেওয়া মানে আপনার উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে গেল। এরপর আপনি আরও গভীর জ্ঞানের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন কিংবা কলেজে আবেদন করতে পারবেন। তবে কলেজে ইন্টারভিউয়ের সময় আপনার জ্ঞান এবং ডিগ্রি দেখবে। মানে এমফিল বা সমতুল ডিগ্রি থাকলে তার জন্য অতিরিক্ত নম্বর যোগ হবে।
 প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যারা কলেজে প্রবেশ করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে তারা সেট দেয়। এই সেট/নেট জাতীয় পরীক্ষার জন্য কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
 অনেকে থার্ড সেমেস্টার পরীক্ষা দিয়েই পড়াশোনা শুরু করে। কিন্তু সেই সময় সিলেবাসের পড়া থাকে তাই পড়ার চাপ বেশি থাকে। এক্ষেত্রে সপ্তাহের কোনও একদিন পড়ার জন্য বেছে নিতে হবে। তারপর পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সেট/নেট-এর প্রস্তুতির জন্য সময় বাড়াতে হবে।
 আচ্ছা অনেকেই এক বছর বাড়িতে বসে অন্য কোনও কিছু না করে নেট/সেট-এর প্রস্তুতি নেয়। আবার অনেকে ভাবে কেরিয়ারে একটা বছর নষ্ট করা মানে অনেক পিছিয়ে যাওয়া। কোনটা করা সঙ্গত?
 আমার তো মনে হয় বারবার পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হওয়ার থেকে একবছর বসে ভালোভাবে পড়ে সিরিয়াসলি পরীক্ষা দেওয়াটা বেশি দরকার। এতে এক বছর কেরিয়ার থেকে হয়তো যাবে কিন্তু পড়ার টাইম বেশি পাওয়ার জন্য পড়াটাও ভালোভাবে হবে। বরং একবছর যদি মন দিয়ে পুরো সিলেবাস পড়ে নেওয়া যায় তাহলে তার পরের বছর কিছুদিনের জন্য ছোটখাটো কোনও চাকরিতে ঢুকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধা হবে না। যেহেতু আগেই ভালোভাবে পড়া আছে তাই শুধু ভালো করে রিভাইস করে যেতে হবে।
 সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই এমসিকিউ টেস্ট কি আদৌ ট্যালেন্টের নির্ধারণ হতে পারে?
 ভাষা একটা ‘ওয়ে অব এক্সপ্রেশন থ্রু রাইটিং’। সেটা এমসিকিউ দিয়ে পরীক্ষা করা খুব কঠিন। আমারও মনে হয় সেটা ট্যালেন্টের যোগ্য মাপকাঠি হতে পারে না। তুলনায় ইতিহাস, সমাজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ছোট প্রশ্ন কার্যকরী। তাতে সে কতটা বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়েছে সেটা বুঝতে পারা যায়।
 এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এখানে প্রশ্ন শুধু ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়াটাই কী সব? নাকি আরও কিছু এক্স ফ্যাক্টর দরকার হয়?
 যে বিষয় আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাতে আপনার বেসিক জ্ঞান কতটা, সেটা খুব দরকার। আপনি প্রচুর পড়াশোনা করে গেলেন কিন্তু তাও একটা প্রশ্ন আনকমন হতেই পারে। সেটা আপনি আপনার আইকিউ দিয়ে কতটা সঠিক দিতে পারছেন তা খুব দরকারি। তাই সাবজেক্টে প্রাথমিক দখল থাকাটা খুব জরুরি। যেটা কলেজেই তৈরি হয়। নিজেকে প্রশ্ন করুন দরকার হলে, আপনি আপনার বিষয়টার প্রতি আদৌ প্যাশনেট কিনা?
