খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. শ্রাবণী দেবনাথ জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসের শেষ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বেবিকর্ন চাষ শুরু করতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৪৫ সেমি। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব রাখতে হবে ১৫ সেমি। গাছে পুরুষ ফুল আসা মাত্র সেগুলি ভেঙে দিতে হবে। কল্যাণীর খামারে বেবিকর্নের বেশ কয়েকটি নতুন জাত নিয়ে তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। বেবিকর্নের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে পালংশাক, ধনে, মেথি চাষ করা যেতে পারে। এতে কৃষকের ঘরে বাড়তি টাকা আসবে। হেক্টর প্রতি ৬০-৭০ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া সবুজ গোখাদ্য মিলবে হেক্টর প্রতি ৩৩ টন। কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেবিকর্নের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এটি কম ক্যালোরিযুক্ত সব্জি। অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত, উচ্চ ফাইবারযুক্ত এবং কম ফ্যাটযুক্ত। বেবিকর্ন উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। সাধারণ ভুট্টার তুলনায় বেবিকর্নের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটি। কম সময়ের মধ্যে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বেবিকর্নের কয়েকটি উন্নত জাত প্রকাশ, বিবেক মেজ হাইব্রিড ২৩, বিবেক মেজ হাইব্রিড ২৫, ডিএইচএম ১০৯, গোল্ডেন বেবি প্রভৃতি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উজ্জ্বল সূর্যালোক ও ২২-২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বেবিকর্ন চাষের জন্য আদর্শ। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি হয়ে গেলে বেবিকর্নের ফলন মার খায়। কম তাপমাত্রাতেও ভালো ফলন হতে পারে, বেবিকর্নের এমন বেশকিছু জাত এখন পাওয়া যাচ্ছে।
যেসব কৃষক বেবিকর্ন চাষ করবেন, তাঁদের প্রথমে হেক্টর প্রতি ১৫ টন জৈবসার দিয়ে জমি ভালোভাবে ২-৩ বার চাষ দিয়ে নিতে হবে। মাটি যেন একেবারে ঝুরঝুরে হয়। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হবে। মাটিতে বাতাস চলাচল করতে পারবে। বোনার আগে অবশ্যই বীজ শোধন করে নিতে হবে। এক হেক্টরের জন্য ২০-২৫ কেজি বীজের প্রয়োজন। ব্যাভিস্টিন, থাইরাম, কার্বেন্ডাজিম ২-৩ গ্রাম দিয়ে প্রতি কেজি বীজ শোধন করা যেতে পারে। পোকার আক্রমণ রুখতে কেজি প্রতি বীজে ৪ গ্রাম ফিপ্রোনিল দিয়ে বীজ শোধন করা যেতে পারে।