কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পাটুলি রেলস্টেশনের পাশে ৩০ বছর আগে নলেন গুড়ের আড়তে কেনাবেচা শুরু হয়। তার আগে এই আড়ত ছিল পাটুলি তহবাজারের কাছে। বর্তমানে রেলস্টেশনের পাশে আড়ত হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা হয়েছে। ট্রেনে ও সড়কপথে বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোলে ট্রাকবোঝাই হয়ে ওই নলেন গুড় যায়।
স্থানীয় আড়তদার আনিশ দফাদার, সাবির দফাদার বলেন, আড়তে নদীয়ার নাকাশিপাড়া অঞ্চলের নলেন গুড় বেশি আমদানি হয়। আমরা শিউলিদের অগ্রিম দাদন দিয়ে রাখি। কেউ কেউ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে রাখেন। ফলে, আড়তে গুড়ের জোগান পেতে কোনও সমস্যা হয় না। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে আড়তগুলিতে ট্রাক, মোটরভ্যানভর্তি গুড় আসা শুরু হয়। নদীয়ার গুড় আসে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে পাটুলিঘাট, অগ্রদ্বীপঘাট, মেটেরিঘাট হয়ে। স্থানীয় এলাকার নলেন গুড় আসে ট্রলিভ্যান বা টোটোয়।
পাটুলির এক আড়তদার বানু দফাদার বলেন, শিউলিরা ভোরের দিকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। সেই রস উনুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করতে করতে বেলা ১০টা বেজে যায়। পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই গুড় সংগ্রহ করেন। এরপর সব গুড় একত্রিত করে তাঁরা আমাদের আড়তে নিয়ে আসেন। আমদানির উপর নলেন গুড়ের দাম ওঠা-নামা করে। রবিবার থালাগুড় ৫৫ টাকা, বাটিগুড় ৬২ টাকা, ঝোলাগুড় ৫২ টাকা থেকে ৭০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়।
ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ডাউন লোকাল ট্রেনে চেপে পাটুলির নলেন গুড় পাড়ি দিচ্ছে হাওড়ার উদ্দেশে। অধিকাংশই যায় নামীদামি মিষ্টির দোকানে। ব্যান্ডেল রেলস্টেশনের পর থেকে বিভিন্ন রেলস্টেশনে ঝাঁকা বা প্লাস্টিকের ক্যারেটভর্তি নলেন গুড় নামানো শুরু হয়। খুচরো বিক্রেতা কওসার দফাদার বলেন, মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছে থালাগুড়ের চাহিদা বেশি। আমরা তাঁদের ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করি।
পাটুলি রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের হলেই প্রথমে চোখে পড়ে রহমত গুড় আড়ত। ওই আড়তের এক মালিক রহমত দফাদার বলেন, ২৫ বছর ধরে আড়ত চালাচ্ছি। ১৫ জন কাস্টমার আছেন। কলকাতার বহু নামীদামি মিষ্টির দোকানে আমার আড়তের নলেন গুড় সরবরাহ করি। একদম খাঁটি গুড় বিক্রি করি। তাই তার দাম একটু বেশি নেওয়া হয়।