অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর মহকুমা এলাকায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তিল চাষ করেন চাষিরা। সাধারণত এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তিল চাষ করা হয়। লকডাউনের মধ্যেও এবছর এলাকার চাষিরা ব্যাপকভাবে তিল চাষ করেছিলেন। কিন্তু চাষ করেও তাঁদের মাথায় হাত। লাভ তো দূরের কথা, খরচের অর্ধেক টাকাও ওঠেনি বলে অভিযোগ। এলাকার চাষিরা জানান, তিল চাষকে খরার চাষ বলা হয়। অল্প বৃষ্টিতে ফসল হয়। অল্প বৃষ্টি হওয়া এলাকার চাষিরা তিল চাষে আগ্রহ দেখান। কান্দির হিজল এলাকার কয়েকজন চাষি বলেন, এবার এলাকার কয়েক হাজার চাষি তিল চাষ করেছিলেন। কিন্তু প্রথম থেকেই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। প্রথম থেকেই লাগাতার বৃষ্টি তিল চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। অতিবৃষ্টির ফলে জমির অর্ধেক তিল গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাকি যেটুকু পাওয়া গিয়েছে, তা অতি সামান্য। নতুনগ্রামের এক চাষি বলেন, এক বিঘা জমিতে তিল লাগিয়েছিলাম। তিন কাঠা জায়গার তিল পাওয়া গিয়েছে। কাজেই চাষের খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আবার তিলের মানও ভালো নয়। হিজল কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক আল হামদো বলেন, এবছর সমবায় থেকে প্রায় চার হাজার চাষি ঋণ নিয়ে এলাকায় তিল চাষ করেছেন। ক্ষতির হওয়ায় চাষিরা ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। তার উপর বেশিরভাগ চাষি লকডাউনের কারণে ফসলের বিমাও করতে পারেননি।
এলাকার চাষিরা এখন সরকারি ক্ষতিপূরণের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকার তিল চাষিরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে কৃষিদপ্তরের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন। এমনকী চাষিরা সমবায় থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না বলেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বড়ঞার রাঙাবালি গ্রামের এক চাষি বলেন, গতবছরও তিল চাষ করে ক্ষতি হয়েছিল। কৃষিদপ্তর থেকে ক্ষতিপূরণও পাওয়া গিয়েছে। এবছর আমরা সবাই সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে। ভরতপুর-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সাহানুর রহমান বলেন, এবছর বেশিরভাগ চাষির শস্যবিমা করা নেই। বিমা থাকলে সমস্যা হতো না। তবুও আমরা কৃষিদপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারিকে চাষিদের সমস্যার কথা জানিয়েছি।