পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বহরমপুর এক নম্বর ব্লকের বাণীনাথপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মোহিত জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকে পেঁয়াজ চাষ করছেন তিনি। সাধারণতঃ ১১০ দিনে পেঁয়াজ তুলে থাকেন। কিন্তু এবার বেশি দাম পাওয়ার আশায় বর্ষার পেঁয়াজ ৯৮ দিনে তুলে নিয়েছেন। চার বিঘা জমিতে খরিফ মরশুমের পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন তিনি। বিঘায় ৩০-৩৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। ইসলামপুর, ভগবানগোলা, বহরমপুর নতুন বাজারে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। মাঠ থেকেই বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়।
গত বছর শীতের পেঁয়াজ চাষ করে মার খেয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার চাষিরা। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, অনেক জায়গায় ২টাকা, ৩ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন কৃষকরা। সেই ক্ষতি এবার পুষিয়ে দিল বর্ষার পেঁয়াজ।
মুর্শিদাবাদের উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা প্রভাস মণ্ডল জানিয়েছেন, আমাদের জেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে এবার বর্ষার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে ভালোই। চাষিরাও ফসলের দাম পাচ্ছেন। ফলে তাঁরা খুশি। বর্ষার পেঁয়াজ চাষ করার জন্য হেক্টরে ২০ হাজার টাকা করে চাষিদের সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হবে। বাঁকুড়া জেলায় এবার প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে বর্ষার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। ওই আনাজ বাজারে আসলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমার আশা। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত প্রোগ্রেসিভ ভেজিটেবল প্রোডিউসার কোম্পানি লিমিটেডের সিইও আবুল হোসেন জানিয়েছেন, আমরা এবার প্রায় ৪৫ জন চাষিকে বর্ষার পেঁয়াজের বীজ দিয়েছিলাম। তাঁরা আমডাঙা, বারাসত ১ নম্বর ব্লকের পাশাপাশি বসিরহাট, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদে চাষ করেছেন। তবে একটু দেরিতে (আগস্ট মাসে) বসানোয় এখনও ফলন ওঠেনি। তবে, কয়েক দিনের মধ্যেই ওইসব জায়গায় বর্ষার পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। আশা করছি, চাষিরা ভালোই দাম পাবেন।
উত্তর ২৪ পরগনার উদ্যানপালন আধিকারিক ড. শুভদীপ নাথ জানিয়েছেন, আমাদের জেলাতেও এবার বর্ষার পেঁয়াজ ভালোই হয়েছে। বুলবুলের পর জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ চাষিরা একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্যানপালন দপ্তরের পরামর্শ মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ফসল সেভাবে নষ্ট হয়নি। চাষে কয়েকটি বিশেষ টিপস কাজে লাগাতে পারলে বর্ষার পেঁয়াজ যথেষ্টই লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।