গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে দুধ উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। এই জেলাতে গোপালকের সংখ্যা বেশি। সেকারণে দুধও বেশি উৎপাদন হয়। ২০১৮-’১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ জেলায় দুধ উৎপাদন হয় ৫লক্ষ ১০হাজার ৬৪ টন। পশ্চিম মেদিনীপুরে দুধ উৎপাদন হয়েছে ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ১১৪টন। দুই বর্ধমান থেকে দুধ পাওয়া যায় ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫৮০ টন। বাঁকুড়াতেও অনেকেই গোপালনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই জেলা থেকে দুধ আসে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৮ টন। এছাড়া কোচবিহারে ২ লক্ষ ৮ হাজার ২২৭ টন, জলপাইগুড়িতে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৫০টন, দার্জিলিংয়ে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৬ টন, উত্তর দিনাজপুরে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৮৫ টন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ লক্ষ ৬০হাজার ৮ টন, মালদহে ২ লক্ষ ২১ হাজার ৬১৬ টন, নদীয়ায় ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭ টন, কলকাতায় ৪ হাজার ৮৭৬টন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ ৮৩ হাজার ১৭, পুরুলিয়ায় ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৭১৭ টন এবং হুগলিতে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৬২টন দুধ উৎপাদন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে মুর্শিদাবাদ বা পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে আরও বেশি দুধ উৎপাদন হতো। মাঝে কিছুদিন চাষিরা গোপালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আবার রাজ্য সরকার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের উৎসাহিত করতে চাইছে। এছাড়া চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে সমবায় সমিতিগুলিতে দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। সেটা নিয়েও রাজ্য সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি বেশি দাম দিয়ে দুধ কিনে নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু সব জায়গাতে তারা পৌঁছতে পারছে না। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতেও সমবায় রয়েছে। তাই দুধের দাম বাড়ানো হলেই চাষিরা আবার বাড়তি দুধ উৎপাদনে উৎসাহ দেখাবেন।