নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
কাশীজোড়া এলাকা আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। বিশাল এলাকাজুড়ে সেখানে জমি পড়ে রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে সেখানে চায়ের বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আইআইটি খড়গপুরের চা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এসে জমি খতিয়ে দেখে যান। চায়ের বাগান তৈরির জন্য সেখানে জলের পাম্প বসানো হয়। কিন্তু, আর সেই কাজ এগয়নি। বছরখানেক ধরে সেই জমি পড়ে রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না রায় বলেন, পঞ্চায়েতের চায়ের বাগান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। চায়ের বাগান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমরা জমিটি পরিষ্কারও করে দিয়েছিলাম। পরে আর কাজ এগয়নি। এরপর আমরা বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তারা কী উদ্যোগ নিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মিনু খামরুই বলেন, ওখানে প্রথমে চায়ের বাগান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিছুটা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। এখন কাজুর বাগান হলেও সেখান থেকে আমাদের আয় হবে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় খামরুই বলেন, বছর দু’য়েক আগে কাশীজোড়া এলাকায় চায়ের বাগান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আইআইটি খড়গপুরে চা বিশেষজ্ঞরা মাটি পরীক্ষা করে বলেছিলেন, যা পরিকাঠামো রয়েছে তাতে এই জায়গায় চায়ের বাগান করা যাবে। তৎকালীন বিডিওর সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। ৬ একর জায়গাজুড়ে চায়ের বাগান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ১২ একর জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। জলের ব্যবস্থার জন্য দু’টি পাম্প মেশিনও বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আচমকা তা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন বিডিওর কাছে আমরা এই বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি জানিয়েছিলেন এখানে চায়ের বাগান তৈরি করা খুব কঠিন। তবে, কাজুর বাগান হচ্ছে বলে আমরা জানি না। আমাদের এলাকার যা মাটি, তাতে কাজুর বাগান তো হবেই। নতুন কিছু হলে ভালো লাগত।
বিডিও সঞ্জয়বাবু বলেন, উত্তরবঙ্গে আমি বেশ কিছুদিন ছিলাম। ফলে, কোন আবহাওয়ায় চায়ের বাগান হবে, তা আমি খুব ভালো করে জানি। ফলে, আপাতত চায়ের বাগান করতে চাইছি না। তার পরিবর্তে কাজুর বাগান তৈরি করা হবে বলে ঠিক করেছি।