কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
এর আগে প্রথাগতভাবে ভুট্টা চাষ করে ফলন ভালো না হওয়ায় ব্লক কৃষি দপ্তর থেকে চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ভুট্টা চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে চাষের খরচ যেমন কমবে, তেমনই ফলন বাড়বে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। বিনা কর্ষণে পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ করার জন্য ব্লক কৃষি দপ্তর চাষিদের উৎসাহিত করছে। ব্লকে এই পদ্ধতিতে চাষের প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে। সম্প্রতি এই প্রদর্শনী ক্ষেত্র পরিদর্শনে আসেন অস্ট্রেলিয়ার কৃষি বিজ্ঞানী ব্রেন্ডান ব্রাউন। তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ভুট্টা চাষের প্রদর্শনী ক্ষেত্র দেখে প্রশংসা করেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, অস্ট্রেলিয়ার কৃষি বিজ্ঞানী বিনা কর্ষণে পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন। চাষিরা এই পদ্ধতিতে চাষ করতে প্রথমে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু চাষিদের আমরা এই পদ্ধতিতে চাষ করতে উৎসাহিত করেছি। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন হয় বিঘা প্রতি গড়ে ১৫-১৮ কুইন্টাল। ধানের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ফলন হয় ভুট্টা চাষে। ফলে বিঘা প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন করতে পারেন একজন চাষি। ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত, সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত, মালিওর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিংহভাগ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হচ্ছে। এছাড়াও ভালুকা, মশালদহ, দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও ভুট্টা চাষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে প্রায় ২৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। কিষান, বিজয়, বিক্রম, পাইওনিয়ার-৩৩৫৫, জেকে প্রভৃতি বিভিন্ন জাতের ভুট্টা বীজ বাজারে প্রচলিত।
কৃষকরা জানান, ধান, গম, পাট চাষের তুলনায় ভুট্টা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম। কিন্তু মুনাফা বেশি। বছরের যে কোনও সময়ে এই চাষ করা যায়। দোঁয়াশ মাটিতে চাষ ভালো হয়। তবে বেলে মাটিতেও চাষ হয়। দুই-তিনবার সার প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট বলে জানান চাষিরা।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা বলেন, ব্লকে ভুট্টা চাষের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধান, পাটের থেকে ভুট্টার উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই ভুট্টাকে শস্যের রানি বলা হয়। প্রথাগত পদ্ধতি ছেড়ে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ করার জন্য চাষিদের উৎসাহিত করা হয়েছে। মেশিনের সাহায্যে ভুট্টা বীজ বপন করা হয়। কৃষি দপ্তর থেকে যুবরাজ গোল্ড নামক ভুট্টা বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে। উন্নত মানের চাষের পদ্ধতি কৃষকদের শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।