অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়: ফ্রেঞ্চ বিন অত্যন্ত লাভজনক একটি চাষ। এই বিনের চাষ করলে কৃষকরা অন্যান্য ফসলের থেকে অনেকটাই বেশি লাভ পাবেন, এমনটাই জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। তাঁরা বলেছেন, বাজারে বিনের চাহিদা সারা বছর ধরেই থাকে এবং দামও ভালোই পাওয়া যায়। সে কারণে চাষিরা ফ্রেঞ্চ বিনের চাষ করলে ভালো লাভ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। ফ্রেঞ্চ বিনের চাষ করার উপযুক্ত সময় কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস। ফলে সময় নষ্ট না করে এখনই এই বিনের চাষ শুরু করতে হবে চাষিদের। ফ্রেঞ্চ বিনের উন্নত জাতগুলি পার্বতী এবং কনটেনডার। এই জাত দু’টি সবচেয়ে বেশি ফলন দেয়। বিঘাপ্রতি বীজ লাগবে ১৩-১৪ কেজির মতো। জমিতে বীজ বুনতে হবে ১৮ ইঞ্চি বাই  ৬ ইঞ্চি দূরত্বে। বিঘাপ্রতি সারের প্রযোগ করতে হবে প্রাথমিক সার হিসেবে জৈবসার ২ টনের মতো, ৬ কিলোগ্রাম ইউরিয়া, ৫০ কিলোগ্রাম সুপার ফসফেট ও ১১ কিলোগ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ। চাপান সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে ফুল থেকে শুঁটি আসার আগে ৯ কেজি ইউরিয়া। ফ্রেঞ্চ বিনের চাষ যেহেতু শীতকালে হয়, সে কারণে এই ফসলটি চাষে খুব একটা সেচ লাগে না। কারণ, শীতকালে এমনিতেই জমিতে রস থাকে। তবে যদি কোনও কারণে জমিতে টান দেখা যায়,  তবে দু-একটি হাল্কা সেচ দিলেই হয়ে যায়। ফসল লাগানোর সময় প্রাথমিক পর্যায়ে হাল্কা সেচের প্রযোজন হতে পারে। জমিকে সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। ১৮ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি দূরত্বের মধ্যে যদি কোনও অতিরিক্ত গাছ দেখা যায়, তা তুলে ফেলে দিতে হবে। এছাড়াও জমিতে রোগগ্রস্ত গাছ যেগুলি থেকে ফলন পাওয়া যাবে না, সেগুলিকে জমি থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক কৃষি আধিকারিকদের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে সঠিক নিয়ম মেনে ফ্রেঞ্চ বিনের চাষ করলে ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে, জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা।