ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিদের আর্থিকভাবে আরও লাভবান করে তোলার কথা চিন্তা করে এই ধরনের চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । প্রথম অবস্থায় ব্লকে অল্প সংখ্যক চারা পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা হবে। তা থেকে ভালো ফল মিললে চারা রোপণের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩ ব্লকে এই মুহূর্তে এই চারা রোপণ করা হচ্ছে না। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, আমাদের লক্ষ্য জেলায় নতুন ফলের চারা রোপণ করা ও সব ফলচাষিকে এ বিষয়ে নানা পরামর্শ দেওয়া। এধরনের ফলচাষ করে চাষিরা আর্থিক দিক থেকে অনেক বেশি লাভবান হতে পারেন। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে যে চারাগুলি রোপণ করা হবে, সেগুলি থেকে যে ফল পাওয়া যাবে, তার দাম এখন অনেক। ইতিমধ্যে হবিবপুরের কিছু এলাকায় ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে। বর্তমানে তার বাজারদর ফল প্রতি ১৫০-২০০ টাকা। প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাহুলবাবু আরও জানান, জেলায় এই প্রথম কাশ্মীরি কুলের চারা রোপণ করা হবে। এই ফল লাল রঙের দেখতে হয়। এছাড়াও রোপণ করা হবে গঙ্গাবর্ধন। এই ফল অনেকটা নারকেলের মতো দেখতে। আড়াই বছর বয়স থেকে এই গাছ ফল দিতে শুরু করে। মাটি থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় ফল হয়। তাই পাড়ার সুবিধা। এছাড়াও কাটিমন ও বাউকুলের চারা রোপণ করা হবে। কাটিমন এক জাতীয় আম গাছ। কিন্তু অন্য গাছের তুলনায় এটি আলাদা। এই গাছে সারাবছর আম হয়। বাউকুল গাছে বড় বড় কুল হয়। জানা গিয়েছে, জেলার প্রতিটি ব্লকে আতমা’র কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির কর্মীদের দিয়ে আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে থেকে বিভিন্ন ব্লকে ওই সব চারা রোপণ করা হবে। যদি ইতিবাচক ফল মেলে ভবিষ্যতে চারা রোপণের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আকতৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি’র গায়ত্রী বর্মন বলেন, হবিবপুরের মাটিতে এই চাষ খুব ভালো হবে। অনেক মানুষ আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে পারবেন। আমরা কিন্তু অনেক আগেই ড্রাগন ফলের চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সোনিয়া হেমব্রম বলেন, আমাদের গাজোলে, বিশেষ করে পাণ্ডুয়ার এই ধরনের সব ফলের চারা রোপণ করা হলে সবাই উপকৃত হবেন। আমাদের এলাকার চাষিদের মধ্যে অনেক দিন থেকে ড্রাগন ফল চাষ করার আগ্রহ রয়েছে। তবে এখনও তা শুরু হয়নি। চারা পেলে উদ্যানপালন দপ্তরের পরামর্শে খুব দ্রুত চাষ শুরু করে দেব। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। মালদহে জেলার মাটিতে কম-বেশি সব ব্লকে ধান, পাট, সরিষা, ভুট্টা, আলুর চাষ এমনিতেই হয়। কিন্তু ড্রাগন ফল চাষ আগে কয়েকটি মাত্র ব্লকে হতো। এবার গোটা জেলার চাষিরা যাতে লাভবান হন, সেজন্য সব ব্লকেই এই ড্রাগন ফলের চাষ হবে।