যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এবং এইমস-এ ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সবার আগে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। ২০১৩ সালে প্রথমবার ‘নিট’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ওই পরীক্ষায় যে ছাত্রটি প্রথম স্থান অধিকার করেছিল, তাঁর নাম ছিল আয়ুষ গোয়েল। এ রাজ্যের ওই ছাত্রটির প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭২০-র মধ্যে ৬৯৫। এখনও এটি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে রেকর্ড। বোঝাই যাচ্ছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের লড়াইয়ের ময়দানে আমাদের রাজ্যের পড়ুয়ারাও কোনও অংশে কম নয়। এ রাজ্যের পড়ুয়াদের মেধা অন্যান্য রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অনেক বেশি। তাতেও, সর্বভারতীয়স্তরে এ রাজ্যের পড়ুয়ারা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন কেন? সমস্যাটা ঠিক কোথায়? এখন কিন্তু আগের যুগের স্টেট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন অথবা এআইপিএমটি পরীক্ষার থেকে ‘নিট’-এর প্যাটার্ন এখন অনেক বদলে গিয়েছে। যে পরিবর্তনটা ‘নিট’ পরীক্ষার ক্ষেত্রে হয়েছে, সেটা আইআইটি বা জেইই অ্যাডভান্স-এর ক্ষেত্রেও হয়নি। তাই পরীক্ষার অ্যাপ্রোচের সঙ্গে পরীক্ষা প্রস্তুতির অ্যাপ্রোচেও পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি।
‘এক দেশ— এক পরীক্ষা’র সঙ্গে সঙ্গে ‘এক দেশ— এক পাঠক্রম’ও হয়ে গিয়েছে। অতএব সকলকেই এখন ন্যাশনাল স্টেটিং এজেন্সি (এনটিএ) নির্ধারিত সিলেবাস মেনে চলতে হচ্ছে। ফলে পাঠ্য বই ও রেফারেন্স বইয়ের পাশাপাশি এনসিইআরটি-র নতুন সংস্করণের পাঠ্য বইটিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়তে হবে। সাফল্যের মূল মন্ত্রটি এখানেই লুকিয়ে রয়েছে।
এ বছর এনটিএ নামক সংস্থাটি ‘নিট’ পরীক্ষার আয়োজন করা সত্ত্বেও এনসিইআরটি ভিত্তিক প্রশ্নই প্রাধান্য পাবে। সাধারণত ‘ইন বিটুইন লাইন অ্যানালেসিস’ ও ‘ক্রস অ্যানালেসিস’-এর প্রশ্ন করা হবে।
আরও একটি বিষয়ে সচেতন হওয়া অবশ্য প্রয়োজন। একটা বিষয় অনেক জায়গায় আলাদা আলাদাভাবে কখনই পড়া উচিত নয়। এতে অযথা সময় নষ্ট হয়। বরং, যে কোনও একটি বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় যেখানে এনসিইআরটি-র বই নিয়ে সম্পূর্ণ রিসার্চ করে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয়, সেখানে সেই বিষয়টা যতটা প্রয়োজন, ততটা তৈরি করা উচিত।
সবশেষে একটাই কথা বলব, সময় নষ্ট না করে দৃঢ়তার সঙ্গে মূল লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং সজাগ হয়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় মন দেওয়া উচিত।