পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক সার অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহারের ফলে মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা যাতে কমানো যায় এবং অল্প খরচে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে কম পরিমাণ সার প্রয়োগ করে অধিক ফসল ফলানো যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ও অধীনে থাকা জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি। সেইমতো ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে নাইট্রোজেন, জিঙ্ক ও পটাসিয়ামের সংমিশ্রণে তৈরি ন্যানো ফার্টিলাইজার ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে আট একর জমিতে আলু, বেগুন, পেঁয়াজ সহ নানা সব্জি চাষ করা হয়। তাতে ভালো সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন ইফকোর জেলার ডেপুটি ফিল্ড ম্যানেজার সুনীল কুমার। তিনি বলেন, এতদিন জমিতে ৫০ কেজি করে সার ব্যবহার করে যে ফলন মিলত, তাতে ২৫০ মিলিলিটার ন্যানো ফার্টিলাইজার ব্যবহার করে অধিক ফলন হচ্ছে। সেটা পরীক্ষামূলক চাষে প্রমাণিত হয়েছে। এই ন্যানো ফার্টিলাইজার চাষে কৃষকদের খরচ যেমন কমবে, তেমনি আয় বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমাকে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। আগে জানাক, তারপর এবিষয়ে যা বলার বলব।
অন্যদিকে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ন্যানো ফার্টিলাইজার নয়, নতুন নতুন কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষের উন্নতি সাধনে যৌথ গবেষণা চালাতে বুধবার আইসিএআর ও ইফকোর মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। এ প্রসঙ্গে ইফকোর তরফে জানানো হয়েছে, চাষের নতুন উপাদান, কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তি নিয়ে আইসিএআরের অধীনে থাকা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ও বিভিন্ন রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ও ইফকো যৌথ গবেষণা করবে। তার সুফল সচেতনতা শিবির, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজন করে চাষিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। চাষিরা যদি ১৫ শতাংশ কম রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেন, সেটা কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে। যৌথ গবেষণার লক্ষ্যই হল, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও কম সার প্রয়োগ করে অধিক মাত্রায় ফসল ফলানো। যা চাষিদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ছবি: কৃষ্ণ প্রধান