ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এই ফুলের চাহিদা কলকাতা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের সর্বাধিক জেলাগুলিতে রয়েছে। অন্যদিকে, রানাঘাট ২ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চাষিদের ফুল নোকারি বাজার থেকে নেপাল, ভুটান, আসাম, দিল্লি, বিহার, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, এমনকী বাংলাদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে বৃহৎ আকারের ঝুড়িতে করে গাঁদা ফুল প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তারমধ্যে বরফ দিয়ে শিলিগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তরবঙ্গের যাত্রীবাহী বাসের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেগুলি চলে যায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। পাশাপাশি একইভাবে কলকাতা হয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ অন্যান্য রাজ্যে যায় এই ফুল। রানাঘাট এনবিএসটিসি বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন বিকেলে মোটর ভ্যানে করে ঝুড়ি ঝুড়ি গাঁদা ফুল নিয়ে আসেন রানাঘাট ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ফুল চাষিরা। সেখান থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেই ফুল নিয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। রানাঘাট ২ ব্লকের নোকারি ফুল বাজারের রোজ সকালের চিত্রটা এমনই। এখানকার বাজারে প্রতিদিন সকালে বসে ফুলের হাট। গাঁদা ফুলের পাশাপাশি রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, এস্টার, বেবি, জারবেরা, গ্লাডিওলাস সহ বিভিন্ন রকমের ফুল নিয়ে বাজারে হাজির হন ফুল চাষিরা। তবে এখন বাজারে চন্দ্রমল্লিকার চাহিদা কম। যে সমস্ত চাষি চন্দ্রমল্লিকা লাগিয়েছেন, তাঁরা চাষের জন্য ন্যূনতম খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। যে কারণে চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফোটার পর বিঘার পর বিঘা জমিতেই পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। মূলত বাইরে পাঠানোর পর বেঁচে যাওয়া ফুল বাজারে নিয়ে যান চাষিরা। সেখানেও ফুল বিক্রি হওয়ার পরেও অনেক ফুল রয়ে যায়। যেগুলি বিক্রি না হওয়ার কারণে চাষিরা ফেলে দিতে বাধ্য হন। তার কারণ, এলাকায় হিমঘর নেই। ফলে ফুল সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। পুজোর মরশুমে ফুলের দাম মোটামুটি পাওয়া গেলেও সারা বছর এই চাষ খুব একটা লাভজনক হয় না। তবে এবছর বেশি বৃষ্টিপাত না হওয়া ফুল চাষের পক্ষে উপযোগী বলে মনে করছেন চাষিরা। কারণ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ফুল চাষের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক। চাষিদের অভিযোগ, ফুল চাষের জন্য নূন্যতম যে খরচটুকু করা হয়, তার থেকেও কম দামে সারাবছর ফুল বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় বিক্রির পরেও ফুল থেকে যায়। তাই বাধ্য হয়ে দাম না পেয়ে তা ফেলে দিতে হয়। শুধু নোকারি বাজারে নয়, এই এলাকার পাশাপাশি রয়েছে রানাঘাট থানার পূর্ণনগর ফুল বাজার ও ধানতলার ফুলের বাজার। সেখানেও ফুল চাষিদের একই অবস্থা। রানাঘাটের এক ফুল ব্যবসায়ী রাজীব বিশ্বাস বলেন, আমি নিজের আট বিঘা জমিতে ফুল চাষ করি। এবছর ফুলের চাষ ভালো হয়েছে। তবে সারা বছর পাইকাররা যে দামে চাষিদের থেকে মাল কেনেন, পুজোর সময়ও একই দাম দেয়। তবে পুজোর সময় চাহিদা থাকায় দু’পয়সা চোখে দেখা যায়। নিজস্ব চিত্র