পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরাতন মালদহ ব্লক কৃষিদপ্তরের সহ অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা দুই প্রজাতির ফুলকপি ব্লকে চাষ শুরু হয়েছে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে এর উৎপাদনের হার দেখেছি। তাতে আমরা দারুণ আশাবাদী। এ ধরনের ফুলকপির গুণগত মান ভালো। বিশেষ করে পুষ্টিমূল্য অনেকটাই বেশি। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমরা কৃষকদের এ ধরনের ফুলকপি চাষে পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকে উৎসাহিত হয়ে রঙিন ফুলকপি চাষের জন্য আমাদের কাছে আসছেন।
পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সানঝাইলের বাসিন্দা মনতোষ রাজবংশী বলেন, কৃষিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন প্রজাতির ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মনে হচ্ছিল, এই ফুলকপি ভালো হবে না। তবে পর দেখা যায়, চাষ ভালোই হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউরোপ, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, উত্তর আমেরিকায় মূলত ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা প্রজাতির ফুলকপি চাষ হয়ে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফুলকপি ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তবে পুরাতন মালদহে এ ধরনের চাষ প্রথম। ইংলিশবাজারেও হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি চাষ শুরু হয়েছে। এই ফুলকপিতে রয়েছে মাল্টি ভিটামিন। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। বিশেষ করে হাড়ের ক্ষয় রোধে এই ফুলকপি উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ ফুলকপির মতোই এই ফুলকপি চাষ করতে হয়। তবে চারা তৈরি করতে হয় খুবই সূক্ষ্মভাবে। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন আধিকারিকরা। পরীক্ষামূলকভাবে যে ফুলকপি চাষ হয়েছে, সেটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০-৭০ টাকা কেজি। যা সাধারণ ফুলকপির চেয়ে বেশি। স্বভাবতই এ ধরনের ফুলকপি চাষ করলে একদিকে যেমন কৃষকরা উপকৃত হবেন, তেমনই মানুষজন এই ফুলকপি খেয়ে শরীরে গড়ে তুলতে পারবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।