বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এমআইডিএইচ অর্থাৎ জাতীয় উদ্যানপালন মিশনের আওতায় ওই প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩১০ হেক্টর জমিতে জেলার কৃষকদের দিয়ে এই বীজগুলি রোপন করানো হবে। এজন্য সব মিলিয়ে মোট ৬২ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই অনুমোদন চলে এসেছে। তবে প্রকল্পটির আর্থিক অনুমোদন এখনও আসেনি। তাই টেন্ডার হয়নি। সেই অনুমোদন পেলেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার দিকে এগনো হবে। যেসব চাষি আগ্রহী, তাঁদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়েছে। ফর্মপূরণ করা কৃষকদের এই বীজ দেওয়া হবে। তাই ওই দপ্তরে এখনও ফর্ম পূরণের কাজ জোরকদমে চলছে। জেলার চাষিরা বলেন, উদ্যানপালন দপ্তরের তরফ থেকে সব্জির বীজ পাওয়া যাবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। অনেকেই ফর্ম পূরণ করেছেন। আরও একাধিক আগ্রহী চাষি ফর্ম পূরণ করছেন। পরবর্তীতে এই শঙ্কর জাতীয় উন্নতমানের বীজ পেলে ভালো ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদী। দপ্তরের পরামর্শ মেনেই কাজ করব।
মালদহ জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের উপ অধিকর্তা কৃষ্ণেদু নন্দন বলেন, গত বছরের জন্য যা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই মতো মার্চ থেকে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন কাজ শেষ হয়েছে। তাই এবছর নতুন করে ফর্ম ফিল আপ শুরু করেছি। জাতীয় উদ্যানপালন মিশন প্রকল্পে টম্যাটো, বেগুন, লঙ্কা— মোট ৩১০ হেক্টর জমিতে এই তিনটি শঙ্কর জাতীয় উন্নত ফসল চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই দপ্তরের। এর মধ্যে ১২৫ হেক্টর জমিতে টম্যাটো, ১২৫ হেক্টর জমিতে বেগুন, ৬০ হেক্টর জমিতে লঙ্কা চাষ করা হবে। প্রকল্পটির অনুমোদন চলে এসেছে। এবার আর্থিক বরাদ্দ এলে বাস্তবায়ন হবে। এই ধরনের বীজ থেকে ফসলের উৎপাদন অনেক বেশি হয়। এই বীজ দিয়ে অসময়ে এই সব্জিগুলির চাষ করা যাবে। মালদহ জেলার ১৫টি ব্লকজুড়ে এই চাষ করা হবে। এতে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন। জেলায় শঙ্কর জাতীয় বীজ থেকে ভালো ফলনের চেষ্টা করছি। চাঁচলে আমাদের দপ্তরের নতুন অফিস হয়েছে। সেখান থেকে রতুয়া, হরিশ্চচন্দ্রপুর, ও চাঁচলের চাষিরা সহজেই পরিষেবা পাবেন। সব ব্লক মিলে কত ফর্ম জমা পড়ে, সেই তথ্য পেলে কাজ আরও এগিয়ে যাবে। মালদহ জেলায় মূলত আম চাষ বেশি হয়। এটি জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল বলা চলে। তবে জেলার মানিকচক, ইংলিশবাজার সহ একাধিক ব্লকে সব্জি চাষও ভালো হয়। এবার সব ব্লকজুড়ে সব্জি চাষের প্রতি জোর দেওয়া হবে। কৃষকদের শঙ্কর জাতীয় উন্নতমানের বীজ দেওয়া হবে। তাহলে ফলন ভালো হবে। চাষিরাও আর্থিক দিক থেকে বেশি লাভবান হবেন।