ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এরমধ্যে ২৫ হাজার ৪৬৬ হেক্টর জমিতে সর্ষে, ৫ হাজার ৩০০ হেক্টরে মসুর, ২ হাজার ৬৬ একর জমিতে ছোলা, ৩ হাজার হেক্টরে খেসারি, ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মুগ, ২৫০ হেক্টর করে জমিতে তিল ও সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে বীজ বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিভিন্ন ব্লকে সরকারি সুবিধা প্রাপকদের তালিকা নিয়ে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বাঁকুড়া জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, বৃষ্টিপাত কম হয় এবার জেলায় আমনের চাষ কিছুটা মার খেয়েছে। চাষিদের লোকসান মেটাতে এবার জেলায় ডাল শস্য চাষের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। চাষিদের উৎসাহিত করতে কৃষি দপ্তর থেকে বীজ, অনুখাদ্য, সার ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে শুরুর দিকে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টি কম হওয়ায় প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা সম্ভব হয়নি। তাই বিকল্প চাষ হিসেবে জেলায় এবার রবি শস্য তৈলবীজ ও ডাল শস্য চাষের উপর জোর দিচ্ছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি টার্গেট রাইস ফেলো এরিয়া প্রকল্পতে ডাল ও তৈল বীজ চাষের পাশাপাশি কারণে রাজ্যের বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের বীজ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেবে কৃষি দপ্তর।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ১০০হেক্টর জমিতে মসুর, ২০০হেক্টর জমিতে সর্ষে, ২৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী এবং ২৫০ হেক্টর জমিতে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এছাড়াও টার্গেট রাইস ফেলো এরিয়া প্রকল্পে ৪হাজার হেক্টর জমিতে মসুর কলাই, ৩ হাজার হেক্টর জমিতে খেসারি, ১৭০০ জমিতে মুগ, ৫০০ হেক্টর জমিতে সর্ষে ও এক হাজার হেক্টর জমিতে ছোলা চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এই দুই প্রকল্পে চাষিদের বীজের সঙ্গে সঙ্গে অনুখাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে কৃষি দপ্তর। অনাবৃষ্টির কারণে এবার জেলায় ২০ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে সর্ষে, ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ছোলা ও হাজার হেক্টর জমিতে মসুর চাষের উদ্যোগ নিয়েছে।
অনাবৃষ্টির কারণে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিশেষ প্যাকেজে মূলত সদর মহকুমার শালতোড়া, ছাতনা, মেজিয়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বাঁকুড়া ১ ও ২ ব্লক এবং খাতড়া মহকুমার হীড়বাঁধ, তালডাংরা, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, রাইপুর, রানিবাঁধ, খাতড়া ব্লকে জোর দেওয়া হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের বীজ ও সার জেলায় এসে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ব্লক ভিত্তিক চাষিদের বীভিন্ন তৈলবীজ ও ডালের বীজ বণ্টন শুরু হয়েছে। জেলাজুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া নামের তালিকা অনুযায়ী বীজ অনুখাদ্য বণ্টনের কাজ জোর কদমে চলছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ শেষ করতে চায় জেলা কৃষি দপ্তর। তবে এই বীজ ও চাষের সামগ্রী বণ্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই রাইপুর, ছাতনা, ইন্দপুর ও রানিবাঁধ ব্লকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় চাষিদের একাংশ। বুধবার রানিবাঁধ ব্লক কৃষি দপ্তরে তা নিয়ে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ব্লকের জন্য পাঁচ হাজার সর্ষে বীজের প্যাকেট এলেও তা কিসের ভিত্তিতে কাদের বিলি করা হয়েছে তা দপ্তরের আধিকারিকরাই জানেন। তবে এলাকার অধিকাংশ চাষিই সরকারি বীজ ও অন্যান্য উপকরণ পাননি। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত চাষিকে কৃষি দপ্তর বীজ দিয়েছে তাঁদের একাংশও ক্ষুব্ধ।
সব্যসাচী মাহাত নামে সারেঙ্গার এক চাষি বলেন, আমার বাড়ির পাশে যে জমিতে ডালশস্য চাষের জন্য আবেদন করেছি, তা মুগ কলাই চাষের উপযোগী। কিন্তু, কৃষিদপ্তর আমাকে সর্ষের বীজ দিয়েছে। সর্ষে চাষের উপযোগী জমি আমার নিজের নেই। তাই সরকারি বীজ পাওয়ার পর চাষের জন্য হন্যে হয়ে অন্যের জমি খুঁজতে হচ্ছে।