পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তাঁদের মতে, বাজারে পানিফলের চাহিদা আছে। খরচ কম। এই ফল চাষ করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। তবে শুধু পানিফল নয়, ওই পুকুরে একইসঙ্গে মাছ চাষ করতে হবে। তাতে লাভের পরিমাণ বাড়বে।
প্রসঙ্গত, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় এই চাষে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এবারে এখনও বৃষ্টির হার ভালই। চলতি মাসের মধ্যেই জলা জায়গায় পানিফলের চারা বসাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা পানিফল পুকুর, জলাশয় কিংবা কাদা জলযুক্ত পাত্রে রেখে দিলে তা থেকে চারাগাছ জন্মায়। সেই চারা পরবর্তী সময়ে জলাশয়ে ছাড়তে হবে। চারা লাগানোর দু’মাস পরেই ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার ঠিক দু-তিন সপ্তাহ পর ফল তোলার উপযুক্ত সময়। সেপ্টেম্বর থেকেই পানিফল বাজারে আসতে শুরু করে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
কৃষি আধিকারিকরা জানান, পানিফলের পরিপক্ব বীজ তৈরি করতে সাত থেকে আট মাস সময় লাগে। তবে এই ফল তিনমাস পরেই তোলা যায় বিক্রির জন্য। এক থেকে দেড় ফুট জল থাকাকালীন খাল-বিল, পুকুর-ডোবা কিংবা জল জমা নিচু জমিতে চাষিরা পানিফলের বীজ বসাতে পারেন।
হুগলির উপ কৃষি অধিকর্তা (ফসল সুরক্ষা) বাপ্পাদিত্য সেনাপতি জানান, একইসঙ্গে পানিফল ও মাছচাষ সম্ভব। সচেতনভাবে চাষ করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন চাষিরা। রাসায়নিক ও জৈব উভয় সারেই পানিফল উৎপাদন করা যায়। জমির প্রকৃতি অনুযায়ী সারের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
হুগলির দিয়াড়া, নালিকূল, কামারকুণ্ডু, হাওড়ার আমতা, বড়গাছিয়া এলাকায় পানিফলের সঙ্গে একই জলাশয়ে মাছ চাষ করছেন চাষিরা। অশোক ঘোষ, কমল চৌধুরী, মাধব মাইতিদের মতো আরামবাগের চাষিরা জানাচ্ছেন, পানিফল কাঁচা হিসেবে খাওয়া হয়। আবার অনেক সময় পানিফলের খোসা ছাড়িয়ে তা শুকনো করে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা থেকে মুখরোচক খাবার তৈরি হয়।
হলদিয়ার মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমনকুমার সাহু জানিয়েছেন, একইসঙ্গে পানিফল ও মাছ চাষ সম্ভব। এমন কিছু চাষি আছেন, যাঁরা এই দু’টি ছাড়াও পদ্ম ও শ্যাপলাও চাষ করেন। যা খুব লাভজনক। পানিফলের পাশাপাশি যে মাছ সাধারণত চাষ হয়, সেগুলি জিওল মাছ। কেউ কেউ এগুলোকে কালা মাছ বলে থাকেন। অর্থাৎ কই, মাগুর, শিঙি ইত্যাদি। তেলাপিয়াও চাষ হতে পারে। এক বিঘা জলাশয়ে জিওল মাছ ছাড়তে ও বড় করতে খরচ ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। মাছ বিক্রি হয় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকায়। নিজস্ব চিত্র