কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মূলত আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুলের বেশকিছু এলাকায় চাষের জমি সংলগ্ন জলা জমিতে পানিফল চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষ করতে প্রায় আট মাস সময় লাগে। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে শুরু হয় পানিফলের গাছ লাগানোর কাজ। এরপর ভাদ্র মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত জলাজমি থেকে পানিফল তোলার কাজ চলে। পাশাপাশি অনেক জায়গায় আবার একই জলাশয়ে পানিফল চাষের পাশাপাশি পোনা মাছ চাষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে আরামবাগের সরাইঘাটা এলাকার চাষি সঞ্জয় মালিক বলেন, মূলত এই চাষ নিচু জলাশয়ে হয়। ফলন ভালো পাওয়ার ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হতে হয়। বর্তমানে এক বিঘা জলা জমি লিজ নিয়ে সব মিলিয়ে পানিফল চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু, ভালো ফলন হলে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
মূলত দুর্গাপুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফলের বাজারে পানিফলের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এরপর সরস্বতী পুজো পর্যন্ত এই ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্তমানে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে এই ফল। হারা প্রামাণিক নামে এক চাষি বলেন, মূলত আমাদের জমি না থাকার কারণে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে এক বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এবছর ভালো ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমি থেকে সপ্তাহে প্রায় তিন কুইন্টাল পর্যন্ত পানিফল তোলা সম্ভব। বাজার ভালো থাকায় এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে অধিকাংশ পানিফল চাষিই জলাশয় থেকে ফল তোলার কাজে ব্যস্ত।