বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, এটা ঠিক যে লক্ষমাত্রা নিয়ে আমরা এগিয়েছিলাম আবেদনের নিরিখে তা আমরা ছাপিয়ে গিয়েছি। তবে যতক্ষণ না আবেদনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আমাদের আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, ব্যাঙ্কের কাছে আবেদনগুলি পাঠানো হয়েছে। এখন ব্যাঙ্কগুলি সেগুলির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার কাজ করছে। ডিস্ট্রিক্ট লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিমল ভট্টাচার্য বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব আবেদনের পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা করছি।
নদীয়া জেলায় সম্প্রতি এক লক্ষ ২২৫টি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মোট এক লক্ষ ২৮হাজার ৮৪৩টি আবেদন জমা পড়েছে। ব্লক কৃষি আধিকারিকরা ১লক্ষ ২৪ হাজারের উপর আবেদন স্বাক্ষর করে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছেন। এখনও ১২হাজার ৬৬৫টি আবেদন অনুমোদন পেয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক চাষিদের কেসিসির সুবিধা দিতে বাড়তি জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সুযোগ দেওয়া হয়েছে ভাগচাষিদেরও। রাজ্যের নির্দেশে নদীয়া জেলাতেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ চাষির কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এই মুহূর্তে সক্রিয় রয়েছে। কার্ড পাননি বা আবেদন করেননি এমন চাষিদের খুঁজে বের করে এই সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। ব্লকে ব্লকে যুদ্ধকালীন তৎরতায় এই কাজ হয়। প্রসঙ্গত, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে কৃষকদের সাত শতাংশ সুদের হারে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। সময়মতো ঋণের টাকা ফিরিয়ে দিলে সুদে তিন শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ সময়ে টাকা ফেরালে কৃষকরা মাত্র চার শতাংশ সুদের হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। কেন্দ্রের নির্দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি সব ধরনের ব্যাঙ্ককে এই কাজ করতে হয়। জেলার লিড ব্যাঙ্ক পুরো বিষয়টির দেখভাল করে। জেলা কৃষিদপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই কার্ডের মধ্যে দিয়ে মহাজনী ঋণের থেকে কৃষকদের মুক্তি হবে। এছাড়াও বহু সুবিধা আছে এই কার্ডের। খুব কম সময়ে কৃষিদপ্তর তার দায়িত্ব পালন করেছে। এবার অনুমোদন দেবে ব্যাঙ্ক। নাকাশিপাড়ার চাষি অভিজিৎ হুই ও কাবিল শেখ বলেন, আবেদন করেছি। কার্ডে ঋণ পেলে চাষে সুবিধা হবে। আবেদনের লাইন। -নিজস্ব চিত্র