সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
চাষিরা বলেন, তাঁরা চাষ করলেও একাঙ্গী কী কাজে লাগে সে সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল না। প্রথমে তাঁরা জানতেন মাছ ধরার জন্য একাঙ্গীর গুঁড়ো দরকার হয়। মাছ ধরার আগে তা জলে ছড়িয়ে দিলে ঝাঁকে ঝাঁকে রুই ও কাতলা ঘাটে চলে আসে। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন, যৌবন ধরে রাখার জন্যও একাঙ্গী গুঁড়ো করে অনেকে খান। সেকারণে এর চাহিদা এত বেশি। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু বলেন, এ ধরনের চাষ লাভজনক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই চাষে আমরা কখনও উৎসাহ দিই না। একাঙ্গী ওষুধ তৈরির কাজেও লাগে বলে শুনেছি। ক্রেতারা জেলার বাইরে থেকে আসেন।
জলঙ্গির চাষি সুজা শেখ বলেন, এক বছর ধরে জমিতে গাছ রাখতে হয়। নদীর ধারে এই চাষ সবচেয়ে ভালো হয়। একাঙ্গীর দাম ওঠানামা করে। কখনও এক কেজি একাঙ্গীর দাম ১৮০০ টাকা হয়। আবার কখনও তা আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। কলকাতা থেকে ক্রেতারা আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখেন। আরেক চাষি মহম্মদ মইনুল বলেন, এবছর জমিতে জল জমে যাওয়ায় গাছের ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছের গোড়া পচে গিয়েছে। বৈশাখ মাসে বীজ রোপণ করা হয়। গাছে বিশেষ যত্ন নেওয়ার দরকার হয় না। তবে জমিতে যাতে জল না দাঁড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হয়। একাঙ্গী তোলার পর তা রোদে শুকোতে হয়। এই চাষ করে ভালোই লাভ হয়। চাষিরা বলেন, ক্রেতারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলে একাঙ্গী নিয়ে যায়। কখনও বলেন, তা দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়। আবার কখনও বলা হয় মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর গন্ধে ঘাটে মাছ চলে আসে। আবার শোনা যাচ্ছে একাঙ্গীর গুঁড়ো থেকে যৌবন ধরে রাখার ওষুধ তৈরি হয়। আগের তুলনায় জেলাতে এই চাষ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এক চাষি বলেন, একাঙ্গী কী কাজে ব্যবহার হয়, সেটা আমাদের কাছেও রহস্যের। জেলায় চাষ হলেও চাষিরা তা ব্যবহার করেন না। ভালো দাম পাওয়ার আশাতেই তা চাষ হয়। মাঠ থেকে তোলার পর তা অনেকটা আদার মতো দেখায়। গাছও দেখতে সেরকম। একসময় নদীর ধারে একাঙ্গী চাষ হতো। এখন অন্য জমিতেও চাষ হচ্ছে। তবে জল জমে এমন জমিতে তা চাষ করা যায় না। কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, একাঙ্গী রাজ্যের খুব কম জেলাতেই চাষ হয়। মুর্শিদাবাদে এক কৃষি আধিকারিকের পরামর্শে প্রথমে কয়েকজন চাষি একাঙ্গী চাষ করেছিলেন। পরে তা জেলার অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।