কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা প্রভাস মণ্ডল জানিয়েছেন, কোল্ড ইনজুরি থেকে আমগাছকে বাঁচাতে জল স্প্রে করা যেতে পারে। কুয়াশার কারণে ছত্রাকের আক্রমণ রুখতে কিংবা আমগাছে কালোক্ষত বা অ্যানথ্রাকনোস রোগ প্রতিরোধে কার্বেন্ডাজিম ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। মুকুল আসার মুখে যদি আম ও লিচুগাছে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা যায়, তা হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মিলি প্রতি তিন লিটার জলে গুলে আঠা সহযোগে স্প্রে করতে হবে। পৌষ-মাঘ মাসে আম ও লিচু বাগানে জলসেচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় মাটিতে রসের অভাব ঘটলে ঠিকমতো ফুল ফোটে না। ফলের বৃদ্ধি ভালো হয় না। মাটিতে রসের পরিমাণের উপর নির্ভর করে শীতকালে ১৫ দিন অন্তর জলসেচ দেওয়া দরকার। পৌষ মাসে পুরনো আম বাগানের রোগপোকা আক্রান্ত এবং শুকনো ডালপালা কেটে সেই অংশে ছত্রাকনাশক দিতে হবে। মিলি বাগ বা দয়ে পোকা নিয়ন্ত্রণে গাছের গোড়ার মাটি হাল্কা করে কুপিয়ে নিমখোল প্রয়োগ করা দরকার। বোরনের ঘাটতি থাকলে প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী স্প্রে করতে হবে। নতুন লাগানো গাছে যদি কুঁড়ি চলে আসে তা হলে তা ভেঙে দিতে হবে। শুলিপোকা আক্রান্ত গাছের ডগা ভেঙে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পাউডারি মিলডিউ রোগ দমনে গন্ধক গুঁড়ো ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। উদ্যানপালন আধিকারিকরা বলছেন, জাবপোকা দমনে বুপ্রোফেজিন ও অ্যাসিফেট দুই মিলিলিটার প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। অনেক কৃষক আগে জাবপোকা দমনে শুধুমাত্র ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাতে খুব ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এখন ইমিডাক্লোপিড ও অ্যাসিফেট একসঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। স্প্রে সবসময় বিকেলের দিকে আঠা সহযোগে করতে পারলে ভালো। জাবপোকা রোধে চটজলদি ফল পেতে অনেক কৃষক প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড প্রয়োগ করেন। এতে বিপত্তি ঘটে।