 আপনাকে যদি পাঁচটা কি-ওয়ার্ড জানাতে হয় ছাত্রদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য আপনি কী কী বলবেন?
 বিষয়ের প্রতি গভীর জ্ঞান, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, পরিশ্রম এবং ভালো করে প্রস্তুতি।
 এই রকম পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে দেখা যায় দু’বার বা তার থেকে বেশি অকৃতকার্য হলে ছাত্রদের মধ্যে একটা ডিপ্রেশন কাজ করে। কেউ কেউ অন্য কোনও লাইন বেছে নেয়, কেউ বা কেরিয়ারে ওখানেই ইতি ঘটায়। মনের সঙ্গে লড়াই করার উপায় কী?
 হ্যাঁ, এটা আমার সামনেই অনেক ঘটতে দেখেছি। একবার না পেলে বা একটুখানির জন্য কাট অফ মিস করলে সে আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয় না। কিন্তু তার জন্য তাদের মন আরও শক্ত করতে হবে। দরকারে সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে বা কেরিয়ার কাউন্সেলিং করাতে হবে। উপায় যখন আছে চারপাশে সেই উপায়গুলিকে কাজে লাগাতে হবে। মাথায় রাখতে হবে চাকরির ক্ষেত্রেও এরকম ডিপ্রেশনের ঘটনা ঘটতে পারে।
 নেট/সেটের সিলেবাস সমুদ্রের মতো। সেই সিলেবাস সবাই শেষ করে উঠতে পারে না। অনেকে বলে পুরো সিলেবাস কভার করা জরুরি আবার অনেকে বলে যেটুকু পড়ছ সেটা ভালোভাবে পড় যাতে সেখান থেকে যা প্রশ্ন আসে সেটার উত্তর করতে পারো। কোনটা ঠিক বা বেশি জরুরি?
 যদি আপনি পুরোটা পড়ে মনে রাখতে পারেন সেটা করতে পারেন। কিন্তু পরীক্ষার কিছু কাল আগে প্রস্তুতির সময় যদি দেখেন এরকম কিছু অধ্যায় আছে যা আপনি একেবারেই পড়েননি, সেটাকে আর নতুন করে তৈরি না করে আমার মনে হয় যেটুকু পড়া আছে সেটুকুকেই কীভাবে আরও ভালো করে ঝালিয়ে নেওয়া যায় সেদিকে জোর দিতে হবে।
 নেট/সেট একটি লম্বা সময়ের ব্যাপার। রিসার্চ করে সেটল হতে হতে ছাত্র ছাত্রীদের বয়স চলে যায়। আপনার কি মনে হয় কোথাও গিয়ে শিক্ষকতা শুধু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সচ্ছল এমন কিছু মানুষের মধ্যে কুক্ষিগত?
 সেটা বর্তমানের নিরিখে অনেকাংশে সত্যি। আবার পরিশ্রম করে পড়াশোনা করলে সেখানে অনেক রকমের স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। সেটাও দরিদ্র ছাত্রদের কাজে দেয়।
 সামনেই জানুয়ারিতে সেট আর ডিসেম্বরে নেট। আপনি কিছু পজিটিভ দিক বলুন যাতে এই দুই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পায়।
 একটাই কথা বলব অনেক কিছু ড্র-ব্যাক থাকলেও একবার নেট/সেট পাস করলে সেটা একটা বড় সাফল্য। সামনে অনেকগুলো দরজা খুলে যাবে। তাই সামনের দিকে লক্ষ্য রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্যে স্থির থাকাটা জরুরি। ভালো ভাবে পড়লে সাফল্য আসবেই।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন               
কৌশানী মিত্র                        
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে   
14th  October, 2019
হারানো সভ্যতার খোঁজে 

