কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
জলপাইগুড়ি মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা মেহফুজ হোসেন বলেন, আমরা প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছি। প্রায় ২৫০ জন কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করে উপকৃত হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বীজ, জিঙ্ক, বোরোন ও মেশিন প্রদান করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি জমিতে এক কেজি করে বীজ প্রয়োজন হয়। যেখানে ফলন হয় প্রায় ৩- ৪ মণ। অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে যা প্রায় চারগুণ বেশি।
মূলত এই পদ্ধতিতে সুস্থ, সবল ও শক্তিশালী চারার জন্য পুষ্ট বীজ বেছে নেওয়া হয়। এক কেজি বীজকে তিন লিটার জল এবং ৫০০ গ্রাম লবণে মিশিয়ে ডুবিয়ে রাখা হয়। এভাবে ডুবিয়ে রাখায় অপুষ্ঠ বীজ পরবর্তীতে ভেসে উঠবে। সেগুলিকে পৃথক করে পুষ্ট বীজগুলিকে নিউটি প্রাইমিং করা হয়। তারপর জমিতে হাল্কা করে সেই বীজ ফেলা হয়। যেসমস্ত জায়গায় বৃষ্টিপাত অনিয়মিত সেখানে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ যথেষ্ট উপকারী বলে জানিয়েছেন কৃষি দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা। বীজতলা থেকে ধান উৎপাদন করতে ৭০ থেকে ৮০ দিন সময় লাগে।
স্বল্প সময়ে কৃষকদের মধ্যে লাভজনক এই চাষকে বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির খরিজা, গোয়ালমারি, রাধাবাড়ি, মালবাজার, নাগরাকাটা প্রভৃতি এলাকাতেও কৃষকদের মধ্যে এই চাষে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা বিক্রমদীপ ধর বলেন, এই পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগও প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকদের আয় বাড়াতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি কৃষি প্রধান জেলা। প্রচুর মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এখানে প্রচুর ধান উৎপাদন হয়। কৃষি দপ্তর চাইছে আরও বেশি পরিমাণ ধান উৎপাদন করতে। যাতে চাষিরা লাভবান হতে পারেন। সেজন্য কৃষি দপ্তর সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হয়েছে। ছবি: সুমন মুখোপাধ্যায়