বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জলপাইগুড়ির কৃষি আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ বলেন, সুধা পদ্ধতিতে জেলার নাগরাকাটা, হরিমন্দির, গজলডোবা, বাগজান, ক্রান্তি, সরকারপাড়া, ময়নাগুড়ি ফার্মার্স ক্লাব ও আলিপুরদুয়ার জেলা সহ শিলিগুড়ি মহকুমার ফোটামারি, দুধগেট, গৌরসিংজোত, হপতিয়াগছ প্রভৃতি এলাকার বিভিন্ন ফার্মার্স ক্লাব সহ ফার্মার্স প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে জোরকদমে চাষ হচ্ছে। এবার ২৫০ বিঘা জমিতে সুধা পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। খড়িবাড়ি-ফাঁসিদেওয়া ব্লক কৃষি আধিকারিক লোকনাথ শর্মা বলেন, আমাদের ব্লকেও প্রদর্শনী ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে।
রাধাবাড়ি ও ফোটামারি কৃষক তরুণ রায় ও মহম্মদ আশিরুল বলেন, কৃষিদপ্তরের পরামর্শ মতো প্রদর্শন ক্ষেত্র গড়ে সুধা পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করেছি। দীর্ঘমেয়াদি জাতের আমন চাষের ক্ষেত্রে গাছের বৃদ্ধি ও পাশকাটি সংখ্যাও দেখে আরও এলাকাজুড়ে চাষের আগ্রহ বাড়ছে। রোগপোকার আক্রমণ হয়নি। এখন কাছধর দশায় ১৫ গ্রাম ইউরিয়ার সঙ্গে ১ গ্রাম চিলেটেড জিঙ্ক ও ১ গ্রাম বোরন প্রয়োগ করেছি। ক্লাবের অন্যান্য কৃষকরাও ধান গাছের বৃদ্ধি দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সুধা পদ্ধতিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বীজতলা তৈরি করে সুস্থ সবল ও শক্তিশালী চারা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে এক একর জমিতে চারা রোপণ করার জন্য বীজতলা করতে ৫ ডেসিমেল জমি লাগবে। এই পরিমাণ বীজতলার জন্য ২০০ কেজি জৈবসার, ৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ২ কেজি ফসফেটের সঙ্গে ২০০ গ্রাম বোরিক পাউডার এবং ৫০০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ১৫ দিন অন্তর বীজতলায় প্রতিবারে ৪০০-৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের ১০-২০ দিনের মাথায় আগাছা নষ্ট করতে হবে। চারা তোলার ঠিক ৭ দিন আগে বীজতলায় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তবে বীজতলা থেকে চারা তোলার ঠিক ৬ ঘণ্টার মধ্যেই মূল জমিতে চারা রোপণ করতেই হবে। সেই চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে গুছিতে ১-২টি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি আমন ধানের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ দিনের চারা ২০ সেন্টিমিটার বাই ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসাতে হবে।