অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
এই পদ্ধতিতে মাছের চাষে প্রথমবার ট্যাঙ্ক তৈরি করতে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে। এরসঙ্গে বড় ট্যাঙ্ক হলে দু’টি পাম্প সেট ও জলের মেশিন প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। যদিও কৃষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে কৃষি দপ্তর। শিলিগুড়ি মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) সোমনাথ শীল বলেন, কৃষকরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন। আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের এককালীন ৩০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। পাশাপাপাশি কৃষকদের প্রযুক্তিগত সাহায্য করতে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।
পাথরঘাটার মৎস্যচাষি রমেশ মুণ্ডা বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছি। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চাষ করলেও মাছের খাবার হিসেবে ব্যাক্টেরিয়াজাত খাবার না দিয়ে সাধারণ পদ্ধতিতে খাবার দিচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে মাছের উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভ বাড়ছে। কয়েক বছর ধরেই দেখছি, অনেকেই এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে গ্রামে মাছের জোগান বাড়ছে।
আয় বাড়াতে বায়োফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে মাছ চাষে ঝুঁকছেন শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। বিজ্ঞান ভিত্তিকভাবে তৈরি ট্যাঙ্ক বা জলাশয় নির্মাণ করে বায়োফ্লক মাছ চাষের ইউনিট গড়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মূলত মাছের বর্জ্যকে বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়াজাত করে মাছের খাবার প্রস্তুত করা হয়। পাশাপাশি জলকেও স্বচ্ছ ও দূষণমুক্ত রাখা যায়। এর ফলে কৃষকদের লাভের অঙ্ক অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। কয়েক বছর ধরে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ সাড়া জাগাচ্ছে শিলিগুড়িতে।
কৃষি দপ্তরের হিসেব অনুসারে একটি ট্যাঙ্কিতে গড়ে ৪০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়। এক মরশুমে দু’বার এই মাছের চাষ করা যায়। মূলত তেলাপিয়া, সিঙি, মাগুর প্রভৃতি মাছের চাষ করা হয় যা গ্রামীণ এলাকায় মাছের জোগান দেয়।