অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ব্রিংগিং গ্রিন রেভ্যুলিউশন টু ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (বিজিআরইআই) প্রকল্পের মাধ্যমে শিলিগুড়িতে আমন ধানে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কৃষি দপ্তর। দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী গত মরশুমে হেক্টর প্রতি গড়ে ৪.৪৫ মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসেব অনুযায়ী মোট উৎপাদন হয়েছিল ৩১১৫ মেট্রিক টন।
চলতি খরিফ মরশুমে হেক্টর প্রতি গড়ে পাঁচ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এরফলে ৩৮৫ মেট্রিক টন উৎপাদন বাড়বে। মোট উৎপাদন বেড়ে ৩৫০০ মেট্রিক টনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তর।
শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও মাটিগাড়ায় ৭০০ হেক্টর জমিতে এই চাষ হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই ব্লকে ২০০ হেক্টর করে জমিতে ও মাটিগাড়া ব্লকে ১০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। এ জন্য আইইটি-১৫৩, ডিআরআর-৪২ ও এসএস-১ এই তিন প্রজাতির বীজ কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এই বীজের দাম কেজি প্রতি ৩৫-৩৬ টাকা। যদিও এরমধ্যে কৃষকরা অবশ্য ভর্তুকিও পাবেন। ব্লক স্তর থেকে প্রায় ২০০০ উপভোক্তাকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এরজন্য প্রয়োজন ২৫-২৬ মেট্রিক টন বীজ। রাজ্য বীজ নিগমের পক্ষ এই বীজ দেওয়া হবে।
দার্জিলিং জেলা কৃষি দপ্তরের উপ কৃষি অধিকর্তা পার্থ রায় বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এই আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে খরিফ মরশুমে আমরা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের বীজ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। আমরা আশা রাখছি, ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব।
অন্যদিকে, বুধবার আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙিয়ার মৃত কৃষক অমৃতচন্দ্র সিংহের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন পর্যমন্ত্রী গৌতম দেব। জানুয়ারি মাসে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের দু’লক্ষ টাকার চেক এদিন তাঁরা স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে সাহায্য মেলায় স্বভাবতই খুশি মৃত কৃষকের পরিবার।