ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের সহকারি কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন জানিয়েছেন, ধানে থোড় আসার পরই বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এই পোকা ধানগাছের গোড়া থেকে রস শুষে খায়। ডানাযুক্ত বড় পোকা গাছের খোলা ও মধ্যশিরার মধ্যে ডিম পাড়ে। আক্রমণ বাড়াবাড়ি হলে দূর থেকে ধানের জমি দেখলে মনে হয় যেন, মাঝে মাঝে খেত পুড়ে গিয়েছে। একে হপার বার্ন বলে। এই অবস্থা হলে ধানের শিষ বের হয় না। এই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে জমিতে আলোক ফাঁদের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময় দানাদার ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত নয়। এখন ধানের জমিতে পামড়ি পোকার আক্রমণ ঘটতে পারে। পূর্ণাঙ্গ পোকা কালো বা নীলচে রঙের দেখতে হয়। এরা গাছের সবুজ অংশ খেয়ে নেয়। পাতায় ফোস্কার মতো দেখা যায়। দেরিতে রোয়া হলে এই পোকার আক্রমণ বেশি হয়। আক্রমণ বেশি হলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশকাঠি ছাড়ে না। ফলন কমে। কেরোসিনে ভেজানো পাটের দড়ি ধানগাছের উপর দিয়ে টেনে দিলে পোকা জমিতে থাকা জলে পড়ে মারা যায়। প্রয়োজনে প্রতি লিটার জলে ১ মিলি ট্রায়াজোফস বা ০.২ গ্রাম ফ্লুবেন্ডামাইড গুলে স্প্রে করতে হবে। এই সময় ধানের ঝলসা রোগ দেখা দিতে পারে। এটি ছত্রাকঘটিত মারাত্মক রোগ। পাতায় প্রথমে বাদামি ছোট ছোট আবছা দাগ দেখা যায়। দাগগুলি পরে মাকুর আকৃতি ধারণ করে। পাতার আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন গাছ ঝলসে গিয়েছে। শ্রীরামপুরের সহকারি কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) অরূপ পাঠক জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ হয়, সেইসব জমিতে ধানের থোড় আসার পর থেকে নিয়মিত জমি পরিদর্শন করতে হবে। যদি গুছিতে দু-একটি করে বাদামি শোষক পোকা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে আক্রান্ত খেতের জল বের করে দিতে হবে। এবং ধানখেতের ৭-৮ সারি অন্তর পাশ ঠেলে দিতে হবে। নাবিতে অর্থাৎ দেরিতে রোয়া ধানের ক্ষেত্রে জমিতে বিঘা প্রতি ৪-৫টি পাখি বসার ডাল বসিয়ে দিতে হবে। এর ফলে দিনের বেলায় পাখি বসবে এবং বিভিন্ন ধরনের ল্যাদাপোকা ও তাদের ডিম খেয়ে শত্রুপোকা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। আমন ধানে খোলাধসা একটি বড় সমস্যা। জমি পরিদর্শনের সময় যদি দেখা যায় শতকরা ৫ ভাগের বেশি গুছি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তখন ভ্যালিডামাইসিন ২ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে অথবা প্রপিকোনাজল ০.৭৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।