পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দিনহাটার বোরো চাষি সুধারঞ্জন দেবনাথ, জনাব মিঁয়া বলেন, আমাদের চাষের জন্য বেশি জমি নেই। সেইজন্য বাইরের রাজ্যে গিয়ে বছরের বেশি সময় কাজ করি। বোরো চাষের আগে বাড়িতে এসে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছ’বিঘা জমি লিজ নিয়ে জমিতে ধান লাগাই। অন্যান্য বছরের থেকে এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ২৭ মণ পর্যন্ত ধান হয়েছে। এবার দামও বেশ ভালোই আছে।
আরএক কৃষক ভবেন বর্মন বলেন, আগে আমরা ফসল কম হওয়ার জন্য কিছু জমি লিজ দিতাম। কিন্তু এখন নিজেরাই চাষ করি। উন্নতমানের ধানের বীজ বাজারে আসায় ফলন বেশি হচ্ছে। সরকারও ভালো দামে সেই ধান কেনায় আমরা আয় করতে পারছি।
কোচবিহার জেলা উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অরুণকুমার বসু বলেন, অন্যান্য বারের থেকে এবার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। অনেকেই যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে ধান রোপণ করছেন। আমরা দেখেছি, অন্যান্যবারের থেকে এবার জমিতে ফসলও ভালো হয়েছে। এটা আমাদের সর্বকালের রেকর্ড বলা যায়। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বোরো চাষের মরশুমে কোচবিহার জেলায় ৪৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ধান লাগিয়েছিলেন। এ বছর তা বেড়ে ৪৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সব থেকে বেশি ধান চাষ হয়েছে দিনহাটা মহকুমায়। মহকুমার দিনহাটা-১ ব্লকে ৬৫০০ এবং দিনহাটা-২ ব্লকে ১১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও সিতাই ব্লকে ২০৫০ হেক্টর জমিতে এবার কৃষকরা বোরো ধান লাগিয়েছেন। কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জেলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই এবার বোরো ধান চাষের প্রতি কৃষকদের ঝোঁক বেড়েছে। বোরো চাষের জন্য সেচের ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তাছাড়া এখন অনেক উন্নতমানের ধানবীজ তৈরি হওয়ায় আগের থেকে অনেক বেশি ধান বিঘা প্রতি ফলাতে পারছেন কৃষকরা। খোলা বাজারের থেকে বেশি দামে রাজ্য সরকার কৃষকদের থেকে সহায়ক মূল্যে ক্যুইন্টাল প্রতি ধান কিনছেন। অনেকে আবার জমি লিজ নিয়ে বোরো চাষ করছেন। প্রথাগত চাষের থেকে খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে ধান লাগানোর প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে।