কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
এই মৎস্যচাষের প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত মিত্র, মৎস্য খামার সহায়ক বাপ্পাদিত্য দাস প্রমুখ। কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্যবিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, আমরা মৎস্যচাষিদের মাগুর মাছের চাষ বিষয়ে যে প্রশিক্ষণ দিয়েছি তার পর তাঁরা ডিম থেকে কুড়ি হাজার মাছের চারা ফুটিয়েছেন। আমরা আশা করছি, তাঁরা এই প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেরা চাষ করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবেন। মোট পাঁচটি হ্যাচারিতে আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। প্রথমে স্ত্রী মাগুর মাছকে হরমোন ইনজেকশন দিতে হয়। এর পর ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে সেই স্ত্রী মাগুর মাছের পেটে আলতো চাপ দিয়ে ডিম বের করে নেওয়া হয়। সেই ডিম একটি ট্রে-তে রাখা হয়। এর পর পুরুষ মাগুর মাছের শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু বের করে তা নুন জলে মেশাতে হয়। জল ও নুনের অনুপাত নির্দষ্ট থাকে। সেই জল ডিমগুলির উপর ছড়িয়ে পাখির পালকের সাহায্যে মেশাতে হয়। সেই নিষিক্ত ডিমগুলি হ্যাচিং ট্রে’র মধ্যে রাখলে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা ফুটে যায়। তবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আবহাওয়া ও জলের গুণাগুণের উপর নির্ভর করবে। বাজারে যেহেতু মাগুর মাছের একটা চাহিদা রয়েছে এবং দামও বেশি সে কারণে মাগুর মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের উদ্যোগে ও জলপাইগুড়ি জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই হ্যাচারিতে ছোট ছোট দল করে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও যদি কোনও ব্যক্তি এই প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে সেই তাঁকে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এধরনের মৎস্যচাষের জন্য যে বড় জলাশয় বা পুকুর থাকতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। ছোট জলাশয়েও মাছের চাষ করা হয়ে থাকে। তবে সেই চাষের জন্য কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও কৌশল মেনে চলতে হবে।