কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষে জেলার চাষিদের ব্যাপক লাভ হচ্ছে। আমরা তাঁদের আর্থিক সাহায্য এবং বীজ ও চারাগাছ দিয়ে সহায়তা করছি, যাতে তাঁরা এই ফুলচাষে আগ্রহী হন। নানারকম অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া, মঞ্চ সাজানো, প্রদর্শনী সহ নানা কাজে এই ফুল ব্যবহার করা হয়। জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লকেই এখন কমবেশি গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর চাষের জমির পরিমাণও বেড়েছে।
কৃষকদের আর্থিক অনুদানের জন্য শতক প্রতি গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষে ৭ হাজার ৯২০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর। এবছর মোট ৩৩ শতক জমিতে ওই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
হিলির এক ফুলচাষি বিষ্ণু চক্রবর্তী বলেন, প্রথমে অল্প জমিতে এই ফুল চাষ শুরু করেছিলাম। এই ফুলের চাষে খরচ কম। আবার চাহিদা ও লাভ ভালোই। তাই এবছর এক বিঘার বেশি জমিতে গ্ল্যাডিওলাস চাষ শুরু করেছি। এই ফুল চাষ করে জেলা সদর বালুরঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। সেখান থেকে চাহিদামাফিক বাইরেও ফুলের চালান যায়। রজনীগন্ধা ফুলের মতোই বাজার ধরছে গ্ল্যাডিওলাস।
বংশীহারি ব্লকের রসিদপুর এলাকার ফুলচাষি গৌতম সমাদ্দার বলেন, এই ফুল চাষ অনেকটাই লাভজনক। গত বছর উদ্যানপালন দপ্তর থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলাম। যার ফলে চাষে আগেরবারের থেকে অনেকটাই বেশি লাভ হয়েছিল। এবছর সব্জির জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ করেছি। বালুরঘাট শহরের এক ফুল বিক্রেতা রাজু শীল বলেন, রকমারি ফুলের মধ্যে গ্ল্যাডিওলাস ফুলের ভালো চাহিদা রয়েছে। এক একটা ফুলের স্টিক পাঁচ থেকে ছয় টাকা করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। কোনও অনুষ্ঠানের দিন থাকলে দশ টাকাতেও এক একটা স্টিক বিক্রি হয়। এই ফুল দিয়ে তোড়া বানানো, গাড়ি সাজানো, বিয়ে ও অনুষ্ঠান বাড়িতে মঞ্চ সাজানোর মতো কাজ হয়। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ হয়। এবছর আরও সাড়ে ৩৭ বিঘা জমিতে চাষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জেলার বালুরঘাট, হিলি, তপন বংশীহারি সহ বিভিন্ন ব্লকে এই চাষ করা হচ্ছে। ৬০ দিনের মধ্যে ওই ফুল পাওয়া যায়।