যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ভরতপুর ব্লক কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লক এলাকায় গতবছর রবি মরশুমে প্রায় আট হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ৫৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। বাকি জমিতে দানাশস্য চাষ করা হয়েছিল। তবে ভুট্টা চাষ হয়েছিল মাত্র ৫০০হেক্টরের মতো জমিতে। কিন্তু এবছর ওই পরিসংখ্যান বদলে গিয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রবি মরশুমের চাষ হয়েছে প্রায় ন’হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বোরো চাষ হয়েছে চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। বাকি জমিতে দানাশস্য চাষ হয়েছে। তবে ভুট্টা চাষ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এব্যাপারে ভরতপুর-১ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, বোরো ধান চাষে সেচের জলের সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে এবছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত ভুট্টা চাষ হয়েছে। এই চাষের যেমন অল্প সেচ দিলেই হয়। তেমনই এটা লাভজনক ফসল। চাষিদের সেটা বোঝাতে পেরেই ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে।
এলাকার চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করতে প্রায় ১২হাজার টাকা খরচ হয়। আর সেখানে ভুট্টা পাওয়া যায় প্রায় ৩৬হাজার টাকার। কাজেই কমবেশি ২০-২৪ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি চাষিদের লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ভুট্টা চাষ করা হয়। এই চার মাসের ফসল উঠে মার্চ-এপ্রিল মাসে। এই চাষে রোগপোকার আক্রমণ কম। অল্প সেচেই চাষ করা যায়। বিন্দারপুর গ্রামের চাষি নাজিবুল শেখ বলেন, কৃষিদপ্তরে ট্রেনিং নেওয়ার পর আমার জমিতে বোরো ধানের বদলে এবছর ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হব বলে মনে করছি। আলুগ্রামের চাষি হারাধন মণ্ডল বলেন, কৃষিদপ্তরের সাহায্যে এই এলাকার বহু চাষি এবছর বোরো ধানের বদলে ভুট্টা চাষ করেছেন। প্রত্যেকের ফলন ভালো হয়েছে। তাই আরও বোরো চাষের বদলে ভুট্টা চাষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।