কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলার বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, বংশীহারি, কুশমণ্ডি ব্লক এলাকায় ব্যাপকভাবে গাঁদাফুল চাষে নেমেছেন কৃষকেরা। গতানুগতিক চাষের পরিবর্তে মরশুমের ফুল চাষে ভালো লাভ থাকায় জেলার চাষিরা এতে উৎসাহী হয়েছেন। জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে জেলাজুড়ে এবার ১০০ হেক্টর জমিতে গাঁদাফুল চাষ হয়েছে। বাজারে সারা বছরই গাঁদাফুলের চাহিদা থাকে। জেলার ক্ষুদ্র চাষিদের গাঁদাফুল চাষে অনুপ্রাণিত করে সরকারিভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। অনেক পরিবার এতে স্বনির্ভর হয়েছে। অনেকেই এই ফুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সমরেন্দ্র খাঁড়া বলেন, আমি এই জেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেছি জেলায় ফুলের একটা ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এখানকার কৃষকেরা গতানুগতিক চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জেলার ফুলের বাজার নির্ভর করে থাকে দক্ষিণবঙ্গের ফুলের উপর। আমি নিজে জেলার প্রতিটি ব্লকে ঘুরে ক্ষুদ্র কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের সরকারিভাবে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাঁদাফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছি। জেলাজুড়ে ১০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন গাঁদাফুলের চাষ হয়েছে। কয়েকশো কৃষক এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। একাজে আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র কৃষক ও স্বনির্ভর দলের মহিলাদের বেছে নিয়েছি। বিঘা প্রতি কৃষকদের গাঁদাফুল চাষের খরচ ১০০০-১৫০০ টাকা। তিন মাসে বিঘা প্রতি কৃষকদের লাভের পরিমান ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমরা দপ্তর থেকে গাঁদাফুলের বীজ ও জৈব সার দিয়েছি। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় কৃষকদের আর্থিক অনুদানও দেওয়া হচ্ছে।
বংশীহারি ব্লকের গাঁদাফুল চাষি গৌতম সমাদ্দার বলেন, উদ্যানপালন দপ্তরের পরামর্শে আমি ৩৩ শতক জমিতে শীতকালীন গাঁদাফুল চাষ করেছি। উদ্যানপালন দপ্তর সার ও বীজ দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছে। অক্টোবর মাসের দিকে গাঁদা ফুলের চারা লাগিয়েছি। ৩০ দিনের ভেতরে গাছে কুড়ি এসেছে। ফুলও হচ্ছে। বর্তমানে আমি প্রতিদিন জেলার ফুলরে দোকানের পাশাপাশি মালদহ ও শিলিগুড়িতেও ফুল পাঠাচ্ছি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৬০-৭০ টাকা কেজি দলে এই ফুল বিক্রি হচ্ছে। তিনমাস এই ফুল বিক্রি করব। অন্যান্য চাষের তুলনায় এই ফুলচাষ কম পরিশ্রমে অনেক বেশি লাভজনক।