কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় সব জেলায় কুমড়ো চাষ হচ্ছে। কোথাও মাচা করে গাছ বসিয়ে, আবার কোথাও মাটিতেই চাষ হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৮৫ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে পূর্ণাঙ্গ কুমড়ো হতে। সারা বছরই এই চাষ সম্ভব হয়।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মরশুমে উল্লেখযোগ্য চাষ হচ্ছে। রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, উত্তর দিনাজপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় বাড়ছে কুমড়ো চাষ। আর্থিক লাভজনক ফসল হিসেবে এটির চাষ হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি হেক্টরে ২০ থেকে ২৫ টন কুমড়োর ফলন হচ্ছে। বাজারে কমপক্ষে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে তা বিক্রিও হচ্ছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞ হরষিত মজুমদার জানান, উষ্ণ ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কুমড়ো চাষ হতে পারে। ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা চাষের উপযুক্ত। বেলে ও দোঁয়াশ মাটিতে কুমড়ো চাষ ভালো হয়। বর্তমানে জৈব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি খামারগুলিতে কুমড়ো চাষ হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ অথবা সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস হল কুমড়ো চাষের উপযুক্ত সময়। দেড় থেকে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি গর্তে ২ থেকে ৪টি দানা পুঁতে দিতে হবে।
প্রতি হেক্টরে ২ কেজি কুমড়ো বীজ লাগবে। জারাডেল, পেপিটাস, সুপারমুন প্রভৃতি জাতের কুমড়ো চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া যেতে পারে। চাষিরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে কুমড়ো চাষে লাভ পাওয়া যাচ্ছে। আগে এটা পাওয়া যেত না। তাছাড়া এখন আলু চাষের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে কুমড়ো চাষ সহজে হচ্ছে। তেমনই আখ, মুগ, ভুট্টা প্রভৃতি ফসলের সঙ্গেও কুমড়ো চাষ করা যাচ্ছে। আলাদা কোনও জায়গা বা সার এবং ওষুধ লাগছে না। তবে মাচার কুমড়োর চাহিদা বেশি। কারণ, সুস্বাদু ও মিষ্টি বলে।
এদিকে, কৃষি ব্লকগুলিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। কৃষি বিশেষজ্ঞরা কুমড়ো চাষ বাড়াতে চাষিদের নিয়ে সচেতনতা শিবিরও করছেন।