কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মলয় কুমার মাঝি বলেন, চলতি বছরে আমরা মোট ৪২৫ হেক্টর জমিতে ফলের বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই চারাগাছ লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে বাঁকুড়ার আম্রপালি জাতের আম দেশের পাশাপাশি বিদেশেও নাম পেয়েছে। ফলে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকা জমিগুলিতে ফলের বাগান গড়ে তোলার জন্য চাষিদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। আমের মতোই মোসাম্বি, বেদানা, পেয়ারা, কাজু বাদাম, কুল, পাতিলেবুর মতো প্রজাতির ফলের বাগান তৈরি করে চাষিরা বিকল্প আয়ের সুযোগ পেয়েছেন। তাই চলতি বছরে এই সাত ধরনের ফলের বাগান গড়ে তোলার উপরেই জোর দিচ্ছে জেলা উদ্যান পালন দপ্তর।
বর্ষার মরশুমে এবার জেলায় মোট ৪২৫ হেক্টর জমিতে এই চারা লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। যার মধ্যে সরকারি প্রকল্পের আওতায় ১০০ হেক্টর পতিত জমিতে ফলের বাগান গড়ে তোলা হবে। এছাড়া ৩২৫ হেক্টর জমিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্থানীয় স্তরে জমির মালিকদের তৈরি সমবায় ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পতিত জমিতে ফলের বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট বাগানের মধ্যে প্রায় ১৪০ হেক্টর জমিতে আমের চারা লাগানো হবে। এছাড়া ৭৫ হেক্টর জমিতে মোসাম্বির চারা লাগানো হবে। এজন্য প্রায় মাস দুয়েক আগে থেকেই জমি চিহ্নিত করে কোথায় কী ধরনের ফলের গাছ লাগানো হবে, তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই গাছ লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়ে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর গড়ে তোলা বাগানগুলির জন্য বিনা খরচে চারাগাছ ও তা এক বছর পর্যন্ত দেখভালের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে মজুরি দেওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, ব্যক্তিগত মালিকানায় গড়ে তোলা বাগান মালিকদের বিনা খরচে চলতি বছরে নির্দিষ্ট করা গাছের চারা দেবে উদ্যান পালন দপ্তর। তাই তাঁরাও গর্ত তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছেন। রাজ্যের সেন্ট্রাল নার্সারি থেকে চারা এলেই জুলাই মাসের শেষ থেকে তা লাগানোর কাজ শুরু হবে।