নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে সুনিশ্চিত পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনে (সুধা) জোর দিয়েছে কৃষি দপ্তর। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে ৫০০ বিঘা জমিতে সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষে জোর দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষেন্দু দেবনাথ, কৃষ্ণনগর: নদীয়ার বিভিন্ন ব্লকের চাষিদের মধ্যে ক্রমেই বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। মূলত দুর্গাপুজোর সময়ে বা তার ঠিক পরেই বাজারে পেঁয়াজের জোগান কমে যাওয়ায় এই ফসল বাজারজাত করা যায়। সেইসময় ভালো দাম মেলায় ক্রমশ এর দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।
ব্রতীন দাস: করোনা সমগ্র মানব জাতিকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে। নিজের ইচ্ছামতো ঘোরাফেরা বা বাজার-হাট করা এখন বিপজ্জনক। এই সময় যাঁদের বাড়ি সংলগ্ন কিছুটা জায়গা বা খোলা ছাদ, বারান্দা রয়েছে, তাঁরা সেই জায়গায় টবে শাক-সব্জি ফলাতে পারেন।
জমি তৈরি ও ভালো বীজ নির্বাচনের পর সঠিকভাবে ভালো মানের চারা তৈরি করতে হবে। তাহলেই আমন ধান চাষে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এক বিঘা ধান চাষের জন্য সাধারণভাবে ১০ কেজি পর্যন্ত বীজধান লাগে।
অনিমেষ মণ্ডল, কাটোয়া: ছাদজুড়ে সবুজ ধানের ‘খেত’। তিল থেকে সব্জি সবই ফলেছে। লকডাউনের মধ্যে বাড়ির ছাদের মিনিকিট প্রজাতির ধান, তিল চাষ করে তাক লাগালেন কাটোয়ার যুবক। দিনরাত ছাদের মধ্যে চলছে ফসলের পরিচর্যা।
নবজ্যোতি সরকার: উম-পুনে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারুইপুরের পেয়ারা চাষ। তার উপর এখন পেয়ারা বাগানে মাছির আক্রমণে মাথায় হাত চাষিদের। ঝাঁকে ঝাঁকে ফলের মাছি আক্রমণ করছে পেয়ারায়। ফল ছিদ্র করে তার ভিতরেই ডিম পাড়ছে।
মোহন গঙ্গোপাধ্যায়: সুনিশ্চিত পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। তাঁদের মতে, এই পদ্ধতি সহজ ও সরল। এমনকী খরচও কম। প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে এতে ফলন বেশি পাওয়া যায়। আর সেকারণেই চিরাচরিত পথ ছেড়ে ‘সুধা’ পদ্ধতিতে ধান চাষের প্রসারে রাজ্য সরকারও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
শীর্ষেন্দু দেবনাথ, কৃষ্ণনগর: উম-পুন পরবর্তী সময়ে মাত্র ১৮দিনে নদীয়া জেলায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। জুন মাসের শেষে লক্ষমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে দ্রুত আবেদনকারীরা যাতে কেসিসি পান তা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ব্রতীন দাস: বৈচিত্র্যে জোর। মাছে-ভাতে বাঙালির স্বাদ বদলে চাহিদা বাড়ছে পেংবা মাছের। এটি পুঁটি গোত্রীয় মাছ। চাষ হয় মিষ্টি জলে। পেংবা মণিপুরের স্টেট ফিশ। চাষেও ঝামেলা নেই। কারণ, এই মাছ রাক্ষুসে নয়। রুই, কাতলা, মৃগেলের সঙ্গে নিশ্চিন্তে এক পুকুরে চাষ করা যায়।
সংবাদদাতা, দিনহাটা: এ বছর কোচবিহার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। গতবছর থেকে প্রায় ২০০০ হেক্টর অধিক জমিতে চাষিরা বোরো ধান লাগিয়েছেন। পাশাপাশি এবারে ধান রোপণ যন্ত্রের সাহায্যে ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান লাগানোর ক্ষেত্রেও রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমন ধান চাষে সঠিক নিয়ম মেনে মাটি প্রস্তুত করার পর ভালো মানের চারা তৈরির দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি উঁচু, মাঝারি এবং নিচু জমিতে কী ধরনের ধানের বীজ থেকে চারা তৈরি করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে জেনে নিতে হবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জমির চরিত্র বুঝে আমন ধান চাষ করতে হবে। উঁচু জমিতে অঞ্জলী, সোনালি, শতাব্দী, খন্ডগিরি, জারোভা অথবা এইরকম অন্য কোনও প্রজাতির ভালো ধান যা ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে পাকে, সেইরকম ধানের চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। মাঝারি জমিতে লাগাতে হবে সরজু ৫২, ত্রিগুনা, কাবা, ললাট অথবা এই রকম অন্য কোনও প্রজাতির ধান। এই প্রজাতিগুলি ১১৫ থেকে ১২০ দিনে পাকে। মাঝারি জমিতে বিকল্প হিসেবে স্বর্ণ মাশুরীর চাষ করা যেতে পারে। আবার মাশুরীর পরিবর্তে প্রতীক্ষা নামে ধানের জাতটির চাষ করলেও ভালো ফলন পাওয়া যাবে। নিচু জমিতে (যেখানে এক ফুট জল জমে থাকে) সবিত্রী, সিআর ১০১০, সিআর ১০১৮ প্রভৃতি প্রজাতির ধানের চাষ করলে ভালো ফলন হবে। এছাড়া নিচু জমিতে যেখানে দেড় ফুট পর্যন্ত জল জমে থাকে, এমন জমিতে যোগেন, তুলসী, রাজশ্রী প্রজাতির ধান চাষ করলে ভালো ফলন পাবেন চাষিরা। আবার যে সব নিচু জমিতে দেড় ফুট থেকে তিন ফুট পর্যন্ত জল জমে থাকে, এমন জমিতে সবিতা, অমূল্য, পূর্ণেন্দু, নলিনী এই সব প্রজাতির ধান চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। যে সব জমিতে তিন ফুটেরও বেশি জল দাঁড়ায়, সেখানে দীনেশ ও জিতেন্দ্র প্রজাতির ধান চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
