কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
নলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলচাষি বলরাম মল্লিক ও শিপ্রা মল্লিক জানান, চন্দ্রমল্লিকার ক্ষেত্রে পাপড়ির গঠন এবং ফুলের সৌন্দর্য অনুসারে এই ফুলকে সিঙ্গল, কাসকেড, ফেদারি, পমপন, স্পাইডার, স্পুন প্রভৃতি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। বাজার পেয়েছে কাসকেড, পমপন, ফেদারি এবং স্পাইডার। এই ফুলের উন্নত জাত, স্টার ফায়ার, ফেভারিট, ভেলভেট, ক্রিমসন, ইয়েলো মার্ভেল, মেলাঙ্কলি, ব্রুমাস, গ্লোব মাস্টার, স্টার ব্রাইট, ডিলাইটফুল এবং অ্যাকট্রেস। সামান্য অ্যাসিটিক মাটি অর্থাৎ মাটির পিএইচ ৬.৫-৭ হলে চন্দ্রমল্লিকার গঠন ভালো হয়। তাঁরা নার্সারি থেকে এই মাটি সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া লাগবে বেলে-দোঁয়াশ মাটি। বীজ থেকে চারা তৈরি করলে ফুল দেরিতে আসবে। এবং ফুল বড় হবে না। তাই তাঁরা ভালো জাতের মা গাছ থেকে কাটিং করে চারাগাছ তৈরি করেছেন। মাটি তৈরিতে ব্যবহার করেছেন পাতাপচা সার, খামারসার এবং গোবরসার। এছাড়া বিঘা প্রতি দিয়েছেন আট কেজি নাইট্রোজেন, ১৪ কেজি ফসফেট এবং ১৪ কেজি পটাশ। কুঁড়ি আসলে দেবেন বিঘা প্রতি ৬ কেজি নাইট্রোজেন সার। সবেমাত্র চারাগাছ রোপণ হয়েছে। এর পর এক মাস বাদে তাঁরা নিড়ানি দিয়ে গাছের গোড়া আলগা করে দেবেন। মাঠের সমস্ত আগাছা তুলে ফেলে দেবেন। এর পর অবাঞ্ছিত ডালপালা ছেঁটে দেবেন তাঁরা। কুঁড়ি আসার সময় দশ লিটার জলে ৫ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট ও ৫ গ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। চন্দ্রমল্লিকা বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সরাসরি সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা। এর সঙ্গে দিতে হবে বারবার সামান্য সেচ। পরিচর্যায় মিলবে ভালো ফুল। বেলেদুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষি প্রদীপ মান্না ও সবিতা মান্না জানালেন, চন্দ্রমল্লিকার মতো ডালিয়ার পাপড়ি গঠন এবং ফুলের সৌন্দর্য অনুসারে এই ফুলকে সিঙ্গল, পিওনি, কলারেট, স্টার, ফ্যানসি, পমপন, ডেকরেটিভ প্রভৃতি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ডালিয়ার বহু স্তবক বিশিষ্ট বড় আকারের জাতগুলি হল, অন্নপূর্ণা, বিগবেন, গাডেন লাইট, নেলি প্রভৃতি। পমপন প্রকারের জাতগুলি হল, সিলভার ওয়েডিং, টমটম, হোয়াইট স্টার প্রভৃতি। ভালো ফুল পেতে নভেম্বরেই চারা রোপণ করে ফেলতে হবে।