কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
মূলত ১৫জুলাই থেকে আগস্ট মাসের শুরুতে ৬-৭সপ্তাহের চারা রোপণ করা হয়। জানা গিয়েছে, জাতীয় উদ্যানপালন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের তৈরি এগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড এখন বেশিরভাগ চাষিরই প্রথম পছন্দ। নাকাশিপাড়ার ব্লক কৃষি অধিকর্তা কুসুমকোমল মজুমদার বলেন, বীজ ফেলতে হয় মে মাসের শেষে অথবা জুনের প্রথমে। ভালো করে উঁচু বীজতলা প্রস্তুত করে বীজশোধন করার পরে তা ফেলা হয়। অনেক বেশি সংখ্যক চাষি এবার এই চাষ করছেন। বীজশোধন করার জন্য থাইরাম ২ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ট্রাইকোডার্মা ভিরিডিও ৫ গ্রাম প্রতি কেজিতে বীজের সঙ্গে মিশিয়ে রাখলে বীজ ও মাটিবাহিত রোগ এড়ানো যায়। তিনি বলেন, পেঁয়াজের রং এবং ঝাঁঝ বৃদ্ধি করতে সালফার ও অন্যান্য অণুখাদ্যের প্রয়োগ করা হয়। রোয়ার পর বর্ষকালীন পেঁয়াজে আগাছার উপদ্রব হয়। বর্ষাকালীন পেঁয়াজে রোগপোকার আক্রমণ কিঞ্চিত বেশি হয়ে থাকে। সেগুলিও প্রতিরোধ করা সম্ভব। পোকার মধ্যে চিরুনি পোকা বা থ্রিপস উল্লেখযোগ্য। এরা রস চুষে খেয়ে পাতা শুকিয়ে দেয়, গাছের বৃদ্ধি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। এর জন্য ১০থেকে ১২দিন অন্তর ফিপ্রোনিল ২ মিলিলিটার এবং নিম তেল স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া পাতা পোড়া, পাতা ঝলসানো জাতীয় রোগ আটকাতে জিনেব বা প্রোপিনেব ৩ গ্রাম প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর স্প্রে করা যেতে পারে। ৯৫-১১০ দিনের মধ্যে তোলার মতো হয়ে যায় এই পেঁয়াজ। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে একরে ১১০-১২০কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়। পেঁয়াজ তুলে এনে উপযুক্ত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে। এর জন্য কৃষি অফিস বা উদ্যানপালন বিভাগের কর্মীর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের কৃষি বিপণন দপ্তর প্রতিবছর পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য উন্নতমানের গোলা তৈরি করতে ভর্তুকি দেয়। কৃষকরা পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা কৃষিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই সাহায্য পেতে পারেন। কোনও কোনও বছর মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের পেঁয়াজের জোগান আমাদের রাজ্যে না থাকলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। বর্ষাকালীন পেঁয়াজের চাষ আরও ব্যাপকভাবে হলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাঁসখালির ব্লক কৃষি অধিকর্তা অরিন্দম দাস বলেন, লাভের আশায় বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে। নাকাশিপাড়ার ধনঞ্জয়পুরের চাষি রুহুল আমিন বলেন, এবছর অনেকটাই বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আশা করছি লাভ হবে।