ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যথেচ্ছ হারে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে চলবে না। লাগামছাড়া মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগে অনেক উপকারি প্রাণী বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। জল-মাটি দূষিত হচ্ছে। মাটির উর্বরাশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষি বিজ্ঞানীরা রোগপোকা নিয়ন্ত্রণে সুসংহত উপায়ে তৈলবীজ রক্ষা করার সুপারিশ করছেন। যেমন, রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন। উপযুক্ত জমি ও শস্য পর্যায় ঠিক করা। আগের ফসলের অবশিষ্টাংশ তুলে ফেলা। জমির আল পরিস্কার রাখা। জমিতে চাষ দিয়ে রোদ খাওয়ানো। ভালো করে বীজ শোধন।
বীজের সঙ্গে রাইজোবিয়াম কালচার মেশানো। সবুজসার তথা জৈবসার ব্যবহার। সঠিক সময়ে ও সঠিক দূরত্বে বীজ বপন। মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে বোরন অনুখাদ্য সহ সুষম সারের প্রয়োগ। প্রয়োজনে অম্ল জমিতে আগাম চুন দেওয়া। জমিতে সালফারের প্রয়োগ বাড়ানো। সেজন্য ফসফেট সার হিসেবে সিঙ্গল সুপার ফসফেট ব্যবহার করা যেতে পারে। জমিতে ঘন গাছ পাতলা করে একক জায়গায় নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ গাছ রাখা। নিয়মিত আগাছা পরিস্কার করা। সময়ে সেচ দেওয়া এবং জমিতে জল নিকাশি ব্যবস্থা রাখা। রোগপোকা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় হাত দিয়ে পোকা বা রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত পাতা, পোকার ডিম বা শুককীট তুলে পুড়িয়ে দিতে হবে। পোকা আক্রান্ত ফল বা ডাঁটা বা পাতা জমিতে ফেলে না রেখে এক জায়গায় জড়ো করে পুড়িয়ে ফেলা উচিত।
জমির ধারে বা মাঝে পাখি বসার জন্য ডাল পুঁতে দিলে ল্যাদাপোকা বা অন্যান্য পোকা বা ইঁদুর নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কমে। বন্ধুপোকাদের বেঁচে থাকার উপায় করে দিতে হবে। কারণ, তারা শত্রুপোকা ধ্বংস করে। প্রয়োজন ভিত্তিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক ওষুধ সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। বন্ধুপোকা বা পরিবেশের ক্ষতি করে না, এমন কম বিপদযুক্ত কীটনাশক রোগপোকা আক্রমণের প্রথম ধাপে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে নিমজাত কীটনাশক ও জীবাণুঘটিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারলে ভালো। এভাবে নিয়ম মেনে চাষ করলে ও সুসংহত উপায়ে তৈলবীজে রোগপোকার আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।