সভ্যতার আদি যুগ থেকেই পূর্বসূরিদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন। হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো ও সিন্ধু সভ্যতা, মিশরের পিরাপিড, মমি, মেক্সিকোর মায়া সভ্যতার মতো আশ্চর্য বিষয়গুলির প্রতি আগ্রহ জন্মায় ইতিহাস পড়তে পড়তেই।  বিশদ

11th  November, 2019
শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়লে দেশেরই উন্নতি 

লক্ষ্মীর কৃপা পেতে গেলে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতেই হবে। অন্তত আজকের ‘নলেজ বেসড’ বা জ্ঞান-নির্ভর দুনিয়াতে তো বটেই। কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথাটিই বিশদে ব্যাখ্যা করলেন ও পি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (জেজিইউ)-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক সি রাজকুমার।   বিশদ

11th  November, 2019
পরিবেশ রক্ষায়
শুরু নতুন কোর্স 

শৌণক সুর: রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে দূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এই আওতায় পড়ছে পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত জীবকূল। স্বাভাবিকভাবেই বিপজ্জনক এই তালিকায় রয়েছে সমগ্র মানবজাতিও।  বিশদ

11th  November, 2019
অনলাইনেই আমদানি-রপ্তানির কোর্স 

শৌণক সুর: দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকেছে। অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই নির্দেশ করছে আগামী দিনে ত্রৈমাসিক জিডিপির হার আরও কমতে চলেছে। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন।  বিশদ

04th  November, 2019
ডায়েটিশিয়ান হতে চাইলে ভবিষ্যৎ উজ্বল! 

ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিষয়ে জোর দেওয়া হয় খাদ্যের উপাদান-এর উপর। এছাড়া খাদ্যগুলি কীভাবে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা যায়, সেই সম্পর্কেও পড়াশোনা করতে হয়। মোট কথা, ফুড বা খাদ্যবস্তু নিয়েই মূল আলোচনা হয় ‘ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন’ বিষয়ে।   বিশদ

04th  November, 2019
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনশেন ২০২০ 

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন কোর্স ২০২০ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসি এবং আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতকস্তরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হবে।  
বিশদ

21st  October, 2019
অনলাইনে ইমপোর্ট এক্সপোর্ট সার্টিফিকেট কোর্স 

বাণিজ্যমন্ত্রকের প্রকল্প ‘নির্যাত বন্ধু’র অধীনে অনলাইনে ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্টের সার্টিফিকেট কোর্স করানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড একযোগে এই কোর্সটি করাচ্ছে।  
বিশদ

21st  October, 2019
অল ইন্ডিয়া এন্ট্রান্স এগজামিনেশন ফর ডিজাইন ২০২০ 

ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টিরিয়র ডিজাইন, জুয়েলারি ডিজাইন, ক্রাফট অ্যান্ড অ্যাক্সেসারিজ ডিজাইন, ভিজ্যুয়াল আর্টস সহ বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা (AIEED) নেওয়া হবে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুটি কোর্সের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। 
বিশদ

21st  October, 2019
এনআইআইটি’র উদ্যোগ ফিউচার রেডি ট্যালেন্ট 

সাধারণ বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি পেতে ভর্তি হতে হবে এমন কোর্সে, যা আগামীদিনে বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এমন ভবিষ্যৎমুখী কোর্সের সম্ভার চালু করল এনআইআইটি, তাদের ‘ফিউচার রেডি ট্যালেন্ট’ উদ্যোগের মাধ্যমে। 
বিশদ

21st  October, 2019
হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্ট নিয়ে শিক্ষামেলা 

কৌশানী মিত্র: সম্প্রতি শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে হয়ে গেল ‘এডুকেশন ফেয়ার ২০১৯’। এর বিষয় ছিল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। আমরা মূলত হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বলতে বুঝি ক্লায়েন্টকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া। তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখা। বর্তমানে এই ধারণা কিছু পরিবর্তন হয়েছে। 
বিশদ

21st  October, 2019
প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছেন?
ইংরেজি ভাষাটা একটু ঝালিয়ে নিন

অ্যান্টনিয়াস রঘুবংশী: যে সংস্থায় চাকরি করার স্বপ্ন আপনি দীর্ঘকাল দেখেছেন, ধরা যাক সেখান থেকেই একটি ইন্টারভিউয়ের চিঠি পেলেন। আনন্দে তো আপনার মন নেচে উঠবে, তাই না? প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কেটে যাওয়ার পর এবার একটু তলিয়ে ভাবা শুরু করুন। পরীক্ষায় প্রায় সমান নম্বর পাওয়া এবং অন্যান্য গুণমানও একই থাকা বাকি প্রার্থীদের ছাপিয়ে, ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনি নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরবেন কীভাবে?  
বিশদ

