কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ছোট সারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রুপালি মল্ল বলেন, মাশরুম অত্যন্ত লাভদায়ক চাষ। তাছাড়া বর্তমানে বাজারে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আমি নিজে ২৫৩টি প্লাস্টিকের মধ্যে মাশরুম চাষ করেছি। চাষিরা জানিয়েছেন, মাশরুম মূলত শীতকালীন ফসল। খড় কেটে চুন ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো জলে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেই খড়কে শুকনো করে একটি বড় প্লাস্টিকের মধ্যে ভরতে হয়। ওই বড় প্লাস্টিকে কয়েকটি ছিদ্র রাখতে হয়। এরপর ৪টি স্তরে প্লাস্টিকের মধ্যে খড়গুলিকে রেখে তার মধ্যে মাশরুমের বীজ বসিয়ে দিতে হয়। জানা গিয়েছে, বীজ বসানোর দিন থেকে এক মাসের মধ্যেই প্রথম ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া ৫০ দিনের মধ্যেই এক-একটি সিলিন্ডার থেকে দু’বার মাশরুম পাওয়া যায়। সারেঙ্গার মহিলা চাষিরা কোতুলপুর থেকে মাশরুমের বীজ এনে চাষ করছেন। বর্তমানে বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে মাশরুমের বীজ কিনতে পাওয়া যায় বলে চাষিরা জানিয়েছেন। সারেঙ্গার অন্য এক মাশরুম চাষি ঝর্ণা আহির বলেন, অনায়াসেই বাড়িতে বসে মাশরুম চাষ করা যায়। প্লাস্টিকের সিলিন্ডার তৈরি করে ঘরের মধ্যে রেখেই মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। যাতে এলাকার অন্যান্যরাও যাতে এই চাষ করেন, সেই বিষয়েও বোঝাচ্ছি।
বর্তমানে বিভিন্ন হোটেলে মাশরুম বেশ বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সারেঙ্গা, খাতড়া সহ স্থানীয় বাজারগুলিতেও শীতের সময় মাশরুমের ভালো বিক্রি হয়ে থাকে। তবে মাশরুম মূলত শীতকালীন ফসল হলেও বছরের অন্যান্য সময়েও এই চাষ করা যায়। সেক্ষেত্রে খড়ের শোধন এবং তাপমাত্রার দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। বর্তমানে সারেঙ্গার চাষিরা স্থানীয় বাজারেই মাশরুম বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন। চাষিরা জানিয়েছেন, এক একটি পলিথিন সিলিন্ডারে ১০০ গ্রাম করে মাশরুমের বীজ লাগে। কিন্তু, এক একটি প্যাকেট থেকে দু’বারে মোট ৩ কেজি করে মাশরুমের ফলন পাওয়া যায়। সেই মাশরুম প্রতি কেজি খোলা বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাশরুম উৎপাদনে অংশ নেওয়া মহিলাদের সরকারিভাবে সহায়তা পাওয়া প্রয়োজন বলে সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অমর লোহার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে মহিলারা বিকল্প আয়ের পথ সুনিশ্চিত করতে মাশরুম চাষের মতো লাভজনক চাষকে বেছে নিয়েছেন। এই চাষে ঝুঁকি নেই। কিন্তু, প্রশাসন ও কৃষিদপ্তর এ ব্যাপারে মহিলাদের সহায়তা করলে আগামী দিনে বৃহত্তরভাবে এখানে মাশরুম চাষ করা সম্ভব হবে। নিজস্ব চিত্র