সর্ষে তেলের দাম আগুন। তা প্রায় মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই কাটোয়া মহকুমা জুড়ে সর্ষে চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বেড়েছে সর্ষে চাষ। চাষিদের দাবি, বাজারে ভোজ্য সর্ষে তেলের দাম নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
কখন মেঘলা, আবার কখনও চলছে হাল্কা বৃষ্টি, ফলে বাসা থেকে বের হচ্ছে না মৌমাছিরা। সংগ্রহ হচ্ছে না মধু।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শনিবার দিনভর জেলাজুড়ে আকাশের মুখ ভার ছিল। সেদিন রাত থেকে হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদিন ধরে অবিরাম ধারায় বৃষ্টি হয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রবিবার ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ঝিরঝিরে বৃষ্টিও চলছে। অসময়ের বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলু চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্রথমবার আলুবীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হাল ছাড়েননি চাষিরা। আবার জমিতে বীজ লাগান। সরকার নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে চাষিরা সার কিনেছিলেন।
কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
নবজ্যোতি সরকার: উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চল অর্থাৎ হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ এবং সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকে গাড়োল প্রজাতির ভেড়া পালন হচ্ছে। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক উপায়ে এই ভেড়ার চাষ করে পালকদের আয় অনেকগুণ বাড়বে। এজন্য বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করতে হবে। একই গোত্রের প্রজনন বন্ধ করতে হবে। অন্য অঞ্চল থেকে পুরুষ ভেড়া আনতে হবে। এতে স্ত্রী ভেড়া প্রতিবার ২-৪টি সুস্থ ও উন্নত বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হবে। এর পর ৮ থেকে ৯ মাসে এদের ওজন বেড়ে দাঁড়াবে ৭ থেকে ৮ কেজি। এই ভেড়ার মাংস খুবই সুস্বাদু। দাম ৪৫০ টাকা কেজি। গাড়োল প্রজাতির ভেড়া বছরে ৫০০ গ্রাম বা তার বেশি উল দিতে পারে। এদের উল একটু খসখসে। এই উল দিয়ে পাপোস, কার্পেট প্রভৃতি তৈরি হয়। এদের দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর। উত্তর ২৪ পরগনা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রাণিপালন বিশেষজ্ঞ ড. কৌশিক পাল জানিয়েছেন, গাড়োল প্রজাতির ভেড়ার বিদেশেও চাহিদা বেড়েছে। অষ্ট্রেলিয়ার মেরিনো প্রজাতির ভেড়ার সঙ্গে গাড়োল ভেড়ার অনেক মিল রয়েছে। প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দরকার গাড়োল ভেড়া আর উন্নত উল পেতে প্রয়োজন মেরিনো ভেড়া। তাই অষ্ট্রেলিয়ায় পুরুষ গাড়োল ভেড়া নিয়ে গিয়ে অন্য প্রজাতির স্ত্রী ভেড়ার প্রজনন ঘটানো হচ্ছে। কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের ব্লকগুলিতে ব্যাপকভাবে গাড়োল প্রজাতির ভেড়া পালন করা যেতে পারে। তাঁদের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, সুন্দরবনের পরিবেশে বড় হলেও গাড়োল ভেড়াকে অন্য পরিবেশে পালন করা সম্ভব। সারাদিনে মাঠে ঘুরে ঘাস খেলেও দিনের শেষে এই প্রজাতির ভেড়াকে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম বা তার বেশি দানা খাবার দিতে হবে। এতে থাকবে বাদাম, তিল ও সর্ষের খোল। সঙ্গে চাল ও গমের কুড়ো, ভিটামিন ও খনিজ। এতে তাদের বৃদ্ধি ভালো হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমনিতে গাড়োল প্রজাতির ভেড়ার রোগব্যাধি কম।