21st  October, 2019
গুরুত্বপূর্ণ পেশা সাইবার সিকিউরিটি 

বর্ণালী ঘোষ: সাইবার সিকিউরিটি রাজ্য তথা দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেই কারণে বিষয়টি পেশার অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে খুব সহজেই। প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রি এখন ডিজিটাল। সব জায়াগাতেই কম্পিউটার নিয়ে কাজকর্ম চলে। কোম্পানির যে কোনও রেকর্ড রাখা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে এবং বেশির ভাগ কাজ হয়ে থাকে ইন্টারনেটের সাহায্যে। 
বিশদ

14th  October, 2019
এই মুহূর্তে ফিজিওথেরাপিস্টদের চাহিদা তুঙ্গে 

হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে এলেই হল না। শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে ওঠার জন্য দরকার ফিজিওথেরাপি। উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই এই বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়। এই বিষয় নিয়ে স্নাতক কোর্সের ভর্তি চলছে কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে। 
বিশদ

23rd  September, 2019
ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্সের মর্যাদা পেল ভিট 

ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিকে (ভিট) ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্সের (আইওই) মর্যাদা দিল ভারত সরকার। এই বিশেষ পদক্ষেপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করার স্বীকৃতি দিচ্ছে, যাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলি আগামীদিনে বিশ্ব ক্রমতালিকায় উপরের দিকে উঠে আসতে পারে।  
বিশদ

23rd  September, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় লজিস্টিকস বা পণ্য পরিবহণ ও মজুত রাখা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়তে উৎসাহী বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে তাদের। ওই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হতে পারে বলে শনিবার দাবি ...

সংবাদদাতা, গাজোল: চড়া দামের ঠেলায় পড়ে এবার ভাতের হোটেলগুলিতেও কোপ পড়েছে ‘ফ্রি পেঁয়াজ’-এর উপর। সেইসঙ্গে চাউমিন বা এগরোলের মধ্যেও কমেছে পেঁয়াজের পরিমাণ। শসার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জোড়াতালি।  ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। হাওড়া: এবার আর ব্লক অফিসে নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে জেলা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগকে নিয়ে গিয়ে বৈঠক করতে হবে জেলাশাসকদের। বছরে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত তিন থেকে চারবার যাতে এই বৈঠক করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: ভোট যে বড় বালাই। তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নীতি, আদর্শ বা পরিকল্পনাকে আপাতত শিকেয় তুলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে কার্যত ‘ডিগবাজি’ খেল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ৩১/১৫ রাত্রি ৬/২৩। পুনর্বসু ৪২/৪৪ রাত্রি ১০/৫৯। সূ উ ৫/৫৪/৩, অ ৪/৪৮/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ১/৩৩ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/০ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩৯ মধ্যে।
৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ২৮/২৫/৫০ সন্ধ্যা ৫/১৭/৫৯। পুনর্বসু ৪১/৫৬/২২ রাত্রি ১০/৪২/১২, সূ উ ৫/৫৫/৩৯, অ ৪/৪৯/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৪ মধ্যে ১১/৫৩ গতে ১/৪০ মধ্যে ও ২/৩৩ গতে ৫/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ১০/০/৪৫ গতে ১১/২২/২৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/২৬ গতে ১২/৪৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৪৫ গতে ২/৩৯/৩ মধ্যে।
১৯ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের সুখবর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস১৫২৫ - সিন্ধু প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোগল সম্রাট ...বিশদ

07:03:20 PM

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড 

04:12:19 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের আমিরাবাদ গ্রামে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা 

03:21:29 PM

আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন মহঃ সামি 

03:21:00 PM

ইকো পার্কে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের 

03:11:00 PM