নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের আয় বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ফলের ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর টার্গেট নিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। আম, লিচু, পেয়ারা, নারকেল, সবেদা সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সমস্ত ব্লকে ৮ জুন থেকে চলতি মাসের ১৫তারিখ পর্যন্ত গাছ লাগানোর জন্য গর্ত করা হবে। পরে ফলের গাছগুলি রোপণ করা হবে। পুরো কাজটি দেখভালের জন্য ১৩জন আধিকারিকের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাছ লাগানোর পর তা ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টিতেও তাঁরা নজর দেবেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ১০০দিনের প্রকল্পে গাছ লাগানো হবে। ফল ছাড়া আরও বেশ কিছু পুষ্টিকর গাছও লাগানো হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে বিপুল সংখ্যক লোকজনদের কাজ দেওয়া যাবে। জেলায় দেড় লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। তাঁদের দিয়েও এই কাজ করানো হবে। এর আগে নবগ্রামে ম্যাঙ্গোপার্ক এবং সাগরদিঘিতে আপেল বাগান তৈরি করা হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, ফলের গাছ লাগানো হলে যেমন সবুজায়ন বৃদ্ধি পাবে তেমনই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের আয় বাড়বে। এই জেলার আম এবং লিচু সারা রাজ্যে প্রসিদ্ধ। তাই আরও বেশি বাগান তৈরি করা গেলে বাইরে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরাও আয় করতে পারবেন। জেলাতে এর আগে বিশেষ প্রজাতির গাছের বনাঞ্চলও তৈরি করা হয়েছে।
এক আধিকারিক বলেন, অনেক সময় দেখা যায় টার্গেট খাতায় কলমে পূরণ হয়ে যায়। বাস্তবে এত সংখ্যক গাছ দেখা যায় না। সেটা যাতে না হয় তারজন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক গাছ বাঁচানো গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে। কেরল থেকে ফিরে এসেছেন দৌলতাবাদের মেহেবুব শেখ। তিনি বলেন, আমরা আর বাইরে কাজ করতে যেতে চাই না। জেলা প্রশাসন আমাদের বাগান তৈরিতে সহায়তা করলে সেটাই আমরা করব। আমাদের এলাকায় অনেক আমবাগান রয়েছে। ভালো প্রজাতির বাগান তৈরি করা গেলে লাভ ভালোই হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১০০দিনের প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান তৈরি ছাড়াও মাছ চাষেও জোর দেওয়া হয়েছে। সেই টার্গেট সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খননের কাজ শুরু হয়েছে।