ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সাঁতুড়ি ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়কনাথ মুরগি চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া চাষিদের আগামী দিনে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এক দিনের ওই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে চাষিরা এই মুরগি পালন সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। কিন্তু, দীর্ঘ মেয়াদি শিবিরে কড়কনাথ মুরগি পালনের পদ্ধতি, সুফল, বাজারজাত ও চাষাবাদের বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং হাতেকলমে দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে জেলায় যেখানে কড়কনাথ মুরগির চাষ হয়, সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই ৫০ জন চাষিকে চাষের যাবতীয় পদ্ধতি ও কৌশল শেখানো হবে।
কড়কনাথ মুরগি সম্পর্কে মলয়বাবু বলেন, এটি একটি বিশেষ জাতের মুরগি। যার আদি নিবাস মধ্যপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাবুয়া ও ধার জেলায়। বর্তমানে ছত্তিশগড়, কেরল, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই মুরগির চাষ হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলাতেও কড়কনাথের চাষ শুরু হয়েছে। মুরগিটি দেখতে সাধারণত কালো রঙের হয়। তবে বর্তমানে লাল, ধূসর, সাদা-কালো, রূপালি ও সোনালি রঙেরও কড়কনাথ মুরগি চাষ হচ্ছে। এই মুরগির ঠোঁট, পা, চামড়া, ঝুঁটি ও দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে কালো রঙের হয়। একটি পরিণত মোরগের ওজন ২-৩ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি মুরগি বছরে ১২৫-১৩৫টি ডিম পাড়ে। অন্যান্য মুরগির মতোই এদের পালন করা যায়। তবে এই মুরগির বিশেষত্ব, কোনও পরিবেশের যে কোনও আবহাওয়ায় তা পালন করা যায়।
মলয়বাবু আরও বলেন, কড়কনাথ মুরগির মাংস হার্টের রোগীদের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধিতে, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, রেনাল ও কিডনি সমস্যায়, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই মুরগির মাংস ও ডিম ফ্যাট কমাতে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
একদিনের প্রশিক্ষণ নেওয়া চাষিদের মধ্যে বাবুলাল সোরেন, প্রথমী হাঁসদা বলেন, ওই প্রশিক্ষণ নিয়ে কড়কনাথ মুরগি চাষের বিষয়ে যতটা জানতে ও বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে এই চাষ খুব লাভজনক। কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, আমাদের বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে চাষাবাদের পদ্ধতি সহ চাষের যাবতীয় বিষয় জানানো হবে। বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের কয়েকটি করে কড়কনাথ মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। আমরা ফার্ম তৈরি করে চাষ করব।
এবিষয়ে ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্য আধিকারিক বিশ্বজিৎ স্নেহা বলেন, মুরগির বাচ্চা নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে আনা হবে। এই মাংস যেহেতু খুব উপকারি তাই এই মাংস কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাই এই মুরগি চাষ করলে চাষিরা বিশেষ উপকৃত হবেন।